ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অন্তরালে

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অন্তরালে

ফিরে দেখা পথের পাঁচালী উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ছবি কোন্্টি? শ্রেষ্ঠ অথবা শ্রেষ্ঠতম! উপমহাদেশের মানচিত্রটা মূলত ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মিলে। চলচ্চিত্র শিল্প আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে এই উপমহাদেশে হাজার হাজার ছবি নির্মিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। অতীত ও বর্তমান মিলিয়ে শ্রেষ্ঠতম ছবি কোন্্টিকে বলা যায়? জানি, এর উত্তরে একেকজন একেক ছবির কথা বলবেন। কেননা, ছবি বা ছায়াছবি যা-ই বলি না কেন, অথবা বায়োস্কোপ বা ফিল্ম, সর্বদাই ব্যক্তি মানুষের নিতান্তই ভাল লাগা মন্দ লাগার ওপর নির্ভর করে। আবার চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের সঙ্গে আমজনতার দর্শন রুচিরও হেরফের ঘটা বা থাকা স্বাভাবিক। আর সে কারণেই সেরা ছবির প্রশ্নোত্তর একেকজনের কাছ থেকে একেক রকম পাওয়া স্বাভাবিক ও সঙ্গত। এক্ষেত্রে কেউ হয়ত আওয়ারার কথা বলবেন, কেউ মুঘল-ই-আজম, কেউবা শোলে বা শক্তি, কেউ দেবদাস, কেউ জাগো হুয়া সাবেরা অথবা মাটির ময়না, বিন্দু থেকে বৃত্ত ইত্যাদির কথা বলবেন। এ প্রসঙ্গে ভোটাভুটি হলেও, তা সে ব্যালট পেপার বা অনলাইন যা-ই হোক না কেন, বিভিন্ন রকম উত্তর পাওয়া যাবে। তবে এ পর্যন্ত নির্মিত হাজার হাজার ছায়াছবির ভিড়ে যদি অন্তত শ্রেষ্ঠতম ছবিটি বেছে নিতে বলা হয় এবং এর উত্তরে কেউ বলেন সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’, তাহলে বোধকরি নড়েচড়ে বসবেন কম-বেশি সবাই। অতি বুদ্ধিজীবী কেউ কেউ আমতা আমতা করে বিকল্প কিছু একটা ভেবে দেখার ভান করলেও অন্তত কিছুতেই কোন অবস্থাতেই ফেলে দিতে পারবেন না পথের পাঁচালীকে। এটি এমনই এক দুর্মর ও দুর্লঙ্ঘ ছবি, যা নিঃসন্দেহে উপমহাদেশে এ যাবত নির্মিত সব ছায়াছবিকে পেছনে ফেলে অবলীলাক্রমে নিজের স্থান দখল করে নেয় বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এবং আন্তর্জাতিক মানের মানচিত্রে। প্রসঙ্গত বলি, সত্যজিৎ রায় স্বয়ং লিখিতভাবে ঋত্বিক ঘটককে মহৎ চলচ্চিত্রকার বলতে দ্বিধা করেননি এবং কমল কুমার মজুমদারের মতো উন্নাসিক লেখক পথের পাঁচালী দেখে ভাল লাগেনি বলায় বিষণœ হলেও তাতে করে চিরায়ত এই ফিল্মটির শ্রেষ্ঠত্বের তকমা একটুও খাটো হয় না। শুধুই চলচ্চিত্র হিসেবে পথের পাঁচালীর এমনই মহিমা। পাঠক, ভাবতে পারেন, হঠাৎ করে পথের পাঁচালী প্রসঙ্গের অবতারণা কেন? চিরন্তন ও কালজয়ী ছবি পথের পাঁচালী মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৫ সালের ২৬ আগস্ট। লেখা বাহুল্য, সিনেমা হলে ছবিটি আদৌ চলেনি। একেবারে সুপার ফ্লপ। ঢাকার অভিজ্ঞতাও তাই। কেননা আধুনিক সিনেমার দর্শক তখন আদপেই তৈরি হয়নি। উপমহাদেশের দর্শক মূলত সিনেমা দেখতে গিয়ে মোটা দাগে মোটামুটি ফ্ল্যাট গল্প, ফ্ল্যাট নাচ-গান তথা বিনোদন সর্বোপরি নায়ক-নায়িকায় দুঃখমোচন তথা মিলন দেখতে সমধিক ইচ্ছুক। পথের পাঁচালীতে এসব কিছুই নেই, তবে যা আছে তা আগে উপমহাদেশে নির্মিত কোন চলচ্চিত্রেই