ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

ধর্মভিত্তিক বনাম ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার অসমাপ্ত যুদ্ধ

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ধর্মভিত্তিক বনাম ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার অসমাপ্ত যুদ্ধ

চৌষট্টি বছর আগে ঢাকা শহরে ছাত্র-জনতার একটা মিছিল হয়েছিল। তাতে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। তাতে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কিছু যুবকের। এই মৃত্যু বৃথা যায়নি। রক্তপাত ভাষা আন্দোলনকে শক্তিশালী করেছে। ভাষার স্বীকৃতি আদায় করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলা ভাষা একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এখন ইউনেস্কোর কল্যাণে চৌষট্টি বছর আগের ওই দিনটি ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিবছর পালিত হয়। মনে হতে পারে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন একটি সফল আন্দোলন। বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে তার সমাপ্তি। শোক এখন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। একুশের রাতে ভাষা শহীদ মিনারে শুধু রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রী যান না, সরকারী-বেসরকারী সকল বিশিষ্টজন যান। জনতার ভিড় উপচে পড়ে। নানা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হয়। প-িতকুল ভাষাবিষয়ক নানা পা-িত্যপূর্ণ কথা বলেন, কাগজগুলোর বিশেষ সংখ্যায় নানা গুরুগম্ভীর তত্ত্ব ঝাড়েন। বাংলা ভাষা কেতাববন্দী হয়ে থাকে। রাষ্ট্রীয় ভাষা। রাষ্ট্রে তার চর্চা কম। শ্রেণীভেদে ইংরেজির চর্চা বাড়ছে। উর্দুর ভাষা-সাম্রাজ্যবাদী থাবা ঠেকানো গেছে। হিন্দির থাবা ঠেকানো যাচ্ছে না। এখন ছায়াছবি, গানের অনুষ্ঠান, বিয়ের অনুষ্ঠানে হিন্দির দাপট। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন এখন অনেকের কাছেই একটা বড়সড়ো বাৎসরিক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের জের ধরে দেশজুড়ে সরকারী-বেসরকারী নানা অনুষ্ঠান হয়। এটা এখন অনুষ্ঠান, আন্দোলন নয়। বাংলা ভাষা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সকলেই মনে করছেন আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে। বাংলা ভাষা এখন মাথার মুকুটে সংরক্ষিত। ব্যবহৃত হয় না। আমাদের পোশাকি ভাষা ইংরেজিই রয়ে গেছে। তবে বিশুদ্ধ ইংরেজি নয়। বহুকাল পর দেশের প্রধান বিচারপতির মুখে আবারও একটা কথা উচ্চারিত হতে শুনলাম, ‘সর্বোচ্চ আদালতের বিচারের রায় বাংলায় লিখিত হওয়া উচিত।’ বাংলা ভাষার আন্দোলন কি কেবলই একটা ভাষার আন্দোলন ছিল? বহুকাল এটাকে ভাষার আন্দোলনই মনে হয়েছে। বলাও হয়েছে। বহুকাল পর প্রশ্নটি অনেকের মনে জেগেছে, আমার মনেও। একুশে ফেব্রুয়ারি যদি কেবল ভাষা আন্দোলনই হবে, তাহলে পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই আন্দোলন গতি হারালো না কেন? ভাষা আন্দোলনটি কেন গড়াতে গড়াতে স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার যুদ্ধে রূপান্তরিত হলো? এই যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ শেষ হয়নি। একজন মার্কিন সাংবাদিকের মতেও এটা অসমাপ্ত যুদ্ধ (টহভরহরংযবফ ডধৎ)। বাংলাদেশের মাটিতে যুদ্ধ কি এখনো চলছে না? পাকিস্তানের শাসন নেই। কিন্তু পাকিস্তানপন্থীরা কি দেশের রাজনীতিতে দারুণভাবে সক্রিয় নয়? একাত্তরের গণহত্যা-পর্ব কি শেষ হয়েছে? ছোটখাটো গণহত্যা-পর্ব কি দেশের সর্বত্রই এই কিছুদিন আগেও সংঘটিত হয়নি? পাকিস্তান একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখন কি তার চাইতেও ভয়াবহ উগ্র ও হিংস্র ধর্মান্ধতা বাংলাদেশের রাজনীতিকে আচ্ছন্ন করে ফেলতে চাইছে না? এই অপশক্তিকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সেক্যুলার ভিত্তি ধ্বংস করে তাকে মধ্যযুগীয় তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে না? চৌষট্টি বছর আগে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সেক্যুলার শিবির ছিল শক্তিশালী। তারা তাদের লোকায়ত ভাষা ও সংস্কৃতির অভেদ্য বর্ম দ্বারা তখন ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার দানবের অভ্যুত্থান ঠেকিয়েছে। কিন্তু তার চূড়ান্ত পরাজয় ঘটাতে পারেনি। এখন সেক্যুলার