ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধামরাইয়ে বংশী নদী তীরে মাটি কাটায় বসতভিটা ভাঙ্গনের কবলে

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ধামরাইয়ে বংশী নদী তীরে মাটি কাটায় বসতভিটা ভাঙ্গনের কবলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ৩ ফেব্রুয়ারি ॥ ধামরাইয়ের বংশী নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে তা বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা। এতে নদীতে বিশাল জায়গা জুড়ে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বংশী নদী হুমকির মুখে পড়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে নদীর পাশের বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু, রহস্যজনক কারণে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কাইজারকুন্ডু এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানায়, বংশী নদীর আশপাশে তীর থেকে মাটি কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হেমায়েত কবির মতিন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর তীর থেকে মাটি কেটে তা ট্রলারে ভরে নিরয় যায় একদল শ্রমিক। মাটি বোঝাই হওয়ার সাথে সাথে ট্রলারগুলো দ্রুত ছেড়ে যাচ্ছে। এভাবে মাটি কাটার ফলে বংশী নদীর তীরে বিশাল জায়গা জুড়ে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। মাটি বিভিন্ন এলাকার ইটভাঁটিতে সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম এলে বংশী নদীর তীর ভাঙনের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, হেমায়েত কবির মতিন প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, বংশী নদীর তীর থেকে অবৈধ মাটি কাটা বন্ধের জন্য দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে চাঁদা দাবি ॥ দারোগা ক্লোজড স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে প্রবাসীর কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বরিশাল বিমানবন্দর থানার এসআই রেহান উদ্দিনকে পুলিশলাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু সাঈদ। নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ জিয়া সড়কের বাসিন্দা মোঃ মোকছেদ অভিযোগ করেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি তার প্রবাসী বন্ধু সালাউদ্দিনকে নিয়ে নগরীর একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হন। এ সময় সেখানে বিমানবন্দর থানার এসআই রেহান উদ্দিন তার প্রবাসী বন্ধুর পরিহিত জ্যাকেটের কলার ধরে নাম ঠিকানা জানতে চায়। একপর্যায়ে জ্যাকেটের টুপির মধ্যে হাত দিয়ে একটি প্যাকেট বেড় করে এসআই রেহান। ওই প্যাকেটের মধ্যে বেশকিছু ট্যাবলেট ছিল। পরবর্তীতে তাদের দু’জনকে ধানসিঁড়ি হোটেলের পেছনে নিয়ে ইয়াবাসহ মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এসআই রেহানের হুমকির মুখে আতঙ্কিত হয়ে মোকছেদ নগদ ১১ হাজার টাকা দিয়ে তার প্রবাসী বন্ধুকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। অভিযোগে আরও জানা গেছে, পরবর্তীতে এসআই রেহানের এহেন কর্মকা-ের বিরুদ্ধে তিনি (মোকছেদ) পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
×