ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অটোরিক্সায় নৈরাজ্য

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অটোরিক্সায় নৈরাজ্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মহানগরীতে চলাচলরত অটোরিক্সার ৬২ ভাগ চুক্তিতে চলাচল করে। মিটারে চলাচলকারী অটোরিক্সার ৮১ শতাংশ ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ দাবি করে। যাত্রীদের চাহিদার গন্তব্যে যেতে রাজি হয় না ৭৩ ভাগ অটোরিক্সা। এছাড়াও প্রাইভেট অটোরিক্সা ভাড়ায় যাত্রী বহন এবং ঢাকা জেলার অটোরিক্সা বেআইনীভাবে ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রবেশ করে ৩৮ শতাংশ গাড়ি মিটারবিহীনভাবে চলাচল করছে। বেসরকারী সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। রবিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, মালিক-চালকদের মনঃপূত ভাড়া কার্যকরের পর ‘কেমন চলছে অটোরিক্সা?’ এই শিরোনামে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেন। গত ২০ থেকে ২৮ জানুয়ারি সপ্তাহব্যাপী রাজধানীর ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে ১০ হাজার ৯৩টি অটোরিক্সায় যাত্রী সেবার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এই সময়ে ১ হাজার ১৬০ জন অটোরিক্সা যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। নামমাত্র খরচে পরিচালিত সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় মালিক, চালক, সরকার মিলে যাত্রী স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এক লাফে ভাড়া ৬০ ভাগ বাড়িয়েও এই সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রতিবেদনে দেখা যায়, পর্যবেক্ষণকালে ঢাকা মহানগরীর সদরঘাট, গুলিস্তান, প্রেসক্লাব, পল্টন, কাকরাইল, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, খিলগাঁও চৌরাস্তা, ফকিরাপুল, ফার্মগেট, মালিবাগ, মিরপুর-১০, ধানম-ি, এলিফ্যান্টরোড, শাহবাগ, বিমানবন্দর, মহাখালী এলাকা ঘুরে উপরোক্ত চিত্র দেখা গেছে। এসব অনিয়ম প্রতিরোধে পর্যবেক্ষণকালীন সময়ে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উক্ত এলাকায় বিআরটিএ বা অন্যকোন সংস্থার কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। পর্যবেক্ষণকালে যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, রাত ৯টার পর এবং সকাল ৮টার আগে কোন অটোরিক্সা মিটারে চলে না। এর আগে গেল বছরের ১ নবেম্বর সিএনজিচালিত অটোরিক্সার বর্ধিত ভাড়া কার্যকর করা হয়। এরপর বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যরা ঢাকা মহানগরীতে গত ১ ও ২ নবেম্বর দুই দিন ধরে পল্টন, প্রেসক্লাব, শাহবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, মহাখালী, মিরপুর, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর রেল স্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পর্যবেক্ষণ করে। এসব এলাকায় প্রায় ২২৫টি অটোরিক্সা চালক ও ২৪৭ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে। এতে ১৯৮টি সিএনজি অটোরিক্সা মিটারে চলাচল করছে বলে চালক-যাত্রী প্রতিনিধিদল জানিয়েছে। বাকি ২৭টি অটোরিক্সার ১০টিতে কোন মিটার পাওয়া যায়নি। ১৭টি অটোরিক্সা চালক বা যাত্রীর ইচ্ছায় চুক্তিতে চলাচল করতে দেখা গেছে।
×