ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসে যোগ দেয়ার দায়ে ব্রিটিশ নারী দোষী সাব্যস্ত

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

আইএসে যোগ দেয়ার দায়ে ব্রিটিশ নারী দোষী সাব্যস্ত

জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য হওয়ার দায়ে এক ব্রিটিশ নারীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তারিনা শাকিল (২৬) নামে ওই নারী তার ১৪ মাস বয়সী ছেলেসহ নিয়ে সিরিয়া গিয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে ফিরে আসা তিনিই প্রথম ব্রিটিশ নারী যাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। তার দ- পরে ঘোষণা করা হবে। খবর বিবিসি ও টেলিগ্রাফের। টুইটারে বার্তা পোস্ট করার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার দায়েও বার্মিংহামের বাসিন্দা তারিনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তারিনা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি সিরিয়া যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। বার্মিংহাম ক্রাউন কোর্টে দুই সপ্তাহ শুনানির পর জুরি তার দাবি প্রত্যাখ্যান করে। তারিনা দাবি করেছিলেন যে শুধু শরীয়া আইনের আওতায় তিনি জীবনযাপন করতে চান। আইএসের কালো পতাকা ছবি ও হাতে অস্ত্র তুলে নেয়ার আহ্বান সংবলিত তারিনার টুইট, বার্তা ও ছবি জুরির কাছে উপস্থাপন করা হয়। তিনি শহীদ হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। তারিনা ২০১৪ সালের অক্টোবরে সিরিয়া যান এবং এর চার মাস পরে জানুয়ারিতে আবার ব্রিটেনে ফেরত আসেন। এরপর তিনি দাবি করেন, তাকে তুরস্ক থেকে অপহরণ করে সিরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ বলেছে, তারিনা সিরিয়া থেকে ফিরে আসার পর হুমকি হয়ে ওঠে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার আইনজীবীরা বলেছেন, অসুখী পারিবারিক জীবনের কারণে তারিনা তার ছেলে নিয়ে সিরিয়ায় যান। জুরি তারিনার সব ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আইএসের সদস্য হওয়া এবং সিরিয়া যাওয়ার আগে সন্ত্রাসবাদ উৎসাহিত করে টুইটারে বার্তা পোস্টের দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। চীনে খনি ধস ॥ জীবিত চার শ্রমিক ৩৬ দিন পর উদ্ধার চীনের শ্যানডংয়ে গত বছর ডিসেম্বরে একটি খনিতে ভূমিধসের ৩৬ দিন পর শুক্রবার রাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে চার শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ধসেপড়া জিপসাম খনি থেকে তাদের নিরাপদে উঠিয়ে আনা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, খনি থেকে একজন বেরিয়ে আসছে এবং উদ্ধারকারীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। খবর এএফপির। গত ২৫ ডিসেম্বরে ঘটা ওই দুর্ঘটনায় ১৭ শ্রমিক খনির ভেতর আটকা পড়ে। পরে চারজনকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। মাটি থেকে ৬৫ ফুট নিচে ওই চার শ্রমিককে জড়সড় হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। তারাই উদ্ধার পেল। সে সময় আটকা পড়া এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। বাকিদের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
×