ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত চরম ঝুঁকিপূর্ণ

বাইশ হাজার মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

বাইশ হাজার মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন এলাকা এখনও আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। এই ইউনিয়নের ২২ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। আধুনিক যুগে এসেও ওই ইউনিয়নের মানুষ বড়ই অবহেলিত। স্বাধীনতার ৪৪বছর পেরিয়ে গেলেও ছোট যমুনা নদীর ওপর পারাপারের জন্য আতাইকুলা-কুজাইল নামক স্থানে নদীর ওপর একটি ব্রিজের দাবি এলাকাবাসীর অনেকদিনের। শুধু একটি ব্রিজের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে মিরাট ইউনিয়নের হামিদপুর, বড়খোল, জালালাবাদ, বৈঠাখালী, হরিশপুর, কনৌজ, আতাইকুলা, মিরাটসহ ১১টি গ্রামের ২২ হাজার বাসিন্দা। বর্ষাকালে নৌকায় নদী পারাপার হলেও পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। যা এলাকাবাসীসহ বিশেষ করে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে নদী আর বিল বেষ্টিত অবহেলিত ইউনিয়ন মিরাট। বছরের বেশি সময় ধরে বন্যার পানি চারদিকে থৈ থৈ করে। পারিবারিক প্রয়োজনে তখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই বিলের পানি কমতে থাকায় পানি-কাদার মধ্যে হেঁটেই উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় নওগাঁর এই ছোট যমুনা নদী পার হয়ে যেতে হয়। নদীতে নাব্য সঙ্কটের কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় আতাইকুলা-কুজাইল নামক স্থানে নদী পারাপারের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার সবচেয়ে বেশি বোরো ধান উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত এই মিরাট ইউনিয়নে যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোন পথ নেই। এখানকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যসামগ্রী বাজারজাত করতে না পারায় নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। অথচ এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয় রাণীনগরের ধান- চালের বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে খ্যাত কুজাইল বাজার ও একই সঙ্গে আতাইকুলা মিরাটে যাতায়াতের অনেক সুবিধা হবে। কেরানীগঞ্জে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রকে অপহরণ নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ৩০ জানুয়ারি ॥ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহ (১১) নামে এক স্কুলছাত্র অপহরণের শিকার হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের কাছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করছে অপহরণকারীরা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচরের বাসা থেকে বের হয়ে আব্দুল্লাহ নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে আব্দুল্লাহর দাদা মারফত আলী কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আব্দুল্লাহ মুগারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবার নাম বাদল হোসেন। তিনি কুয়েত প্রবাসী। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফেরদাউস হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পরিচিত কেউ অপহরণের সঙ্গে যুক্ত। আশা করি শীঘ্রই ছেলেটিকে উদ্ধার করতে পারব।
×