ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রবণযন্ত্রেও জটিলতা

জিকা ভাইরাস ॥ শিশুরা ভুগছে মারাত্মক চোখের সমস্যায়

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

জিকা ভাইরাস ॥ শিশুরা ভুগছে মারাত্মক চোখের সমস্যায়

ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রভাবে অস্বাভাবিক ছোট মাথা এবং অপরিণত ব্রেন নিয়ে জন্মানো শিশুরা চোখেরও মারাত্মক সমস্যায় ভুগছে। তাদের শ্রবণযন্ত্রেও সমস্যা হচ্ছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। খবর ইয়াহু নিউজ ও এএফপির। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যামিলা ভেন্তুরা বলেন, ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরের একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা অস্বাভাবিক ছোট মাথার ১৩৫টি শিশুর অর্ধেকেরও বেশি চোখের অপটিক নার্ভ ও রেটিনা সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হওয়ায় তাদের দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত কম। এছাড়া অধিকাংশের চোখ টেরা। তাদের চোখ জন্ম থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। এদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের দৃষ্টিশক্তিতে মারাত্মক জটিলতা রয়েছে। গত বছরের মে থেকে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তারপর থেকে দেশটিতে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে শিশু জন্মানোর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছর অক্টোবর থেকে ব্রাজিলে ৩,৮৯৩টি শিশু ছোট মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। যেখানে আগে একই সময়ে মাত্র ১৬০টি শিশু এ ধরনের সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করত। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, শুধু ব্রাজিল নয় বরং পুরো আমেরিকা মহাদেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে ক্যারিবিয়ান এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ২১টি দেশে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশের সরকার এ সময় নারীদের গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-বাজিল যৌথভাবে কাজ করবে ॥ জিকা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে একটি উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় কার্যক্রম শুরু করতে একমত হয়েছে ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুক্রবার জিকা ভাইরাস নিয়ে তাদের ‘অভিন্ন উদ্বেগ’ নিয়ে আলোচনা করেন। হোয়াইট হাউস জানায়, ভাইরাসটি ঠেকাতে আরও আধুনিক প্রতিষেধক আবিষ্কার ও প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জ্ঞান ও উন্নত গবেষণাকে কাজে লাগাতে এবং কার্যক্রম জোরদারে সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের ব্যাপারে নেতৃবৃন্দ একমত হয়েছেন। তারা আরও ব্যাপকভাবে সংক্রামক ব্যাধি মোকাবেলায় জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সক্ষমতাকে অব্যাহত অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন। রুসেফের কার্যালয় জানায়, দ্বিপক্ষীয় গ্রুপ টিকা তৈরি ও রোগ নিরাময়সংক্রান্ত বিষয়ের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে। ডেঙ্গুর প্রতিষেধক নিয়ে ব্রাজিল’স বুতানতান ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ এবং ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ যেভাবে সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করেছে তার ওপর ভিত্তি করেই জিকা ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করবে ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র।
×