ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মণিরামপুরে অতি জরাজীর্ণ ২৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে

৫০ প্রাইমারী স্কুল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

৫০ প্রাইমারী স্কুল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ‘স্কুল ঘরে ক্লাস করতি ভয় লাগে, কখন যে ছাদ ভাইঙ্গে মাথায় পড়ে, ভয়ে ভয়ে ক্লাস করতি হয়। মাঝে মাঝে স্যার-আপারা স্কুল মাঠে ক্লাস নেয়’- কথাগুলো বলছিল মণিরামপুর উপজেলার শাহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাকিবুল হাসান। উপজেলার অর্ধ-শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনের অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। আর যে কারণে বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেয়া হচ্ছে মাঠে। জানা গেছে, মণিরামপুর উপজেলায় ২৬২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে অর্ধ-শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন খুবই জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলগুলোর মধ্যে নেবুগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটপাকিয়া-বেগমপুর, কপালিয়া, দূর্বাডাঙ্গা, পাড়িয়ালি, খেদাপাড়া, তারুয়াপাড়া, বাজেকুলটিয়া, তেঘরী, চাপাকোনা, শৈলী, জামলা, জোকা, তেঁতুলিয়া, হাসাডাঙ্গা, মণিরামপুর আদর্শ, গোয়ালবাড়ি, গালদা মাঠপাড়া, গোবিন্দপুর উত্তর, দক্ষিণ মাছনা, পূর্ব বিজয়রামপুর, কাজিরগ্রাম-পাঁচবাড়িয়া, খেদাপাড়া পূর্বপাড়া, শাহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। সরেজমিন উপজেলার শাহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাফফর হোসেনকে স্কুলের মাঠে চতুর্থ শ্রেণীর বাংলার ক্লাস নিতে দেখা যায়। প্রধান শিক্ষকা মেহেরুন্নেছা জানান, বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের পাসের হার শতভাগ। সেই স্কুলের শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে নির্বিঘেœ ক্লাস করতে পারছে না। কয়েক বছর ধরে স্কুল ভবনের ছাদ খসে খসে পড়ছে। ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান চলছে, কখনও কখনও স্কুলের মাঠে। আর এ কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ভবন নির্মাণের জন্য লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অভিভাবক আজিজুর রহমান জানান, ছাদ ভাঙ্গার ভয়ে মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকি। বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল হোসেন জানান, নতুন ভবনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার সরদার বলেন, শুধু শাহপুর স্কুল নয়, উপজেলার অর্ধ-শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন জরাজীর্ণ। ইতোমধ্যে অতি জরাজীর্ণ ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রর এর সমাধান হবে। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ॥ কলেজ ছাত্রীর মামলা স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নয়ন নামে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার ওই ছাত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। আসামি নয়ন শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলার ইবাদুল হকের ছেলে। পুলিশ জানায়, যশোর উপশহর মহিলা কলেজ থেকে ২০১৫ সালে ওই ছাত্রী এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি বরিশালের কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারি মাসে নয়নের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নয়ন তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে একাধিকবার ‘ধর্ষণ’ করেছে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে নয়ন ওষুধ খাইয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে। এরপর নয়নকে বিয়ে করতে বললে সে অস্বীকার করে। আসামি নয়ন আটক হয়নি।
×