ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল অপরাধ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল অপরাধ

॥ নয় ॥ বহুদিন ধরেই আমরা সরকারের নানা স্তরের কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পুলিশকে বলেছি। পত্রিকায় লিখেছি, টিভিতে অনুষ্ঠান করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু একদিকে পতঙ্গের মতো ধাবমান তরুণদের আমরা ফেরাতে পারিনি, অন্যদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে সক্রিয় করা যায়নি। এই প্রতারকদের শিরোমণি ডুলেন্সারের মালিক প্রায় হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়ে সিঙ্গাপুর পালিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। অন্যরাও পলাতক। কেবল স্কাইলেন্সার ধরা পড়েছে। অথচ যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামান্য তৎপরতা প্রদর্শন করত তবে লাখ লাখ তরুণ কোটি কোটি টাকায় প্রতারিত হতো না। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, রোগী জীবিত থাকতে আমরা চিকিৎসা করি না যখন তার দম শেষ হয়ে যায় তখন সকলে লাফিয়ে পড়ি। আমাদের আরও দুর্ভাগ্য যে, আমরা কখনও অর্থলোভের হাত থেকে বেঁচে থাকতে পারি না। বিনা পরিশ্রমে অনায়াসে টাকা কামাই করার লোভটা সামলাতে না পেরে বহু তরুণ আজ পথের ভিখারি হলো, এর জন্য আফসোস করারও উপায় নেই। নিবন্ধটি যখন আপডেট করা হয় তখন এই প্রতারণা স্তিমিত হয়ে পড়েছে। ইদানীং তেমন প্রতারণা চোখে পড়ছে না। তবে আবার কোন ডিজিটাল ফাঁদে প্রতারণা জমে থাকতে পারে- সেই আশঙ্কা তো আছেই। প্রসঙ্গত এটি বলে রাখতে চাই যে, ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ের ক্লিক প্রতারণা না থাকলেও এখন প্রশিক্ষণ ও কাজ দেয়ার নামে প্রতারণা চলছে। বিষয়টি খুব ব্যাপক আকার ধারণ করেনি বলে হয়ত এখনকার ঘটনাগুলো মিডিয়াতে আসে না। তবে সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত এই ধরনের হাইপের পেছনে যে প্রকৃত সত্য লুকিয়ে আছে তা তুলে ধরা। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে দুনিয়াতে আউটসোর্সিংয়ের বিপুল পরিমাণ কাজ থাকলেও উপযুক্ত দক্ষতা না থাকলে এতে যুক্ত হওয়া যায় না। অন্যদিকে ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ৮. ডিজিটাল চুরি : কৌশলে ক্রেডিট কার্ডের টাকা চুরির অভিযোগে চেন শপ স্বপ্ন’র এক কর্মচারীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জুবায়ের হোসেন শাহেদ ও মো. খলিল। শাহেদ চেন শপ স্বপ্ন’র কর্মচারী। পুলিশ দু’জনের কাছ থেকে কয়েকটি ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ফোনের সিম উদ্ধার করেছে। মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বিডিনিউজ২৪কে বলেন, স্বপ্নর টাউন হল শাখা থেকে সাদিকুল ইসলাম নামের একজন ব্যবসায়ী গত ২২ এপ্রিল ১২ এক হাজার টাকার মালামাল কেনেন। যে কর্মচারী (শাহেদ) তার (সাদিকুল) কার্ড পাঞ্চ (বিশেষ যন্ত্রে কার্ড ঘষা) করেছিল সে কৌশলে ক্রেডিট কার্ডের কোন তথ্য নিয়ে সেই তথ্য দিয়ে ইন্টারনেটে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি ল্যাপটপ কিনেছে। সাদিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমকে বলেন, ২৩ এপ্রিল ১২ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে ফোন করে জানানো হয় আমার ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে অনলাইনে এক লাখ ৩৩ হাজার টাকার পণ্য কেনা হয়েছে। তখন তিনি এ পণ্য কিনেননি বলে জানান। ২৪ এপ্রিল ১৩ ব্যাংকের ধানম-ি শাখায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। গ্রেফতারকৃতরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। (সূত্র: ২৯ এপ্রিল ২০১২, বেলা ১টা) খবরটি আতঙ্ক সৃষ্টি করার মতো। বাংলাদেশে এখন লাখ লাখ মানুষ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। স্বপ্নর মতো অনেক দোকানে এসব কার্ড অবিরত ব্যবহৃত হয়। এসব দোকানের কর্মচারীরা যদি এ ধরনের হ্যাকিং করে তবে সাধারণ কার্ড ব্যবহারকারীরা সত্যি সত্যি বিপদে রয়েছে। যদিও বলা হয়েছে যে তারা কৌতূহলের বশে এমন কাজ করেছে তথাপি আমাদের ধারণা এটি তাদের পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ। সাধারণভাবে কার্ড পাঞ্চ করার সময় কার্ডের নম্বর ছাড়া আর কোন তথ্য পাবার কথা নয়। কিন্তু তারা সেই যন্ত্রে কার্ড পাঞ্চ করে পিন নম্বর পেয়ে গেলেন কেমন করে? এই কৌশলটি একজন সাধারণ দোকানদারের জানার কথা নয়। তদন্ত করলে হয়ত থলের বেড়াল বের হবে এবং তারা যে এ বিষয়ে সিদ্ধহস্ত সেটিও জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি যে, ইন্টারনেটে লেনদেন করার ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের কিছু নিরাপত্তাজনিত সমস্যা আছে। ইন্টারনেটে ক্রেডিট কার্ড চার্জ করার জন্য কেবল কার্ড নম্বর ও সিকিউরিটি নম্বর লাগে যেটি কার্ডের গায়ে লেখাই থাকে। ফলে কেউ যদি কার্ডটি তার হাতে পায় তবে কোন পাসওয়ার্ড বা পিন নম্বর ছাড়াই সেটি ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে কোনভাবে যদি কার্ডের নম্বরের সঙ্গে কার্ডের গায়ে মুদ্রিত সিকিউরিটি কোডটিও পাওয়া যায় তবে ইন্টারনেটে কেনাকাটা করতে কোন অসুবিধাই হয় না। ফলে ইন্টারনেটে প্রতারণা করার একটি সহজ পথ এখনও খোলা। এই কারণেই বাংলাদেশের প্রধান ক্রেডিট কার্ডগুলো ইন্টারনেটের জন্য উন্মুক্ত থাকে না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ইন্টারনেটে বাণিজ্যের প্রসার সহজ হবে না। বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির মাত্রাটি চরম আকার ধারণ করার লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে। গত ১১ জুন ১৩ ঢাকার দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় এই বিষয়ে অত্যন্ত ভয়াবহ একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। ‘সাবধান আপনার পাশেই আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত চক্র। তাদের খপ্পরে পড়লে হঠাৎ করে শূন্যের কোটায় নেমে আসতে পারে আপনার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট। অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন আপনি। ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত চক্রের ফাঁদে পড়ে ইতোমধ্যেই নিঃস্ব হয়েছেন অসংখ্য লোক। কেবল তাই নয়, এই চক্রের কবলে পড়ে ইতোমধ্যেই একজন নারীর নির্মম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তবে জালিয়াত চক্রের শিকার হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অভিযোগ করলেও ভুক্তভোগীদের অনেকেই কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। উল্টো ব্যাংক কর্মকর্তাদের গালমন্দের শিকার হয়েছেন তাদের অনেকে। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে গ্রেফতারকৃত ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার পর অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জালিয়াত চক্রের সদস্যরা তিনটি ডিজিটাল এবং একটি এনালগ পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। প্রথমত, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কোন আইটি (ইনফরমেশন টেকনোলজি) এক্সপার্ট কিংবা সিস্টেম এনালিস্টের ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীদের বোকা বানিয়ে একের পর এক টার্গেট পূরণ করে যাচ্ছে। চক্রের সদস্যরা গ্রাহক ও এটিএম বুথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলে বুথের দরজায় আঠা দিয়ে একটি বিশেষ ডিভাইস বা কার্ড রিডার (ম্যাগনেটিক) বসিয়ে দেন। ওই রিডার এটিএম কার্ডের সব তথ্য স্ক্যান করে ফেলে। আর যেখানে এটিএম বুথের বাটন থাকে ঠিক তার ওপরে একটি গোপন মুভি ভিডিও ক্যামেরা বসান। আর গ্রাহক যখন বুথ থেকে টাকা তুলতে গোপন পিন নম্বর চাপতে থাকে সেই দৃশ্য ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ হয়ে যায়। নিরাপত্তা কর্মীকে বোঝানো হয়, যে কেউ বুথে প্রবেশ করলে তাকে ক্রেডিট বা এটিএম কার্ড বুথের দরজায় থাকা কার্ড রিডারে পাঞ্চ করতে হবে। এতে করে গ্রাহক সম্পর্কে ব্যাংকে তথ্য থাকবে। যে তথ্য গ্রাহকের জন্য পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রয়োজনে কাজে লাগবে। দ্বিতীয়ত, চক্রের সদস্যরা এটিএম বুথে প্রবেশ করে ইনসার্ট মুখে আলাদা একটি ডিভাইস সংযুক্ত করে দেন। আবার কেউ কেউ এটিএম বুথের মেশিনে কার্ড প্রবেশ মুখের মতো একই ধরনের আরও একটি ইনসার্ট মুখ তৈরি করে তাতে আলাদা ডিভাইস বসিয়ে দেন। ওই ডিভাইসে এটিএম কার্ডের সব ধরনের তথ্য স্ক্যান হয়ে যায়। এসব তথ্য চুরি করে মাত্র কয়েক মিনিটে এটিএম কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড তৈরি করেন জালিয়াত চক্রের সদস্যরা। গত মে মাসে মিরপুরের বাসিন্দা শাহিন আলম নামের একজন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে এ বিষয়টি গোয়েন্দাদের গোচরীভূত