ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাভার ও উখিয়ায় দুই শিশু ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সাভার ও উখিয়ায় দুই শিশু ছাত্রী  ধর্ষণের শিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ৩১ জানুয়ারি ॥ আশুলিয়ায় এক শিশু স্কুলছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। শনিবার রাতে আশুলিয়া থানাধীন আউকপাড়া আদর্শ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, রাতে ওই শিশুকন্যা এমএ জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী পাশের গ্রামের খালাত ভাই হাসমতের বাড়ি থেকে নিজ বাসার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে শিশুটিকে মুখ বেঁধে ধরে নিয়ে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে ধর্ষণ করে একই এলাকার কামরুল ইসলামের বখাটে ছেলে সুজন। শিশুটি ধর্ষণকারী যুবকের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে এসে ঘটনাটি তার পিতা-মাতাকে জানায়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী সুজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে জানান, ঝুপড়ি ঘর থেকে তুলে নিয়ে উখিয়ার মনখালীতে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে কতিপয় লম্পট গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার এতিম শিশু স্থানীয় মনখালী পূর্বপাড়ার হতদরিদ্র মৃত মীর কাশেমের মেয়ে। শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, প্রায় এক যুগ আগে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মারা যান ওই শিশুর পিতা মীর কাশেম। মা জুবেদা খাতুন পরের ঘরে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছে। শুক্রবার রাতে জুবেদার ঝুপড়ি ঘরের দরজা ভেঙ্গে স্থানীয় আলী আহাম্মদের পুত্র রাশেল, মৃত আবুল কাসেমের পুত্র ফারুকসহ কতিপয় লম্পট জুবেদাকে ঘরে বেঁধে রেখে ঘুমন্ত মেয়েকে (১৩) তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভোররাতে ছেড়ে দিয়েছে। পরে মেয়েটি ধর্ষণকারী রাসেলের বাড়িতে বিচার চাইতে গেলে রাসেলের মা-বাবা ও ভাইয়েরা মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। গুরুতর আহত মেয়েটি চিকিৎসার অভাবে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে বলে জানা গেছে।
×