ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রসিকিউশন পক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন

সাখাওয়াতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দী ১৫ ফেব্রুয়ারি ॥ যুদ্ধাপরাধী বিচার

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সাখাওয়াতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দী ১৫ ফেব্রুয়ারি ॥ যুদ্ধাপরাধী বিচার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির নেতা সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ রাজাকারের বিরুদ্ধে ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উপস্থাপন করেছে প্রসিকিউশন পক্ষ। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত। সাখাওয়াত হোসন ছাড়া বাকি ৮ জন হলেন- মোঃ বিল্লাল হোসেন (৭৫), মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (৬০), শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান (৬১), মোঃ আঃ আজিজ সরদার (৬৫), আঃ আজিজ সরদার (৬৬), কাজী ওহিদুল ইসলাম (৬১), মোঃ লুৎফর মোড়ল (৬৯) ও আব্দুল খালেক মোড়ল (৬৮)। এদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেনসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের পর কারাগারে রয়েছেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। এছাড়া সাখাওয়াত হোসেনের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান এবং অন্যদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান। গত ২৩ ডিসেম্বর এ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন সংসদ সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনসহ বাকি ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। গত ১৪ জুন তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচ অভিযোগ আনে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২০১২ সালের ১ এপ্রিল সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত করার জন্য নথিভুক্ত হয়। ২০১৩ সালের ১৩ নবেম্বর থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন আবদুর রাজ্জাক খান। সাখাওয়াত ১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির সংসদ সদস্য হন। ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন সাখাওয়াত। এর পর ২০০১ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। এর পর দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এখন এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির নেতা তিনি। প্রসিকিউশন পক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ এনেছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে অভিযোগ ১: যশোরের কেশবপুর উপজেলার বোগা গ্রামে এক নারীকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ধর্ষণ। অভিযোগ ২: একই উপজেলার চিংড়া গ্রামের চান্দতুল্লা গাজী ও তার ছেলে আতিয়ারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যা। অভিযোগ ৩: কেশবপুরের চিংড়া মোঃ নুরুদ্দিন মোড়লকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন। অভিযোগ ৪: কেশবপুরের হিজলডাঙার আঃ মালেক সরদারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও খুন। অভিযোগ ৫: কেশবপুরের মহাদেবপুর গ্রামের মিরন শেখকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ওই গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন।
×