হয়। জালিয়াত চক্রের খপ্পরে ব্যাংকে তার এ্যাকাউন্টে থাকা ২৫ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। এ ব্যাপারে অভিযোগ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা শুরুর দিকে তাকেই উল্টো গালমন্দ করেন। পরবর্তীতে গত ১ জুন মিরপুর বেসরকারী ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ থেকে গ্রেফতারকৃত মোশারফ হোসেন এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগের প্রাক্কালে শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মহানাথাস পন্নুথারাই গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদের জানিয়েছেন, ক্রেডিট কার্ড তৈরির মাল এবং বিশেষ ধরনের যন্ত্র তারা বুলগেরিয়া এবং ইংল্যান্ড থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়ে আসেন। তারা ইতোমধ্যে শতাধিক লোকের এটিএম এবং ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে সব ধরনের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন। শীঘ্রই তারা নকল কার্ড তৈরি করে ওই সব ব্যক্তিদের হিসাব এ্যাকাউন্টে হানা দিতেন। তাদের টার্গেট ছিল ১০ কোটি টাকা। এ চক্রের সঙ্গে ইংল্যান্ড, কানাডা এবং বুলগেরিয়ার জালিয়াত চক্রের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন সুপার শপের এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন্স) মেশিনে বিশেষ ডিভাইস স্থাপন করেও এটিএম বুথের মতো করে কার্ড জালিয়াতি করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুপার শপের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে ম্যানেজ করেই তা সম্ভব। পরবর্তীতে ওই তথ্য ক্লোন করে আলাদা আরেকটি কার্ড তৈরি করতে পারেন জালিয়াত চক্রের সদস্যরা। ...নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সুপার শপের মালিকদের এবং সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সচেতন না হলে সাধারণ মানুষ আরও দুর্ভোগে পড়বেন। একই সঙ্গে সিকিউরিটি কোম্পানির সদস্যদের জন্য বিশেষ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে কর্নেল কিসমত হায়াৎ জানান, রাজধানীতে অন্তত ছয়টি ক্রেডিট কার্ড ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা মাইক্রোবাস এবং প্রাইভেটকারে চড়ে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ক্রেডিট এবং ডেভিড কার্ড ছিনতাই করে তাদের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। সম্প্রতি রেডিসন হোটেলের কর্মচারী আলেয়া ফেরদৌসী হত্যাকা-ের তদন্ত করতে গিয়ে তারা এ বিষয়টি উদঘাটন করেছেন। একই সঙ্গে এ ধরনের আরেকটি চক্রের কিছু মহিলা বিদেশী নাগরিকদের ডেবিট কার্ড চুরি করে বিভিন্ন সুপার শপ থেকে মূল্যবান দ্রব্য কেনাকাটা করছেন। ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, ইতোমধ্যেই তারা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয় অবহিত করেছেন। দ্বিমাত্রিক এটিএম কার্ডের বদলে উন্নত দেশগুলোর মতো আরও নিরাপত্তা সংবলিত ত্রিমাত্রিক এটিএম কার্ড সংযোজন করার জন্য তারা সুপারিশ করেছেন। তিনি আরও জানান, এ ধরনের প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বেসরকারী ব্যাংকগুলোর প্রথম স্তরের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। এটি কোন স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ কোনো নিরাপত্তা কর্মী যদি ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে নিরাপত্তা কর্মীর চাকরি নিয়ে থাকেন এবং তিনি যদি কোন ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত চক্রের সঙ্গে যোগ দিয়ে কাজ করেন, তাহলে তাকে ধরা সম্ভব নয়। এ জন্য এটিএম বুথে কর্মরত নিরাপত্তা কর্মীর সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটি নিশ্চিত করতে প্রথমেই চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মীর পুলিশ ভেরিফিকেশন হওয়া বাধ্যতামূলক। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলোচনা করে আমি এটি জানতে পেরেছি যে একটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড বিভাগের কিছু কর্মকর্তা প্রায় ১১৮ কোটি টাকা জালিয়াতি করেছে। দিনে দিনে এসব জালিয়াতির ঘটনা বাড়তেই থাকবে- এই বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৫ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ [email protected] w.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×