ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির গেটে সমন

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির গেটে সমন

বহুল প্রচারিত একটি দৈনিকে ২৭ জানুয়ারিতে প্রথম পৃষ্ঠায় রঙিন অক্ষরে ছাপা হওয়া একটা খবর থেকে আজকের শিরোনামটি নির্ধারণ করেছি। ওই খবরের মূল শিরোনাম ছিল- খালেদার বাড়ির গেটে সমন বিএনপিতে উৎকণ্ঠা। মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতাকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য প্রদানের জন্য একটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে উক্ত সমন ইস্যু করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারিতে বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার সমন। সমন গ্রহণ করতে কেউ রাজি না হওয়ায় বিধি মোতাবেক সেটি বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির গেটে সেঁটে দেয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়ার যে বক্তব্যের কারণে মামলা এবং সমন জারি সেটি রাষ্ট্রদ্রোহ কিনা এবং তার বিচার কি হয় তা দেখার জন্য এখন আমাদের আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা নিজেদের সুবিধামতো আইন ও সংবিধানের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যে ব্যাখ্যার প্রতি জনমানুষের আস্থা থাকার কোন কারণ নেই, তাদের ট্র্যাক রেকর্ডই সে কথা বলে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন এরশাদ সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সকালে বললেন ক্ষমতা হস্তান্তরের কোন বিধান সংবিধানে নেই। কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যা না হতেই দেখা গেল বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়ে গেছে এবং মওদুদ সাহেব পালিয়েছেন আর এরশাদ আটক হয়েছেন। ২০০৬ সালের শেষের দিকে, জামায়াত-বিএনপি সরকারের শেষান্তে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমদ সংবিধানের একাধিক ধারা লঙ্ঘন করে স্বয়ং নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হলেন। তৎকালীন বিএনপির আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বললেন, সব ঠিক আছে, সংবিধানের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। তারপর কি ঘটেছে তা আমরা সবাই জানি। ইয়াজউদ্দিন সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কারণেই এবং তার জের ধরে দেশের ওপর মহাদুর্যোগ নেমে আসে। ইয়াজউদ্দিন চক্রান্তের কুশীলব মওদুদ আহমদ এবং তার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও রেহাই পাননি। সঙ্গে সারাদেশের মানুষ এবং অন্যান্য দলের নেতা-নেত্রীগণও দলন পীড়নের শিকার হলেন। আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখলাম দেশের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার-আইনজীবী, যারা গণতন্ত্রের জন্য পারলে লঙ্কা জয় করতে চান, তারা বলতে লাগলেন জরুরী অবস্থা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য চললেও সংবিধানের কোন ব্যত্যয় ঘটবে না। অথচ আমজনতার ধারণা ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাত্র তিন মাসের জন্য। পঞ্চদশ সংশোধনীর পর বেগম জিয়া একবার বক্তৃতায় বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেয়া হবে। সংবিধান ও গণতন্ত্র এখন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের কাছে জিম্মি। তা না হলে ২১ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন এবং তার পরের দিন গয়েশ্বর রায় একাত্তরের বুদ্ধিজীবীদের সেভাবে নির্বোধ বলেছেন, তাতে এতদিন দু’জনেরই জেলে থাকার কথা ছিল। মুক্তিসংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতা-নেত্রীদের সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়া, কটাক্ষ করা ও বিভ্রান্তি ছড়ানো বিশ্বের প্রায় দুই শতাধিক দেশের মধ্যে কোন একটি দেশেও নেই। বিশ্বের সব দেশেই এরকম কাজকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে হচ্ছে কি। বিএনপি ও তাদের সঙ্গী জোটবদ্ধ দলগুলো আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধকে শুধু অবজ্ঞা, অবমাননা নয়, রীতিমতো অস্বীকার করে আসছে। তার পরেও বুক উঁচু করে রাজনীতি করছে, দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকেছে। ধনে-জনে ফুলে-ফেঁপে টেলিভিশন, পত্রিকার মালিক হয়ে দম্ভ ও