ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবশেষে পুঁজিবাজারের পতন থামল

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অবশেষে পুঁজিবাজারের পতন থামল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা আট দিনের দরপতনের পর অবশেষে মূল্যসূচকের উত্থান হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে দেশের উভয় বাজারে সূচক বেড়েছে। তবে সূচক বাড়লেও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। তবুও সূচকের এই বৃদ্ধিতে আশার আলো দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ গত আট দিনের টানা দরপতনে সূচক কমেছিল ১৫৭ পয়েন্ট। অনেক কোম্পানিরই শেয়ার দর হারিয়ে তলানিতে ঠেকেছিল। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স ১৯.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দিন শেষে ৪ হাজার ৫৬০.৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাজারে সূচক বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ না বাড়াকে কিছুটা হতাশাজনক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গত আট দিনে পুঁজিবাজারে প্রায় ১৫০ পয়েন্ট সূচক কমেছে। সোমবার বাজারে সার্বিক সূচক বাড়লেও সেই হারে লেনদেন বাড়েনি। তাই বাজারের গতি ফেরাতে চাইলে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণকে বাড়ানো দরকার। লেনদেন না বাড়লেও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে না। এছাড়া সোমবারে বেশকিছু স্বল্প মূলধনী কোম্পানির বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। সেটিও বাজারের জন্য খুব ভাল কিছু নয়। কারণ মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের চাহিদা বাড়লেই বাজারে স্থিতিশীলতা টিকে থাকবে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৫টির, কমেছে ১০৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দর। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়লেও দিনটিতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। প্রধান বাজারে আগের দিনের চেয়ে তিন কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে। সারাদিন সেখানে মোট ৩৯৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোমবার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত, বীমা, জ্বালানি, ওষুধ ও বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। তবে মিশ্রাবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে প্রকৌশল খাতের। ব্যাংকিং খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে এ্যাপোলো ইস্পাত। দিন শেষে কোম্পানিটির ২৩ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ১৩ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিকস। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমেÑ সিটি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আইটি কনসালটেন্টস, এমারল্ড অয়েল, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি। ঢাকার বাজারের মতো দিনটিতে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। সারাদিন সেখানে সার্বিক সূচকটি মোট ৩১.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫২৯.১০ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দর। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ ন্যাশনাল ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ফু-ওয়াং সিরামিক, এ্যাপোলো ইস্পাত, স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, বেক্সিমকো, রিজেন্ট টেক্সটাইল, আইটিসি ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।
×