ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৫২ বছর পর পৈত্রিক ভিটায় ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

৫২ বছর পর পৈত্রিক ভিটায় ত্রিপুরার  শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, দাউদকান্দি, ৩১ জানুয়ারি ॥ ৫২ বছর পর নিজ জন্মভূমি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামে পা রাখেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী। বাংলাদেশে প্রবেশ করে যতটা না আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন তার চেয়ে বেশি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন গ্রামের মাটিতে পা রাখার পর। সকাল থেকে সবাই উন্মুখ হয়ে বসে আছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শিক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি ও আইনমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী আসবেন বলে। জন্মভূমি পূর্বপুরুষদের কথা মনে করে বারবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছিলেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে রেখে যাওয়া শানবাঁধা পুকুর ঘাটে দাঁড়িয়ে বারবার তাকাচ্ছিলেন আর ইশারা করে তার সেই চির চেনা গাছ-গাছালিগুলোর দিকে দেখাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুপ্রিতি চক্রবর্তীকে। বাপ-দাদার ভিটামাটি থাকলেও ঘরগুলোতে এখন বসবাস করছে মুসলমানরা। তারপরও তাঁকে বরণ করতে বাড়ির ও আশপাশের কয়েক হাজার লোকজন ভিড় জমায়। পুরনো সেই ঘরগুলো না থাকলেও স্মৃতিবিজড়িত গোটা বাড়িটা এবং আশপাশ ঘুরে ঘুরে দেখে তিনি তাঁর অতীত স্মৃতি হাতড়াতে থাকেন। সঙ্গে সহধর্মিণী সুপ্রিতি চক্রবর্তীকেও চোখের জল মুছতে দেখা যায়। এ সময় তিনি উপস্থিত এলাকাবাসীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে আমি কলেজ লেখাপড়া করি। তখন বাংলাদেশে যুদ্ধ চলছে। এদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনিং নেয়ার জন্য ভারতে যায়। আমরা কলেজ ছাত্ররা মিলে তাদের থাকা-খাওয়াসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। রবিবার সাড়ে ১১টায় জন্মভূমি আমিরাবাদ পৌঁছার পরপরই গ্রামবাসীসহ দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব) মোহাম্মদ আলী সুমন, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার ভূমি এ এইচ এম মাহফুজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুজিনা আক্তার, দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালাম মিয়া, দাউদকান্দি প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হাজারী, তিতাস প্রেসক্লাব সভাপতি ওমর ফারুক মিয়াজী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব ঘোষ, গৌরীপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জরহরলাল বণিক, বাড়ির বর্তমান মালিক ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম প্রমুখ তাদের ফুলের তোড়া দিয়ে উষ্ণ সংবর্ধনা জানান।
×