শিবিরটি দুর্বল। তার ভাষা সংস্কৃতির বর্মটিও অক্ষত নয়। ধর্মান্ধতার দানব তাই আবার বুক থাবড়ে মাঠে নেমেছে যুদ্ধের জন্য। তার সন্ত্রাস কখনো অদৃশ্য, কখনো দৃশ্য। চৌষট্টি বছর আগে আমরা ভাষা সংগ্রামের আসল চরিত্রটি সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারিনি। বুঝতে সময় লেগেছে। এটা কেবল ভাষা সংগ্রাম ছিল না। ছিল ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার বিরুদ্ধে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার সংগ্রাম। এই সংগ্রাম বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন চেহারা ধারণ করেছে। কখনো যুক্ত নির্বাচন প্রবর্তনের দাবিতে, কখনো বাংলা হরফ রক্ষার জন্য, কখনো রবীন্দ্রসঙ্গীত বর্জনের পাকিস্তানী প্রচেষ্টা ঠেকাতে, কখনো পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার আন্দোলন পূর্ণ সশস্ত্র সংগ্রামের দিকে ক্রমান্বয়ে এগিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত ভাষা জাতীয়তাভিত্তিক একটি স্বাধীন নেশন-স্টেটের প্রতিষ্ঠা ঘটিয়েছে। আমরা ভেবেছি, ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার ঘাঁটি ভেঙে যখন পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি, তখন যুদ্ধ শেষ। শত্রুর নিপাত ঘটে গেছে। এই ভুলটা আমরা আরেকবার করেছিলাম, যখন পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তান সরকার কিছুটা পিছু হটে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে মেনে নেন, এবং স্বতন্ত্র নির্বাচন প্রথার বদলে যুক্ত নির্বাচন প্রথা প্রবর্তন করেন। পাকিস্তানে বাঙালিদের সমঅংশীদারিত্ব অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে মনে করে আমরা রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় হওয়া সত্ত্বেও পার্লামেন্টে ও চাকুরি-বাকুরি সর্বক্ষেত্রে প্যারিটি বা সংখ্যাসাম্যের দাবি মেনে নিয়েছিলাম। এটা ছিল শুধু তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের অধিকার-বঞ্চিত করার আরও বড় ফাঁদ নয়, পাকিস্তানের দুই অংশের মানুষেরই অসাম্প্রদায়িক জাতি সত্তাগুলো ধ্বংস করে ধর্মীয় জাতীয়তার নিগড়ে আরও শক্তভাবে তাদের বেঁধে ফেলার চেষ্টা। সেজন্যে প্রবর্তন করা হয় এক ইউনিট ব্যবস্থা। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাদের বাঙালি পরিচয় হারায় এবং পশ্চিম পাকিস্তানে সিন্ধী, বালুচী, পাঠান ইতাদি জাতিসত্তাগুলোর পরিচয় মুছে ফেলে শুধুমাত্র পাকিস্তানি পরিচয়ে তাদের চিহ্নিত করে রাখার ব্যবস্থা হয়। কলমের এক খোঁচায় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয় সিন্ধী, বালুচ, পশতু সভ্যতায় সকল অস্তিত্ব ও চিহ্ন। একটি অবাস্তব ধর্মীয় জাতীয়তার কঠিন নিষ্পেষণে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী ও জাতিসত্তার অস্তিত্ব ও পরিচয় মুছে ফেলার এই অমানবীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই সিন্ধুতে গড়ে ওঠে জিয়ে সিন্ধ্ আন্দোলন এবং সাবেক উত্তর-পশ্চিম সীমান্তপ্রদেশে গড়ে ওঠে পশতুনিস্তান মুভমেন্ট। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে গড়ে ওঠে তথাকথিত সংখ্যাসাম্য বা প্যারিটির বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ছয় দফা দাবির ভিত্তিতে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন লাভের সংগ্রাম। পাকিস্তানের ফৌজি প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান ছয় দফাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন আখ্যা দেন এবং ছয় দফা আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সোপর্দ করেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকে পাকিস্তান সরকার বর্বর দমননীতি চালিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। ছয় দফা আন্দোলনের বিরুদ্ধেও একই দমননীতি প্রয়োগ করেন, কিন্তু ভাষা সংগ্রামের মতো বাঙালি তার ছয় দফার যুদ্ধেও জয়ী হয়। এই দাবিকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলনের সূত্রপাত তারই পরিণতিতে স্বাধীনতার যুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। সম্মুখ সমরে পাকিস্তান হেরে গেছে, কিন্তু ধর্মভিত্তিক জাতীয়তায় বিশ্বাসী শক্তির চূড়ান্ত পরাজয় হয়নি। তারা বাংলাদেশের মাটিতেই আশ্রয় নিয়েছে এবং ক্রমে ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করেছে। