ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবার ক্রিকেটে ফিরছেন ক্লার্ক

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আবার ক্রিকেটে ফিরছেন ক্লার্ক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রিকেট তার রক্তে মিশে। তাই তো ব্যাট-বল ছেড়ে থাকতে পারছেন না মাইকেল ক্লার্ক। বাইশগজে ফিরছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, ৩৪ বছর বয়সী ক্লার্ক ফিরছেন ঘরোয়া টি২০ টুর্নামেন্টে। গত বছর ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ উপহার দিয়ে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরে ব্যক্তিগত বাজে ফর্মের সঙ্গে এ্যাশেজ ব্যর্থতার হতাশা সঙ্গী করে টেস্ট ছাড়েন ক্লার্ক। মাঝে পরিবার, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সময়টা মন্দ কাটেনি। কিন্তু ধ্যান-জ্ঞান করা ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে পারছেন না আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল এই ব্যাটসম্যান। ‘গত চার মাস ক্রিকেট ছাড়া সময়টুকো আমি উপভোগ করেছি। শরীর ও মন দুটোই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। তবে পাশাপাশি এই সময়ে অনুভব করেছি, ক্রিকেট আমার রক্তে। পরিবর্তে আর কী করা যায়Ñ সেটি নিয়েও অনেক ভেবেছি।’ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন ক্লার্ক। আর ভাবতে গিয়েই বুঝলেন আসলে ক্রিকেটকেই মিস করছেন তিনি। সে কারণেই বাইশ গজে ফেরার সিদ্ধান্ত, ‘শুধু জানি, আমি কখনই কোন কিছুকে চিরতরে বিদায় বলতে পারব না। আপাতত ওয়েস্টার্ন সোবার্সের হয়ে শুরু করি, দেখা যাক এটা আমাকে কোথায় নিয়ে যায়।’ যদি ফেরাটা উপভোগ করেন তাহলে বিশ্বজুড়ে টি২০ টুর্নামেন্টেও তাঁকে দেখা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন ক্লার্ক, ‘টি২০তে আমার কিছু কাজ বাকি আছে। খেলার জন্য বিগ ব্যাশ আছে, আইপিএল আছে, আরও কত টি২০ টুর্নামেন্ট।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্লার্কের বিদায়টা মোটেই সুখকর ছিল না। বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে যাওয়ার পর। দলীয় ‘টিম এফোর্ডে’র সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়াকে ট্রফি উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক হিসেবেই। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এ্যাশেজে দলের ভরাডুবির মাঝে সেটি আরও প্রকট হয়ে ধরা পড়ে। এ্যাশেজের প্রথম চার টেস্টের আট ইনিংসে তার স্কোরÑ ৩৮, ৪ ৭, ৩২*, ১০, ৩ ও ১০, ১৩! সঙ্গে দুই-তিন মৌসুম ধরে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি প্রবলভাবে ভোগাচ্ছিল নিউসাউথ ওয়েলসে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটারকে। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। ক্লার্কের নেতৃত্বে ৪৭ টেস্টের ২৪টিতে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, হার ১৬টিতে। আর ৭৪ ওয়ানডের ৫০টিতে জয়, হার ২১। ১৩টি টেস্ট সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে জিতিয়েছেন ৮টিতে। চতুর্থ অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক হিসেবে উপহার দিয়েছেন বিশ্বকাপ। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখার পর টেস্টে ১১৫ ম্যাচে প্রায় ৫০ গড়ে করেছেন ৮,৬৪৩ রান। সেঞ্চুরি ২৮টি। ২৪৫ ওয়ানডেতে সংগ্রহ ৭,৯৮১ রান। সেঞ্চুরি ৮টি। ফেরাটা হোক না ঘরোয়া টি২০তে, এমন এক শৈল্পিক ব্যাটসম্যানকে দেখতে পাওয়ার আনন্দটাই তো অনেক।
×