ঔদ্ধত্যসহকারে বাঙালী জাতির যা কিছু মহান তার সব কিছুকে অপমান ও অবজ্ঞা করে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশের একশ্রেণীর মানুষ তাদেরকে ভোটও দিচ্ছে। একদল ছদ্মবেশী নিরপেক্ষ সুশীল এদেরকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য তৎপরতা, অপতৎপরতা সবই চালাচ্ছে। ব্যক্তি স্বার্থের অন্ধে এরা বুঝতে অক্ষম যে, একাত্তরের গণহত্যাকারী আলবদর কমান্ডার নিজামী যখন ভোটে জয়ী হয় তখন গণতন্ত্র ও নির্বাচন সবকিছুই ফিকে হয়ে যায়। অনেক মুক্তিযোদ্ধা এখনও অসহায় জীবন-যাপন করছেন। অথচ ২৮ জানুয়ারিতে একটা প্রথম সারির পত্রিকার হেডলাইনে দেখলাম নিজামী, মুজাহিদসহ আটজন যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারীর নামে রয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ। যারা একাত্তরে পরাজয়ের পর শূন্য হাতে পালিয়ে গেল, তারা কি করে ফিরে এলো, কাদের আশ্রয়ে ও সহযোগিতায় এবং কোন্ ক্ষমতাবলে এত সম্পদের মালিক হলো। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালী জাতির সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল এবং গর্বের, অনুপ্রেরণার ও সংবেদনশীল জায়গা। এই সময়ে পাকিস্তান যখন ঔদ্ধত্য আচরণের মাধ্যমে একাত্তরের গণহত্যাকে অস্বীকার করছে তখন বেগম খালেদা জিয়ার এরকম উক্তির অর্থ কি দাঁড়ায়? বাংলাদেশের একজন নেত্রী পাকিস্তানের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন কেন? রাস্তাঘাট, দোকান, বাসে ট্রেনে সব জায়গায় এই প্রশ্নটিই এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। তিনি বলেছেন, আজকে বলা হয় এত লোক শহীদ হয়েছে। এই কথায় ব্যবহৃত শব্দ ও ভাষা এবং তার ভঙ্গিমাই বলে দেয় এর মাধ্যমে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি তো তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তখন শহীদদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় তিনি কি উদ্যোগ নিয়েছেন? বেশ কিছুদিন আগে তিনি একবার বলেছিলেন একাত্তরে ভারতে যারা গেছে তারা কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। এর মাধ্যমে ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে অস্বীকার করা হয়। শুধু তাই নয়, এমন উক্তির মাধ্যমে মুজিবনগর সরকার ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে অস্বীকার করা হয়। তখন মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ বলতে আর কিছু থাকে না। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম যখন মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ত্যাগের দৃষ্টান্তের প্রতি প্রবলভাবে আকর্ষিত হচ্ছে, তখন বিএনপির এমন পাকিস্তানমুখী আচরণে মানুষ বিস্মিত ও হতবাক। বিএনপির একটা বড় জনসমর্থন রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই মানুষ ভাবছে তাহলে বিএনপির ভবিষ্যত গন্তব্য কোথায়, তারা দেশকে কোথায় নিতে চায়। পশ্চিমা বিশ্বের একজন প-িত মানুষ বলেছেন, ঞযব ভঁঃঁৎব রং ষরশব ধ পড়ৎৎরফড়ৎ রহঃড় যিরপয বি পধহ ংবব ড়হষু নু ঃযব ষরমযঃ পড়সরহম ভৎড়স নবযরহফ. পেছনের আলো দিয়েই যদি ভবিষ্যত দেখতে হয় তাহলে সেই আলোর ঝলকানিটা বিএনপির জন্য কতখানি উজ্জ্বল? জিয়াউর রহমান যখন দল গঠন করেন তখন তিনি সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন। সেনা পোশাক পরে তিনি রাজনীতি করেছেন। তাই সঙ্গত কারণেই সেনাবাহিনী এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এবং জেনারেল জিয়ার ঘনিষ্ঠ অফিসারগণও এর থেকে দূরে থাকতে পারেননি। শেষ বিচারে রাষ্ট্রের জন্য এ কাজটি কি ভাল হয়েছে। পরবর্তী ঘটনাবলী, জিয়ার হত্যাকা-, এরশাদের ৯ বছরের সামরিক শাসন, এগুলো কিসের সাক্ষী। তারপর বহু দলের ছদ্মবেশে একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারী জামায়াত, মুসলিম লীগ সবাইকে তিনি নিজ দলে টানলেন এবং জামায়াতকে অবাধে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিলেন। এসব কি বিএনপির ইতিহাসের কালো অন্ধকার অধ্যায়, নাকি উজ্জ্বল আলোকিত অধ্যায়। জিয়াউর রহমান তখন রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। জামায়াত রাজাকার বাদ দিয়ে তিনি ইচ্ছা করলে মুক্তিযুদ্ধের দর্শন সংবলিত বাহাত্তরের সংবিধানকে অটুট রেখে আওয়ামী লীগের বিপরীতে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারতেন। তিনি তা করলেন