ছিল না। এই প্রথম দৃশ্য ও কবিতা মিলে তৈরি হলো দৃশ্যকাব্য, সেইসঙ্গে শ্রুতিমূর্ছনা মিলে তৈরি হলো এক মহাকাব্য। মনে পড়ে সাদা-কালো পর্দাজুড়ে মুখর বৃষ্টিপাত এবং সেইসঙ্গে রবি শংকরের তিন মিনিটের সেতার মূর্ছনা, দেশ রাগে। কী অপূর্ব ও অনুভূতিপ্রবণ! এই দৃশ্য দেখে অভিভূত কোন মানুষের না হৃদয়মন আর্দ্র হয়? পথের পাঁচালীর প্রায় প্রতিটি দৃশ্যকাব্য নিয়ে চুলচেরা আলোচনা-সমালোচনা সিনেমা ক্রিটিকরা করুন সিনেমার ক্লাসে, আপত্তি নেই। আমরা আপাতত এই বলে ক্ষান্ত হতে চাই যে, পথের পাঁচালী কেবল অপু-দুর্গার গল্প নয়, বরং এটি মানুষের চিরকালের শৈশবের গল্প, যা চিরন্তন ও মানবিক। সেই পথের পাঁচালীর হারিয়ে যাওয়া প্রথম চিত্রনাট্য তথা স্কেচবুকটি এতদিনে খুঁজে পাওয়া গেছে, খবর এটুকুই। ১৯৫০ সালে বিলেত থেকে দেশে ফিরে সত্যজিৎ রায় ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর উপন্যাস পথের পাঁচালী নিয়ে ছবি নির্মাণ করবেন। এই লক্ষ্যে সেদিন তিনি ছবি নির্মাণের জন্য কাহিনীটিকে ফ্রেমবন্দী করেছিলেন নিজের স্কেচবুকেÑ নানারঙে আঁকা কমিকসের ধাঁচে। কোন কোনটির নিচে ছোট ছোট সংলাপও ছিল, নিজের কথায়, নিজের ভাষায়। আর সবাই জানেন, সত্যজিতের ছবিতে সংলাপ ও ছবি প্রায়ই তার নিজস্ব, অবশ্য পথের পাঁচালীসহ আরও দু’একটি ছবি বাদে। ৫৮ পৃষ্ঠার এই স্কেচবুকের রচনাকাল ১৯৫০ সাল। সে সময় এই চিত্রনাট্য নিয়ে তিনি নানা প্রযোজকের কাছে ধরনা দিয়ে যথারীতি বিফল মনোরথ হয়েছিলেন। তারপর পথের পাঁচালী নির্মাণ করেছিলেন বহু ধারদেনা করে, স্ত্রীর গয়না বেচে ভাঙ্গা ক্যামেরা দিয়ে। এই ইতিহাসও কমবেশি সবারই জানা। তো সেই স্কেচবুকটি হারিয়ে গিয়েছিল। প্যারিসের বিশ্বখ্যাত জাদুঘর ‘সিনেমাটিক ফ্রাঁসেজ’ চিত্রনাট্যটি নিজেদের সংগ্রহে রাখা তথা সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ পাঠিয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের কাছে। সত্যজিৎ সেটি তখন পাঠিয়ে দেন প্যারিসে। সেখান থেকেই হারিয়ে যায় স্কেচবুকটি। একই সঙ্গে অপুর সংসারের অরিজিনাল চিত্রনাট্যও। মৃত্যুর আগে অসুস্থ অবস্থায় সত্যজিৎ রায় দেখতে চেয়েছিলেন চিত্রনাট্যটি। তখনই ধরা পড়ে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা। তবে সম্প্রতি সত্যজিৎ রায়ের একমাত্র পুত্র সন্দীপ রায় স্কেচবুকটির একটি ডিজিটালাইজড কপি সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছেন ভিন্ন কোন সূত্র থেকে। আগামী ২ মে সত্যজিৎ রায়ের ৯৫তম জন্মদিনে সেটি বই হয়ে প্রকাশের অপেক্ষায় সুযোগ্য পুত্রের সম্পাদনায়। এখানে একটি প্রশ্ন। সত্যজিৎ রায় খুবই গোছানো এবং হিসেবী স্বভাবের লোক ছিলেন। সেক্ষেত্রে তিনি প্রথম ছবির প্রথম চিত্রনাট্যটি নিজের সংগ্রহে না রেখে প্যারিসে পাঠিয়ে দিলেন কেন? হয়ত কোনদিনই এর সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে পথের পাঁচালী আদৌ ব্যবসাসফল তথা দর্শকধন্য না হওয়ায় তিনি কি অল্পবিস্তর হতাশ ছিলেন? আবার এও হতে পারে যে, সোভিয়েত ও মার্কিন চলচ্চিত্র বিশেষ করে গ্রিফিথের ভক্ত হওয়া সত্ত্বেও মূলত সত্যজিৎ রায় ছিলেন ফ্রেঞ্চ ফিল্মের পূজারী, ন্যুভেল ভাগ বা নবতরঙ্গ অনুপ্রাণিত। জাঁ রেনোয়ার সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছেন দ্য রিভার ছবিতে। গোদারের ছবির ছিলেন দারুণ ভক্ত। সত্যজিৎ রায় ১৯৪৮ সালে জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক রচনাটি লেখেন ইংরেজীতে ‘হোয়াট ইজ রং উইথ ইন্ডিয়ান ফিল্মস?’ একই সময় প্যারিসেও সে দেশের চলচ্চিত্রকার ও তাত্ত্বিক আলেকসাঁদ্রে আস্ত্রুক লেখেন নবতরঙ্গ সম্পর্কে ‘লা ক্যামেরা স্টিলো’ বা ক্যামেরা লেখনী। অতঃপর সত্যজিৎ রায়ও লিখে ফেললেন ভগ্নপ্রায় ক্যামেরা দিয়ে এক অমর লেখনী পথের পাঁচালী, যাতে আছে ডিপ ফোকাস ফটোগ্রাফির অপার মহিমাÑ যা বাস্তবের চেয়েও বাস্তব, অতি মানবিক ও চিরন্তন, সর্বোপরি অশ্রুতপূর্ব সেই মহাসঙ্গীত, যা কেবলই ভেসে আসে মানুষের হৃদয়মনে, চিত্তহরণে, আনন্দশ্রবণে এবং শেষাবধি আমরা প্রায় প্রত্যেকেই অপু-দুর্গার সঙ্গে একাত্ম ও একাকার হয়ে যাই। যুক্তরাষ্ট্রের তুষারঝড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গৃহবন্দী। না, উত্তর কোরিয়ার আকস্মিক হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণের ভয়ে ভীত হয়ে নয় অথবা দীর্ঘকালের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ইরানের দূরপাল্লার মিসাইলও ওবামার দিকে তাক করা অবস্থায় নেই। বরং প্রেসিডেন্ট ওবামাকে বাধ্য হয়ে গৃহবন্দিত্ব বরণ করতে হয়েছে ভয়াবহ তুষারপাত, আরও সঠিক অর্থে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে। অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ দুটো প্রাকৃতিক উপসর্গ আদৌ নতুন নয়। বরং গত কয়েক বছর ধরেই আমেরিকা কবলিত হচ্ছে মারাত্মক তুষারপাত ও তুষারঝড়ে। তবে এবারেরটি ভয়াবহতম। সে দেশের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৮৬৯ সালের পর এমনটা আর কখনোই হয়নি। আমেরিকার পূর্ব উপকূলের ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্কসহ প্রায় অর্ধেকাংশজুড়ে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ তুষারপাত; সেইসঙ্গে একটানা ৩৬ ঘণ্টাব্যাপী তীব্র তীক্ষè তুষারঝড়। শহরগুলোতে চলাচলের ক্ষেত্রে ফৌজদারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় জনজীবন হয়েছে বিপন্ন ও বিপদগ্রস্ত। কমপক্ষে তিন-চার ফুট কঠিন বরফের নিচে চাপা পড়েছে রাস্তাঘাট, গাড়ি-ঘোড়া, দোকানপাট, হোটেল-রেস্তরাঁ, ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ইত্যাদি। নিউজার্সির আটলান্টিক শহরে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্সিয়াল পদপ্রার্থী ডোলান্ড ট্রাম্পের বহুতলবিশিষ্ট আলোকোজ্জ্বল বিলিয়ন ডলার ক্যাসিনো ট্রাম্পস বিল্ডিংয়ে ঢুকেছে বন্যার পানি। সরিয়ে নেয়া হয়েছে মানুষজন। অবশ্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যুর খবরের পাশাপাশি তুষারাবৃত খোলা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে শ্বেত-শুভ্র পোশাকে বিবাহবন্ধনের খবরও আছে। আছে শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বসিত হিল্লোল ও আনন্দ আয়োজন। একেই বুঝি বলে ভোগবাদী সমাজ! ট্র্যাজেডি হলো, এই মাত্র কিছুদিন আগে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে