ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নামিবিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নামিবিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনুর্ধ ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ যুবদল। বাকি ছিল গ্রুপ সেরা হওয়া। সেটিও হয়ে গেল। নামিবিয়া যুব দলকে ৮ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত থেকে টানা তিন ম্যাচে জিতে গ্রুপ সেরা হয়েছে বাংলাদেশ। সালেহ আহমেদ শাওন গাজী আগেরদিনই বলেছিলেন, ‘নামিবিয়াকে নিয়ে ভাবছি না। আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলে অন্য কারও টাইম নাই।’ তাই প্রমাণ হলো। যে নামিবিয়ার কোচ নর্বার্ট মানইয়ান্ডেতো হুঙ্কারই দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছি, এখন আমরা তাকিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচের দিকে। অবশ্যই আমরা চাইব গ্রুপের সেরা দল হতে। কোন দিক থেকেই বাংলাদেশ ফেবারিট নয়।’ সেই কোচের কথা উড়ে গেল। নামিবিয়াকেও উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। সত্তর রানও করতে পারল না নামিবিয়া। ৩২.৫ ওভারে ৬৫ রান করতেই গুটিয়ে গেল। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভারে ৬৬ রান করে জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। গ্রুপের সেরা দল হয়ে গেল। জয়রাজ শেখ সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৪ রান করেন। নামিবিয়ার ইনিংসে ধস নামাতে শাওন গাজী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ৮ ওভার বল করে ৪ মেডেনসহ ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন। যিনি আগেরদিন উচ্চৈঃস্বরে কথা বলেছেন, সেই স্বর উঁচুই রয়েছে। অথচ নামিবিয়ার কোচের মাথা নিচু হয়ে গেছে। এবারের বিশ্বকাপে বামহাতি স্পিনার শাওন গাজী সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করতে চান। ৭ উইকেট শিকার করেছেন। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন। এ নিয়ে বললেন, ‘হ্যাঁ, ইনশাআল্লাহ। তবে আমি যখন বোলিং করি, নিজের বোলিংটাই করে যাই। উইকেটের জন্য বোলিং করি না। উইকেট তো আল্লাহর ইচ্ছা। উইকেট বলে নেয়া যায় না। আমি বোলিং করলেই উইকেট পাই। আমার যেটা ভাল, আমি একটা জায়গায় বোলিং করে যেতে পারি।’ ম্যাচসেরা হওয়ার আনন্দ শাওন গাজীর আছে। সেই আনন্দের কথা বললেনও, ‘ভাল তো অবশ্যই লাগছে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলে কে না খুশি হয়! সবাই খুশি হয়।’ বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হওয়ায় এখন কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে লড়াই করতে হবে। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। সকাল ৯টায় শুরু হবে। এ ম্যাচ নিয়ে শাওন গাজী বললেন, ‘নেপালকে কিছুই চিনি না। আমি মনে করি আমি নিজের বোলিং করতে পারলে যে কোন দলের বিপক্ষই ভাল করব। মিরপুরে অনেক খেলেছি। সমস্যা নেই। আরও চেনা মাঠ। কমফোর্ট জোনেই যাচ্ছি আমরা।’ গ্রুপ রানার্সআপ হলে বাংলাদেশকে খেলতে হতো ভারতের বিপক্ষে। তা কঠিন পথই হয়ে যেত। এখন নেপালের বিপক্ষে খেলা। তাই বলে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবার উপায় নেই। নেপাল যেভাবে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চমক জাগিয়েছে, তা অব্যাহত রেখেছে। তাই অনেক সাবধানই থাকতে হবে বাংলাদেশকে। শুক্রবারের ম্যাচটি নিয়ে এখনই ভাবনা শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশ যুবাদের। বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ অনুর্ধ ১৯ একদিনের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে গেছেন। নামিবিয়ার বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে ৭৪ উইকেট পেয়ে সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছেন। মিরাজ বলেছেন, ‘আসলে অধিনায়ক হিসেবে আমার খুব ভাল লাগছে। আজকের (মঙ্গলবার) ম্যাচটা আমরা জিতেছি। আমার রেকর্ডটাও হলো। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। ভাল লাগা এখানেই থামলে আমরা বেশি দূর যেতে পারব না। লক্ষ্য পুরণ করতে পারব না।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এসব দলের সঙ্গে ভাল করতে না পারলে আমাদের আত্মবিশ্বাস হয়ত কমে যেতে পারত। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সামনে এখন নেপালকে পাব আমরা। এসব দলের বিপক্ষেই আমাদের বেশি সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এ দলগুলোর বিপক্ষেই দুর্ঘটনা বেশি হয়। আমাদের লক্ষ্য থাকবে কোন দুর্ঘটনা যাতে না হয়। আমাদের প্রসেসটা ঠিক রেখে যেতে হবে। আমরা ঠিক পথে থাকলে সব দরজাই খোলা।’
×