স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেত্রকোনার দুই রাজাকার মুসলীম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননী (৬২) ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের (৬৪) মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ মঙ্গলবার। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, দেশত্যাগে বাধ্য করা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ মোট ৬টি অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মুত্যুদ-প্রাপ্ত বদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রামের বাঙালী খান, জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীর রায়ের বিরুদ্ধে করা আপীল মামলা শুনানির জন্য সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে। আজ মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় মামলাটি ৬ নম্বরে রয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। নেত্রকোনার দুই রাজাকার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের মামলার রায় ঘোষণার জন্য সোমবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে রায়ের এ দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এর আগে ননী-তাহেরের যুদ্ধাপরাধের মামলাটি রায়ের জন্য কার্যতালিকায় আসে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য রয়েছেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। গত ১০ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষ হওয়ায় মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
৬ জানুয়ারি থেকে মোট চার কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী এবং আসামিপক্ষে ননী-তাহেরের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও গাজী এম এইচ তামিম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। প্রসিকিউশন যুক্তিতর্কে দাবি করেছেন, অভিযুক্ত আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এজন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে আসামিদের মৃত্যুদ- দেয়ার আরজি জানানো হয়।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি প্রসিকিউশন। তাই এসব অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার আরজি জানানো হয়। ননী-তাহেরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউশনের ২৩ সাক্ষী। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষীর নাম দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সাক্ষীকে হাজির করতে পারেননি তারা।
মীর কাশেম আলী ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মুত্যুদ-প্রাপ্ত বদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রামের বাঙালী খান, জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীর রায়ের বিরুদ্ধে করা আপীল মামলা শুনানির জন্য সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে। মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় মামলাটি ৬ নম্বরে রয়েছে।