ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় পানি সঙ্কট নিরসনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

খুলনায় পানি সঙ্কট নিরসনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্লান্ট স্থাপন  করা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ সুপেয় পানি সঙ্কট নিরসনে খুলনার উপকূলীয় তিন উপজেলায় তিন শতাধিক রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর খুলনা। একই সঙ্গে অপর একটি উপজেলায় ৩০টি গভীর নলকূপ স্থাপন ও চার উপজেলায় স্বল্পমূল্যে নয় শতাধিক ল্যাট্রিন নির্মাণ করবে সংস্থাটি। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরেই এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় সুপেয় পানি সঙ্কট প্রকট। এসব উপজেলার অধিকাংশ স্থানেই গভীর নলকূপ কার্যকর হয় না। ভূগর্ভে খাবারযোগ্য পানির স্তর পাওয়া যায় না। অগভীর নলকূপের পানিতে মেলে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততা ও আর্সেনিক দূষণ। ফলে এসব এলাকায় সুপেয় পানির অভাব সব সময়েই লেগে থাকে। এলাকার মানুষের পানির চাহিদা পূরণের জন্য পুকুর ও রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্লান্ট হচ্ছে প্রধান ভরসা। বৃষ্টির পানি ধারণ করে তা এই প্লান্টের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ ও যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে স্থানীয় পুকুরগুলোর অধিকাংশই মিঠা পানির আধার হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কিছু কিছু এলাকায় রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্লান্ট থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। যার ফলে ওই তিন উপজেলায় দীর্ঘকাল ধরে সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কট চলে আসছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে এ সঙ্কট মারত্মক আকার ধারণ করে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর খুলনা সূত্রে জানা যায়, কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলাবাসীর পানি সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে ৩১০টি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নে ৩০টি, কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নে ৩০টি, লাউডোব ইউনিয়নে ৩০ টি, বানিশান্তায় ৩০টি, পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালীতে ৪০টি, লস্কর ইউনিয়নে ৪০টি ও সোলাদানা ইউনিয়নে ৪০টি এবং কয়রা উপজেলা এলাকায় ৭০টি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্লান্ট স্থাপন করা হবে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। সূত্রটি জানায়, এসব কাজের জন্য টেন্ডার হয়েছে। শীঘ্রই ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করা হবে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।
×