ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ানডে সিরিজও নিউজিল্যান্ডের

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ওয়ানডে সিরিজও নিউজিল্যান্ডের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তানর বিপক্ষে বৃষ্টি বিঘিœত শেষ ওয়ানডেতে ৩ উইকেটের চিত্তাকর্ষক এক জয় পেল নিউজিল্যান্ড। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০তে জিতে নিল কিউইরা। ওয়েলিংটনের প্রথম ওয়ানডে ৭০ রানে জিতেছিল স্বাগতিকরা। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় নেপিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ। অকল্যান্ডে ৪৭.৩ ওভারে ২৯০ রানে অলআউট হয় টস জিতে ব্যাটিং নেয়া পাকিস্তান। বৃষ্টির বাগড়ায় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৪৩ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে ২৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারিত হয়। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ২ বল আগে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের দল। ৮২ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দিয়ে ‘নায়ক’ বনে যান মার্টিন গাপটিল। এর আগে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ ২-১এ জিতেছিল কিউইরা। সফরজুড়ে নিজেদের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা ধরে রেখেই খেলা শেষ করল পাকিস্তান। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একপর্যায়ে স্কোর বোর্ডে ২০ রান তুলতে ২ উইকেট হারায় আজহার আলির দল, সেই তারাই শেষ পর্যন্ত তিন শ’র কাছাকাছি অলআউট হয়। মজার বিষয়, পাকিদের স্কোরটা ৩৪০ বা ৩৫০Ñও হতে পারত। ৩ উইকেটে ২০৭ রান তুলে নিয়ে বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ স্কোর বোর্ডে রানের চাকা যেভাবে ঘোড়াচ্ছিলেন, মনে হচ্ছিল অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ফেলবে পাকিস্তান। রেকর্ডটা ৩৪০ রানেরÑ ২০০৭ সাল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড যেটি করেছিল শক্তিধর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু হঠাৎই ব্যাটিং বিপর্যয়। ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ বলে কথা! ২১৫ থেকে ২৯০ পর্যন্ত যেতে ৭ উইকেট নেই পাকিস্তানের। ইনিংসের তখনও ১৫ বল বাকি! তবু ফাইটিং সংগ্রহের রূপকার মোহাম্মদ হাফিজ ও বাবর আজম। দু’জনই আউট হন হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে। হাফিজের ৬০ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটি ৫ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো। টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিরর পথে বাবরও ছিলেন দারুণ প্রাণবন্ত। ৭৭ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮৩ রান তার। লোয়ার-অর্ডারে ৫০ বলে ৫ চারের সাহায্যে সরফরাজ আহমেদ করেন ৪১ রান। ৭৬ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারালে সফরকারীদের আরও বড় স্কোরের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ৩ উইকেট নিয়ে কিউইদের সেরা বোলার পেসার এ্যাডাম মিলনে। ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। জয়ের জন্য ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬ রানেই ব্রেন্ডন ম্যাককুলামকে হারিয়ে ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। হাল ধরেন মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন। গাপটিল (৮১ বলে ৮১) ও উইলিয়ামসনের (৮৬ বলে ৮৪) পর শেষদিকে কোরি এ্যান্ডারসন (২৯ বলে ৩৫) আর লুক রনকির (২১ বলে২০) ব্যাট থেকে আসে সময়োপযোগী দুটি ইনিংস। ৩৬তম ওভারে বৃষ্টি এলে ৪৩ ওভারে ২৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারিত হয়। ওই সময় ৫ উইকেটে ২১০ রান তুলে ফেলা নিউজিল্যান্ড ২ বল আগে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তবে ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছে কিউইরা। ৩৯তম ওভারে রাহাত আলির বল এ্যান্ডারসনের ব্যাট ছুঁয়ে গেলেও পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার বিলি বাউডেন। ততক্ষণে আজহারদের ডিআরএসের কোটাও শেষ। এ্যান্ডারসন আউট হলে ‘ক্লোজ’ ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। মোহাম্মদ আমির ও আজহার নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
×