ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অঘটন নয়, জিততে চাই ॥ মিরাজ

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অঘটন নয়, জিততে চাই ॥ মিরাজ

মিথুন আশরাফ ॥ নেপাল যুবদল যতই এবার অনুর্ধ ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডকে হারাক, সুপার লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নেক; বাংলাদেশ যুব দলের সামনে দুর্বল দলই। তা আরও বোঝা গেল, যখন শুক্রবার নেপালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে খেলতে নামার দুইদিন আগেই বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলে দিলেন, ‘লক্ষ্য একটাই কোন দুর্ঘটনা যেন না হয়!’ তাতেই বোঝা যাচ্ছে, নেপালকে শক্তিশালী দলত মনে করা হচ্ছেই না, ছোট্ট দল ভেবে দুর্ঘটনা এড়ানোর চেষ্টাই চলছে। দুর্ঘটনাত ছোট্ট, দুর্বল দলগুলোই বড় দলের বিপক্ষে ঘটায়। অবশ্য যেভাবেই হোক, বাংলাদেশ জিতে গেলেই হয়। সুপার লীগের সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে নেবে। স্বাগতিক দেশ হিসেবে এবার শিরোপা জেতার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে আরেকধাপ এগিয়ে যাওয়া যাবে। এরপর থাকবে আর মাত্র দুটি ধাপ, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। তা জিতে নিলেই প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলবে বাংলাদেশ যুবদল। নামিবিয়াকে হারিয়ে দেয়ার পরই মিরাজ বলেছেন, ‘আসলে অধিনায়ক হিসেবে আমার খুব ভাল লাগছে। আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলাম। সব মিলিয়ে খুব ভাল লাগছে। তবে ভাল লাগাটা এখানেই শেষ করলে হবে না। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। ভাল লাগা এখানেই থামলে আমরা বেশি দূর যেতে পারব না। লক্ষ্য পূরণ করতে পারব না।’ নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে আত্মবিশ্বাসটাও বাড়িয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাই জানালেন অধিনায়ক, ‘অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এসব দলের সঙ্গে ভাল করতে না পারলে আমাদের আত্মবিশ্বাস হয়ত কমে যেতে পারত। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সামনে এখন নেপালকে পাব আমরা। এসব দলের বিপক্ষেই আমাদের বেশি সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এই দলগুলোর বিপক্ষেই দুর্ঘটনা বেশি হয়। আমরা আমাদের লক্ষ্য থাকবে কোন দুর্ঘটনা যাতে না হয়। আমাদের প্রসেসটা ঠিক রেখে যেতে হবে। আমরা ঠিক পথে থাকলে সব দরজাই খোলা। আমাদের সবকিছু যদি ঠিক থাকে, ডিটারমিনেশন যদি থাকে, তাহলে ভাল কিছু সম্ভব।’ নেপালের সঙ্গে যে জেতা যাবে, তা নিয়ে ভালই ভাবনা হচ্ছে। মিরাজই যেমন বললেন, ‘ভারতের বিপক্ষে নেপালের ম্যাচটি আমরা দেখেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারলে নেপাল ভাল কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। আমাদের লেভেল, আমাদের স্ট্যান্ডার্ড জানি, জানি আমরা কতটা ওপরে। তবে এ লেভেলটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। নেপালকে হালকা করে নিলে চলবে না। ওরা ভাল খেলেছে বলেই কোয়ার্টারে এসেছে। আমাদের প্রসেস ঠিক রাখতে হবে।’ নেপালের ব্যাটসম্যানদের নিয়েই মূলত বাংলাদেশ ভাবছে। মিরাজ যেমন দুই-একজন ব্যাটসম্যানের কথা উল্লেখ করলেন, ‘ওদের ব্যাটসম্যান কয়েকজন দেখেছি আক্রমণাত্মক খেলে। দু-একজন বোলারও বেশ ভাল। আমাদের সিরিয়াস থাকতে হবে।’ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাত্র ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচসেরা হওয়া সালেহ আহমেদ শাওন গাজীও নেপালকে নিয়ে ভাবতে নারাজ। তার সোজাসাপ্টা কথা, ‘নেপালের কিছুই চিনি না। আমি মনে করি আমি নিজের বোলিং করতে পারলে যে কোন দলের বিপক্ষেই ভাল করব।’ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা বলে বেশি আত্মবিশ্বাসী শাওন। বলেছেন, ‘মিরপুরে অনেক খেলেছি। সমস্যা নেই। আরও চেনা মাঠ। কমফোর্ট জোনেই যাচ্ছি আমরা।’ গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। বোঝাই যাচ্ছে, এবার কিছু একটা করে দেখাতে মিরাজবাহিনী। কোয়ার্টার ফাইনালে ইতোমধ্যেই উঠে গেছে। প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৩ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১১৪ রানে ও গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নামিবিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে বাংলাদেশ। আর তিনটি ম্যাচ জিততে পারলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে বাংলাদেশ যুবদল। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ আছে সামনে। শুক্রবার নেপালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশ। যে ম্যাচে দুর্ঘটনা এড়াতে চায় মিরাজ, শান্ত, শাওনরা।
×