ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালের নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনীর কাজ শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শাহজালালের নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনীর কাজ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যোগ দিয়েছে বহুল আলোচিত কম্পোজিট ফোর্স (বিশেষ বাহিনী)। রবিবার সকালে এ বাহিনী আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করে। বিমানবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এই ফোর্সের প্রথম দফায় এক শ’ জনের মধ্যে রবিবার যোগ দিয়েছে বিমানবাহিনীর ৪০ জন ও আনসারের ২০ সদস্য। পুলিশের ৪০ জন সদস্য এখনও বিমানবন্দরে যোগ দিতে পারেনি। তবে চলতি সপ্তাহেই তারাও যোগ দেবেন বলে জানা যায়। শাহজালালের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কেএম জাকির হাসান জনকণ্ঠকে জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তারা ডিউটি করছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন গেট, স্ক্যানিং মেশিন, চেকইন, ভিআইপি লাউঞ্জ, বোর্ডিং ব্রিজসহ অন্যান্য এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা ঘাটতি মেটাতেই তারা বিশেষভাবে সহযোগিতা দিচ্ছেন। সিভিল এ্যাভিয়েশনের অন্য নিরাপত্তাকর্মীরা ঠিকমতো ডিউটি করছেন কি-না সেটাও পর্যবেক্ষণ করছে এ ফোর্স। জানা যায়, বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এসব সদস্যের নিয়ন্ত্রণভার থাকছে পরিচালক শাহজালাল ও নিজ নিজ বিভাগের কাছে। এদের অপারেশনাল কমান্ড থাকবে পরিচালক শাহজালালের কাছে আর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে নিজ নিজ বিভাগে। প্রাথমিক এক শ’ সদস্যকে সিভিল এ্যাভিয়েশনেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ সময় তাদের স্ক্যানার অপারেট করা, লাগেজ চেক করা ও যাত্রীদের সঙ্গে আচরণবিধি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আপাতত তাদের নিরস্ত্র হিসেবেই কাজে মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রুপ ক্যাপ্টেন কেএম জাকির হাসান বলেন, এ ফোর্স আপাতত এভসেকের সদস্য হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। সিভিল এ্যাভিয়েশনের মূল নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে নতুন এ সদস্যরা যোগ দেয়ায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। উল্লেখ্য, গত তিন মাস ধরে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন প্রতিনিধিরা বার বার বিমানবন্দরের যাত্রী চেকইন, লাগেজ স্ক্যানিং ও কার্গো স্ক্যানিং সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা সরেজমিন শাহজালাল বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে শুরু করে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদারের কোন বিকল্প নেই। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সন্তোষ প্রকাশ ॥ শাহজালালের নিরাপত্তায় বিশেষ নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েনসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার মিজ এ্যালিসন ব্লেক। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চলমান সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে রবিবার সচিবালয়ে বৈঠককালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বৈঠকে এ্যাভিয়েশন সিকউরিটি সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সন্তোষ প্রকাশ করেন।
×