কনফারেন্স অব পার্টিজ বা সিওপি-২১। ১৯৫টি দেশের বাঘা বাঘা নেতার উপস্থিতিতে চল্লিশ হাজার প্রতিনিধি পৃথিবীকে বিপদ থেকে উদ্ধারের নানা উপায় খুঁজেছেন। অন্যতম উপায় বিশ্বের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে এই বৃদ্ধির হার শিল্প বিপ্লবের তুলনায় একুশ শতকে কোনমতেই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম না করে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এই সম্মেলনে প্রত্যেকে এক স্বেচ্ছা নির্ধারিত বিধিনিষেধের কথা বলেছে বটে; তবে তা না মানলে সেই দেশের বিরুদ্ধে আদৌ কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। আমেরিকা এই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শীর্ষে অবস্থান করছে। ১৯৯২ সালে রিওডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত বসুন্ধরা সম্মেলনে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ঘোষণা করেছিলেন, আমেরিকানরা তাদের ভোগবাদী জীবনশৈলী বদলাবে না। ১৭৫০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বায়ুম-লে যত পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড মিশেছে, তার ৪০ শতাংশই জমেছে গত চার দশকে। তথ্য সমীক্ষা বলছে, ১৮৫১-২০১১ সালের মধ্যে বাতাসে মেশা মোট কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রায় ৪০ শতাংশ এসেছিল আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকে। রাশিয়া, কানাডা ও জাপানের সংযোজন ছিল প্রায় ১৩ শতাংশ। কম ছিল না চীনেরওÑ প্রায় ১৩ শতাংশ। ২০১৪ সালে প্রকাশিত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর ৫ম প্রতিবেদন বলছে, একুশ শতকের গত ১৫ বছরের মধ্যে ১৪টি বছর ছিল বিশ্বের ইতিহাসে উষ্ণতম। এবারও তাই। এল নিনোর প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। এর ফলে কোথাও অনাবৃষ্টি ও খরা, অতিবৃষ্টি ও বন্যা, আবার কোথাওবা তীব্র ও ভারি তুষারপাত-তুষারঝড় হতে পারে। একদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, অন্যদিকে গ্লোবাল কুলিং। একদিকে প্রতি দশকে উত্তর মেরুর বরফ গলছে প্রায় ৪ শতাংশ হারে। গলে যাচ্ছে হিমালয়ের হিমবাহ। কিলিমানজারোর শৃঙ্গে এখন বরফ নেই বললেই চলে। অন্যদিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের হাত ধরে অস্বাভাবিক তুষারপাত ও ভয়ঙ্কর তুষারঝড় কবলিত আমেরিকা, ইউরোপ, সর্বোপরি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া- চীন, তাইওয়ান, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, জাপান। এই অবস্থায় হঠাৎ করে বিশ্বব্যাপী কমতে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম- যা প্রায় ৩০-৪০ ডলার প্রতি ব্যারেলে নেমে এসেছে। শীতার্ত মানুষের জন্য উত্তাপের প্রয়োজনে এটি একটি দারুণ প্রত্যাশার খবর হতে পারে। তবে এও সত্য যে, যত বেশি জ্বালানি তত বেশি উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, তত বেশি কার্বন নিঃসরণ তথা বায়ুদূষণ। এ যেন পৃথিবীর দিকে চক্রাকারে অনিবার্য ধেয়ে আসছে প্রকৃতির প্রতিশোধ। ভোগবাদী সমাজের ভয়ঙ্কর এক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া!
×