ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে ড্যান্ডি ডাইং মামলার বিচার শুরু

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অবশেষে ড্যান্ডি ডাইং মামলার বিচার শুরু

সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি ॥ ড্যান্ডি ডায়িং ও এর পরিচালকদের বিরুদ্ধে করা ঋণখেলাপী মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ১৪ জন বিবাদীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু (ইস্যু গঠন) হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এ আদেশ দেন। আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, সোনালী ব্যাংক থেকে ড্যান্ডি ডাইং কোম্পানির নামে ১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয়। ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকার ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। মামলায় ড্যান্ডি ডাইংয়ের পরিচালক হিসেবে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকোসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান মারা যান। এরপর গত বছরের ১৬ মার্চ সম্পদের অংশীদার হিসেবে খালেদা জিয়া, আরাফাতের স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানকেও বিবাদী করা হয়। ২০১৫ সালের ৮ মার্চ খালেদাসহ অন্যদের বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছিলেন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। আবেদনে তিনি বলেন, আরাফাত রহমান কোকো এ মামলার বিবাদী। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপী ঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশরা বিবাদীভুক্ত হবেন। তাই তার ওয়ারিশ হিসেবে খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হচ্ছে। মামলার অপর বিবাদীরা হলেন খালেদা জিয়ার ভাই সাইদ এস্কান্দারের (মৃত) স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, দুই ছেলে শামস এস্কান্দার ও শাফিন এস্কান্দার এবং মেয়ে সোমাইয়া এস্কান্দার, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ও তার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিন এবং কাজী গালিব আহমেদ, শামসুনন্নাহার ও মাসুদ হাসান। গত বছরের মার্চে খালেদা জিয়াসহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। ওই বছরের ১৪ জুলাই খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ বিষয়ে আদালতে জবাব দেন। ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর মামলাটি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করে। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন। মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়াস্ত নোটিস প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোন অর্থ প্রদান করেননি।
×