ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভালবেসে বিয়ে করেও যৌতুক থেকে রেহাই পাননি জহুরা

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ভালবেসে বিয়ে করেও যৌতুক থেকে রেহাই পাননি জহুরা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সিরাজদিখানে নির্যাতন সইতে না পেরে জহুরা বেগম আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। যৌতুকের দাবিতে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদের নির্যাতনে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। পরে তাকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুল শেখের মেয়ে জহুরা বেগমকে ভালবেসে একই ইউনিয়নের আব্দুল কাশেম সিকদারের ছেলে জাবের সিকদার ৯ বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকলোভী স্বামী জাবের, শ্বশুর আব্দুল কাশেম, শাশুড়ি জরিনা বেগম ও ননদ আমেনা অমানসিক নির্যাতন করত। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বিচারও হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে যৌতুকের দাবিতে জহুরা বেগমকে মারপিট করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে স্থানীয়রা জহুরাকে উদ্ধার করে প্রথমে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মিটফোর্ড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন ডাক্তার। জহুরা বেগম মোটামুটি আশঙ্কামুক্ত হলে শ্বশুর আব্দুল কাশেম শিকদার জহুরাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। জহুরার মামা সেলিম মল্লিক জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এর আগে বেশ কয়েকবার যৌতুকের জন্য আমার ভাগ্নিকে মারধর করে। ভাগ্নির দিকে তাকিয়ে স্বামী-শ্বশুরের চাওয়া মোতাবেক একাধিকবার টাকা দিয়েছি। এরপর আরও টাকা দাবি করে। সেই টাকা না দিতে পারায় তার স্বামী জাবের সিকদার, শ্বশুর আব্দুল কাশেম সিকদার, শাশুড়ি জরিনা বেগম ও স্বামীর বোন আমেনা যৌতুক দাবি করে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করত। কেরানীগঞ্জে অপহৃত শিশু রাজবাড়ীতে উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১ ফেব্রুয়ারি ॥ কালিগঞ্জ থেকে অপহরণের শিকার দেড় বছরের শিশুকন্যা সানজিদা আক্তারকে রাজবাড়ী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে রাজবাড়ীর সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও শিশুটিকে উদ্ধার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল। গ্রেফতারকৃতরা হলেন রিপন (১৮) ও শাওন (১৯)। পুলিশ জানায়, রিপন ও শাওন অপহৃত শিশুর বাবা আনোয়ার হোসেনের দোকানের কর্মচারী। কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জে আনোয়ার হোসেনের বোতাম ও হ্যাঙ্গার বিক্রির দোকান রয়েছে। ওই এলাকায় তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। কয়েকদিন টাকা পয়সা আত্মসাতের অভিযোগে রিপনকে দোকান থেকে বের করে দেন আনোয়ার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপর কর্মচারী শাওনের সহায়তায় শুক্রবার সকালে বাসা থেকে সানজিদাকে অপহরণ করে রিপন। কয়েক ঘণ্টা পর আনোয়ারের মোবাইলে কল দিয়ে গালমন্দ করেন এবং মুক্তিপণ দাবি করে।
×