ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাঙ্গ হলো মধুমেলা

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬

সাঙ্গ হলো মধুমেলা

কবির হোসেন, কেশবপুর ॥ সাঙ্গ হলো মধুমেলা। লাখো প্রাণের উচ্ছ্বাসে টানা সাতদিন মধুভক্তের পদচারনায় মুখর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাঙালীর মিলনমেলা বৃহস্পতিবার রাতে শেষ হয়েছে। ২৫ জানুুয়ারি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় সপ্তাব্যাপী মধুমেলা। আশা না মিটতেই ফুরিয়ে যাওয়ার ন্যায় জোয়ারের মতো জনস্রোতে পরিপূর্ণ মেলাঙ্গনে বিরহের সুর বাজিয়ে দেয়া। সাজানো পসরা ভেঙ্গে ফেলতে হলো মনের ব্যথা মনে নিয়ে। প্রবল আকর্ষণ থাকলেও মরা কপোতাক্ষ তীরে জনস্রোত থেমে গেল এ বছরের মতো। দেশের সর্ব বৃহত্তর এ মহামিলনমেলা প্রতিবছর জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মগৃহ কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি জমিদার বাড়ির মধুপল্লীতে সাত দিনব্যাপী মধুমেলায় আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, রাজনৈতিক নেতাসহ সকল স্তরের লোকের মিলন ঘটে মধুপল্লীর চার বর্গকিলোমিাটরজুড়ে। কৃষক-কিষানী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী সকল ধর্ম বর্ণের লোকের আগমনে কবির শৈশব স্মৃতি বিজড়িত সাগরদাঁড়ির আম্রকানন, কপোতাক্ষের বিদায় ঘাট, পদ্ম পুকুর, জমিদার গৃহ, মধুপল্লী, মধুমঞ্চ, বিশাল খোলা মাঠ জনারণ্যে পরিণত হয়। হৃদয় ছোয়া উঞ্চতায় মধুকবিকে স্বরণ করে মধুভক্তরা। আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা হলেও আরও দু’তিন দিন ধরে থাকবে লোক সমাগম। বাঙালীর মহামিলনের আবেশে সারাবছর মধুভক্তের আগমন থাকলেও কবির জন্মজয়ন্তী ২৫ জানুয়ারি ঘিরে চলে সারাবছর ধরে এলাকবাসীর প্রস্তুতি। মধুমেলায় সাতদিন ব্যাপী লোকসমাগমে তিল ধারণে ঠাঁই থাকে না। এবারও মেলার চারপাশের রাস্তায় ৪Ñ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এসএসসি পরীক্ষার কারণে গতবারে ন্যায় এবারও মেলা ২৫ জানুয়ারির পরিবর্তে ২২ জানুয়ারি শুরু করা হয়।
×