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ তাদের সহায়ক শক্তি হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধে জয়ের আনন্দে বিভোর ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শিবিরের অসতর্কতা, তত্ত্বের লড়াই ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে একাত্তরের পরাজিত শত্রুই আবার রক্তাক্ত ছোবল হানে পঁচাত্তরে। এবার ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কায়দায় ঐক্যবদ্ধ হয় বাংলাদেশের মসক্ এ্যান্ড মিলিটারি। ধর্মীয় জাতীয়তায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল এবং উগ্র ধর্মান্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী দলবেঁধে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে এবং দেশটিতে শুরু হয় ধর্মভিত্তিক ও ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার কখনো প্রকাশ্য, কখনো অপ্রকাশ্য লড়াই। এ লড়াই এখনো চলছে। দেশে এই মুহূর্তে সেক্যুলার শক্তি ক্ষমতায় টিকে আছে বটে, কিন্তু তারা চারদিক থেকে শত্রুবেষ্টিত। ধর্মীয় জাতীয়তায় বিশ্বাসী চক্রগুলোর শক্তি বৃদ্ধি করেছে আন্তর্জাতিক জিহাদিস্ট সন্ত্রাস। আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকার এই সন্ত্রাসেরই বিরুদ্ধে লড়ছে। এই সরকারের অস্তিত্ব রক্ষা এবং যুদ্ধে চূড়ান্ত সাফল্য লাভের উপরেই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। ১৯৫২ সাল থেকে গত চৌষট্টি বছর ধরে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে এই যুদ্ধকে যে বিভিন্ন রূপে দেখেছি, সেই অসমাপ্ত যুদ্ধেরই চূড়ান্ত পর্যায় দেখছি এখন একুশ শতকের গোড়ার দশকগুলোতে। কেউ কেউ বলেন, এই গ্লোবালাইজেশন বা বিশ্বায়নের যুগে ভৌগোলিক ও ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। বিশ্বায়ন জাতীয়তাবাদের ক্ষুদ্র গ-ি ভেঙ্গে দিয়েছে। কথাটা কিছুদিন আগেও সঠিক মনে হলেও এখন আর সঠিক মনে হয় না। বর্তমানে ধর্মান্ধতা আন্তর্জাতিকতার চেহারায় আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে বটে সফল হবে না। এক সময় মনে হয়েছিল কমিউনিজমের আন্তর্জাতিকতা জাতি রাষ্ট্রের সীমানা ভেঙ্গে এক সাম্যবাদী বিশ্বের জন্ম দেবে। তা হয়নি। সোভিয়েট ইউনিয়নের সঙ্গে প্রথমেই বিবাদ বেধেছিল আরেক বড় কম্যুনিস্ট রাষ্ট্র নয়া চীনের। সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙে যেতেই জর্জিয়া, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান প্রভৃতি দেশ আলাদা হয়ে যায় এবং আলাদা জাতি রাষ্ট্র গঠন করে। মধ্যপ্রাচ্যেও দেখা যায় ধর্ম কোন রাষ্ট্রসঙ্ঘ গড়ে তুলতে পারেনি। সউদি আরবের বড় বিবাদ আরেকটি মুসলিম দেশ ইরানের সঙ্গে। সউদি আরব ইসরাইলে বোমা হামলা চালায় না, বোমা হামলা চালায় প্রতিবেশী মুসলিম দেশ ইয়েমেনে। ভৌগোলিক ও ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার আবেদন বিশ্বে এখনো প্রবল। অনেকের ধারণা মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মান্ধ জিহাদিস্টদের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটিয়ে আরব দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে পারবে আরব জাতীয়তাবাদ; ধর্ম নয়। মিসরের নাসেরের নেতৃত্বে এই আরব ঐক্য গড়ে উঠতে চলেছিল। সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্তে তা সফল হয়নি। এই আরব জাতীয়তাবাদের পুনরুজ্জীবন ঘটলে মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ ও জিহাদিস্টদের সকল চক্রান্তের অবসান হতে পারে বলে আশা করেন নিরপেক্ষ আরব রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। বাংলাদেশেও কোন তন্ত্রমন্ত্র নয়, ধর্মান্ধতা নয়, ভৌগোলিক, ভাষাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদই পারে সকল সঙ্কটের অবসান ঘটাতে। বায়ান্নতে এই জাতীয়তাবাদী চেতনারই সূচনা ঘটেছিল একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত যুদ্ধে। এই যুদ্ধই প্রসারিত হয়েছে একাত্তরে। কিন্তু সমাপ্তি ঘটেনি। আরও যুদ্ধ আরও সংগ্রাম সামনে রয়েছে। এবারের ফেব্রুয়ারিতে এ কথাটাই দেশের তরুণ প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। লন্ডন, ২ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০১৬।
×