ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রয়টার্সের জরিপ

জ্বালানি তেলের দাম ৪০ ডলারে উঠতে পারে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জ্বালানি তেলের দাম ৪০ ডলারে উঠতে পারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইরানের জ্বালানি তেলে সয়লাব হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজার। তারপরও এ বছর পণ্যটির গড় দাম থাকবে ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারের কিছু উপরে। রয়টার্স পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২৯ জন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে। এতে পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে, এ বছর নর্থ সি ব্রেন্ট ক্রুড শ্রেণীর জ্বালানি তেলের গড় দাম থাকবে ব্যারেলপ্রতি ৪২.৫ ডলার। গত মাসে দেয়া পূর্বাভাস থেকে যা ১০ ডলার কম। গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে অপেক্ষাকৃত উন্নত মানের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে ৫৪ ডলার। এ থেকে জানুয়ারিতে দাম কমেছে ৯ শতাংশ। গত ২০১৪ সালের জুন মাসে এই দাম ছিল ১১৫ ডলার। বছরের প্রথম মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে এক ব্যারেল তেল বিক্রি হয়েছে ৩০ ডলারের নিচে। যা ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে কম দাম। এর আগে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এক পূর্বাভাসে জানায়, ২০১৬ সালে তেলের বাজারে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করবে। ২০২০ সালের মধ্যে এ দাম উঠতে পারে ৭০ ডলারে। তবে তেল উৎপাদক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো প্রত্যাশার চেয়ে আরও বেশি ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করায় এ সময়ের মধ্য তেল বাজারে ওপেকভুক্ত দেশগুলোর জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করে তারা। প্রতিষ্ঠানটির হিসেব মতে, বিশ্বে তেল উৎপাদনের পরিমাণ কমে এসেছে। ১৯৭০ দশকে যেখানে ৫০ শতাংশ তেল উৎপাদন হতো বর্তমানে তা কমে এসেছে প্রায় ৩০ শতাংশে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শেল ওয়েলের বাড়তি উৎপাদন। এ কারণে ১৩ বছরে সর্বনিম্ন দামে পৌঁছেছে এ বাজার। এদিকে ইরানের উপর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় এখন বাজারে যুক্ত হতে যাচ্ছে দেশটি। এর ফলে অনেকেই মনে করছেন, বিশ্ব বাজারে ইরানের যুক্ত হওয়া মানে সরবরাহ বেড়ে যাওয়া। আর এমনটি হলে তেলের দাম আরও কমবে। অর্থনৈতিকভাবে আরও ধরা খাবে এর উৎপাদক দেশগুলো। মার্কিন ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে এ পণ্যের দাম ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলারে ঠেকতে পারে।
×