স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ সাধারণ মানুষের মুখোমুখি হয়ে জবাবদিহিতা দিলেন বগুড়ার ৬টি সরকারী বিভাগের কর্মকর্তাগণ। সোমবার সন্ধ্যায় শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে তথ্য মেলার মঞ্চে ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বগুড়ার সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)। জনগণের তোপের মুখে সবচেয়ে বেশি পড়েন জেলার পুলিশ বিভাগ। পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সায়েফুজ্জামান ফারুকী সাধারণের একের এক প্রশ্নের জবাবদিহিতা দিতে থাকেন। প্রাথমিক শিক্ষার হাল হকিকত নিয়ে জনগণের প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী। পিএসির পুনর্নিরীক্ষার খাতা কিভাবে উধাও হয়ে গেল এর সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি, বলেছেন তদন্ত চলছে। জবাবদিহিতা দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ভেহিক্যাল ইন্সপেক্টর হারুনুর রশীদ, পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ওসমান গনি।
সাধারণ মানুষ যে প্রশ্নগুলো উত্থাপন করেছে সেগুলো হলো, পুলিশ বিভাগের কাছে প্রশ্ন- সড়ক দখল করে দোকানপাট, যা থেকে চাঁদা তোলে, কোথাও পায় মাসোহারা। ইজিবাইকের যত্রতত্র চলাচল, শিশুদের সামনেই চালকের কাছ থেকে অবৈধ চাঁদা আদায় করছে পুলিশ। পুলিশের উন্মুক্ত চাঁদাবাজির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কোমলমতি শিশুদের ওপর। বেড়ে গেছে ছিনতাই। পাসপোর্ট কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন ছিল- পাসপোর্ট নিতে ভোগান্তি কেন এবং দালাল ছাড়া পাসপোর্ট হয় না কেন! এভাবে একের পর এক প্রশ্নবানে জর্জরিত হন কর্মকর্তাগণ। আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ডাঃ সামির হোসেন মিশুর সঞ্চালনায়। সভাপতিত্ব করেন সনাকের সহসভাপতি মাছুদার রহমান হেলাল। জনগণের মুখোমুখিতে সহযোগিতা দেয় টিআই বাংলাদেশের বগুড়া অফিস। এরিয়া ম্যানেজার নাজমা খানম নাজু বক্তব্য রাখেন। রাতে তথ্যমেলার সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিন। রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।