ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁর বদলগাছীতে আরো একটি কয়লা খনির সন্ধান

প্রকাশিত: ০১:২৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নওগাঁর বদলগাছীতে আরো একটি কয়লা খনির সন্ধান

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ॥ উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ জেলা নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাসবাড়ি ইউনিয়নের তাজপুর গ্রাম এলাকায় একটি নতুন কয়লা খনির সন্ধানে নেমেছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। এরইমধ্যে তাজপুরে একটি নিরীক্ষা কূপ খননের প্রস্তুতিমুলক কার্যক্রমও শুরু করেছে জিএসবির লোকজন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৪-১৫ সালে সান্তাহার, তিলকপুর, বদলগাছী ও আক্কেলপুর এলাকায় জিএসবির এক ভূতাত্ত্বিক জরিপে তাজপুরে মূল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। সেই সম্পদের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করার জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয় খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ে। এবছর জানুয়ারিতে মন্ত্রনালয় প্রস্তাবটি অনুমোদন করে। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ড. নেহাল উদ্দিন জানান, তাজপুরে মাটির নিচের স্তরতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ ও অর্থনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ন খনিজ সম্পদের অনুসন্ধানে ৩০ সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম পাঠানো হয়েছে। সেখানে একটি কূপ খনন করে প্রায় তিন মাস খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান চালানো হবে। অনুসন্ধানে তাজপুরে কয়লা অথবা মূল্যবান কোন খনিজ সম্পদ পাওয়া গেলে তার পরিমান উল্লেখ করে পরবর্তীতে সেগুলো কাজে লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ সরকারকে জানাবে। তাজপুর স্তরতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ ও অর্নৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ন খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান টিমের টিম লিডার জিএসবির উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশল) মাহিরুল ইসলাম, জানান, তাজপুরে প্রাথমিক জরিপে পাললিক শীলার পুরুত্ব অনেক বেশী পাওয়া গেছে। এছাড়া সাদা মাটিসহ মূল্যবান সম্পদ পাওয়া যেতে পারে এখানে। এজন্য রিক মেশিন দ্বারা মাটির নিচে প্রায় ৪ হাজার ফুট গভীর করে কুপ খননের মাধ্যমে নিরীক্ষা অভিযান চালানো হবে। কূপ খননের নির্ধারিত স্থানটি মাপ-যোগ করে প্রস্তুত করা হয়েছে। মেশিনপত্র নিয়ে আসার কাজ চলছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে খনন কাজের উদ্বোধন করার টার্গেট রয়েছে জিএসবির। জিএসবির কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ দীঘিপাড়া কয়লা খনি আবিষ্কারের পর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার তাজপুরে খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। দেশে এ পর্যন্ত বড় পুকুড়িয়া, জামালগঞ্জ, খালাসপীর, দীঘিপাড়া ও ফুলবাড়িসহ ৫ টি কয়লা খনি আবিষ্কার করা হলেও কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে শুধু বড়পুকুড়িয়া খনি থেকে।
×