না। বরং জনগণের মতামত, পার্লামেন্ট, নির্বাচন কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা না করে তিনি সামরিক আদেশবলে বাহাত্তরের সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিফলন সংবলিত সব শব্দ, বাক্য ও অনুচ্ছেদ বাতিল করে দিলেন। সামরিক শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও তার ভেতরে স্বাক্ষরিত তিন জোটের রূপরেখা এবং ১৯৯১ সালে অপ্রত্যাশিতভাবে বিএনপির নির্বাচনে জয় ও ক্ষমতা আরোহণের ফলে মানুষের মনে একটা আশার আলোর জন্ম হয়েছিল, হয়ত আগামীতে ক্রমান্বয়ে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দর্শনের রাজনীতিতে ফিরে আসবে। কিন্তু মানুষের আশা ধসে পড়তে শুরু হয় যখন অনেক সিনিয়র নেতা থাকার পরও একজন রাজাকারকে বিএনপি রাষ্ট্রপতি বানালেন। তিনি জোটের রূপরেখা বাস্তবানের কোন পদক্ষেপ নিলেন না। তার পর ২০০১-২০০৬ মেয়াদে পুনরায় ক্ষমতায় এলে সরকারে বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র হাওয়া ভবনের উত্থান, নিজামী, মুজাহিদের মতো ভয়ঙ্কর যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করা, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে স্বাধীনতাকামী আখ্যা দিয়ে তাদের জন্য অস্ত্র-গোলাবারুদের ব্যবস্থা এবং সব ধরনের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলেন। দৈব্যক্রমে বড় অস্ত্রের চালান একটা ধরা পড়ে গেল ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে। হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে গেল। ভায়োলেন্স অর্থাৎ গ্রেনেড-বোমা মেরে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার পথ বেছে নিলেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর মানুষের আরেকবার ধারণা হয় এবার হয়ত বিএনপি নতুনভাবে সময়োগযোগী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সামনে এগোবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত, ধর্মান্ধ উগ্র তালেবানপন্থী ইসলামী ঐক্যজোট, হেফাজত, এরা কি বিএনপির চলার পথে আলো ছড়াচ্ছে, নাকি পথকে আরও অন্ধকারময় করে দিচ্ছে। কি প্রয়োজন ছিল ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত এবং তাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন ১৩ দফাকে এভাবে সমর্থন প্রদানের? সেদিন সমর্থন না দিয়ে বরং যদি হেফাজতের বিরুদ্ধে দাঁড়াত তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আজ অন্য রকম হতো। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার বাহিনীর তা-ব ও জাতীয় পতাকা পোড়ানোর সঙ্গে বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নামার হুকুম দিয়ে বিএনপি নেতৃত্ব কি সামনের দিকে এগিয়েছেন, নাকি আরও পেছনের দিকে চলে গেছেন? তারপর পাঁচ-ছয় বছর ধরে রাজনীতিতে হিমালয়সম ভুল, হঠকারিতা, সহিংসতা এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন ইত্যাদি সব কারণে বিএনপি মানুষের কাছে এখন একটি আকর্ষণীয় বিকল্প নয়। ২০১৫ সালের শুরুতে গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে ৯৩ দিন যাবত হরতাল অবরোধের মাধ্যমে তারা যে তা-ব এবং জ্বালাও পোড়াও চালায় তাতে তাদের গণতন্ত্রের আসল রূপটি মানুষের কাছে ধরা পড়েছে। একেবারে সাধারণ নিরীহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণকারী কোন দল এ ধরনের মহাসন্ত্রাস জনজীবনে সৃষ্টি করতে পারে তা বিশ্বাস করা যায় না। বিএনপি সৃষ্টির লেগেসি এবং এতদিনের পথচলার বিচার বিশ্লেষণ করলে মনে হয় সামনে বিএনপির জন্য দুটিপথ খোলা আছে। প্রথমত. তারা পূর্বের লেগেসি বজায় রেখে পূর্বের পথেই এগোবার চেষ্টা করতে পারে। তবে সে পথে পেছন থেকে আলোর বিচ্ছুরণ নেই, সবই অন্ধকার। আর দ্বিতীয় উপায় আছে শুদ্ধি অভিযানের পথ, প্রগতির রাস্তায় এগোনোর পথ। এ পথে এগোতে হলে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত, তথাকথিত ইসলামিস্ট দলগুলোকে পরিত্যাগ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে অবলম্বন করে নতুনভাবে আবির্ভূত হতে হবে। কিন্তু জন্মসূত্রে বিএনপি যে জালে আটকা পড়েছে সেখান থেকে নিজেরা স্বেচ্ছায় বের হতে পারবে বলে মনে হয় না। তাই বাংলাদেশের জনগণই উদ্যোগী হয়ে একাত্তরের পরাজিত দর্শনের রাহু থেকে বিএনপিকে মুক্ত করতে পারে। লেখক : ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
×