ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জুনে চট্টগ্রাম ওয়াসায় যুক্ত হচ্ছে আরও ১৪ কোটি লিটার সুপেয় পানি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জুনে চট্টগ্রাম ওয়াসায় যুক্ত হচ্ছে আরও ১৪ কোটি লিটার সুপেয় পানি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম ওয়াসায় আগামী জুনে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আরও ১৪ কোটি লিটার সুপেয় পানি। এতে করে ওয়াসার মোট সরবরাহ দাঁড়াবে ৩৫ কোটি লিটারে। ২০২১ সালের মধ্যে যুক্ত হবে আরও ২০ কোটি লিটার। আর তখনই চট্টগ্রামের পরিপূর্ণভাবে নগরবাসীর জন্য নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ। ওয়াসার চলমান প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি বিষয়ে আলোকপাত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রকৌশলী ফজলুল্লাহ জানান, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের প্রায় ৯৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পটির সকল কাজ শেষ হবে। প্রকল্পটি চালু হলে নতুন করে আরও ১৪ কোট লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে। তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের জন্য কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প, চিটাগাং ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট এ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পসহ চারটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। তখন নগরবাসী ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন পানি পাবেন। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির পাইপগুলো অনেক পুরনো। পাইপগুলো দিয়ে পরিপূর্ণ গতিতে পানি সরবরাহ করা হলে এগুলো ফুটো হয়ে যাবে। কর্ণফুলী পানির সরবরাহ প্রকল্পের (ফেজ-২) পাইপগুলো পরিবর্তন করতে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পাইপগুলো পরিবর্তন করা হলেও আগামী ৮০ বছরের আর পরিবর্তন করতে হবে না। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা এখন যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছে এগুলো বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘমেয়াদী সফলতা পাওয়া যাবে। ২০২১ সালের পর ৪০ বছরের বেশি সময় ওয়াসাকে আর কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে না। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট এ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় ড্রেনেজ এবং পয়ঃনিষ্কাশন মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যান প্রণীত হলে চট্টগ্রাম নগরীতে একটি আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল) রতন কুমার সরকার, সচিব মোঃ সামসুদ্দোহা, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×