ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিহ্বার ব্যথা

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জিহ্বার ব্যথা

জিহ্বার ব্যথাকে ডাক্তারী ভাষায় গ্লসোডাইনিয়া বলা হয়। গ্লসো বলতে বোঝায় জিহ্বা আর ডাইনিয়া বলতে বুঝায় ব্যথা। জিহ্বার ব্যথার সঙ্গে জ্বালাপোড়া ভাব অনুভূত হতে পারে। যে সব কারণে জিহ্বার ব্যথা অনুভূত হতে পারে সেগুলো হলো : * দীর্ঘমেয়াদী মুখের প্রদাহ * দাঁত তোলার সময় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে *শুষ্ক মুখের বিরূপ প্রতিক্রিয়া *মুখের ছত্রাক সংক্রমণ * ভিটামিন স্বল্পতার কারণে * এলার্জিজনিত কারণে * রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে * মানবদেহের হরমোনের তারতম্যের কারণে * তামাক সামগ্রী ব্যবহারের কারণে * দুশ্চিন্তা বা বিষণœতায় * কিছু ওষুধ সেবনের কারণে। যেমন : (ক) ডায়ুরেটিক জাতীয় ওষুধ, (খ) ডায়াবেটিস রোগে মুখে খাওয়ার ওষুধ, (গ) দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ সেবন। গ্লসোডাইনিয়া বা জিহ্বার ব্যথা বার্নিং মাউথ সিনড্রোমের একটি লক্ষণ হতে পারে। তবে বার্নিং মাউথ সিনড্রোমে শুধু জিহ্বাই আক্রান্ত হয় না বরং মুখের বিভিন্ন স্থান আক্রান্ত হতে পারে। গ্লসোডাইনিয়ায় জিহ্বায় জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে এমনকি খাবার সময় কোন ঝাল জাতীয় খাবার না খেলেও। জিহ্বার ব্যথা কতদিন স্থায়ী হবে তা নির্ভর করে কি কারণে জিহ্বার ব্যথা অনুভূত হচ্ছে তার ওপর। যদি মুখের অভ্যন্তরে কোনো ধারালো দাঁত থাকে তাহলে অবশ্যই তার সমাধান করতে হবে দ্রুত। তা না হলে জিহ্বার ব্যথা কোনভাবেই দূর হবে না। জিহ্বার চিকিৎসা : * যেসব কারণে জিহ্বার প্রদাহ হতে পারে তা সমাধান করতে হবে। * ফিলিংয়ের অসম স্থান মসৃণ করতে হবে। * দাঁতে স্থাপিত ক্রাউন বা কৃত্রিম দাঁত অমসৃণ থাকলে তা মসৃণ করতে হবে। *স্থানীয়ভাবে প্রয়োগকারী কিছু মলম যথাযথ পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে আমাদের দেশে মুখস্থিত যেসব মলম প্রয়োগ করা হয় অনেক ক্ষেত্রেই তা রোগীর কোনো কাজে আসে না। * লিংগুয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাইক্রোসার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। * বেনজোডায়াজিপিন বা বিষণœতানাশক ওষুধ প্রয়োজন হলে প্রয়োগ করতে হবে। একটি কথা না বললেই নয়, জিহ্বার ব্যথা বা গ্লসোডাইনিয়া প্রায় ১৫০টি কারণে হতে পারে। উপরে সবার সচেতনতার জন্য একটি গাইড লাইন প্রদান করা হলো। তার মানে এই নয় চিকিৎসাও স্বল্পপরিসরে সীমাবদ্ধ। ডা. মোঃ ফারুক হোসেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
×