ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইএসবিরোধী যুদ্ধে আরও সেনা চায় পেন্টাগন

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬

আইএসবিরোধী যুদ্ধে আরও সেনা চায় পেন্টাগন

আগামী মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের কাছ থেকে ইরাকে ও সিরিয়াতে আরও শত শত প্রশিক্ষক, উপদেষ্টা ও কমান্ডো পাঠানোর প্রয়োজন হবে। ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) বিচ্ছিন্ন করে ফেলার অভিযান জোরদার হওয়ার প্রেক্ষাপটে পেন্টাগন কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে বৈঠককালে সামরিক কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউসকে ইরাক ও সিরিয়া উভয় দেশে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান। প্রশাসন কর্মকর্তারা এ কথা বলেন। কিন্তু সামরিক কর্মকর্তারা মনে করেন যে, চরমপন্থী সুন্নি জঙ্গী দল আইএসের ওপর চূড়ান্ত আঘাত আনতে হলে ওই দুটি দেশে স্থলযুদ্ধে ইরাকী বাহিনী, কুর্দি ও সিরীয় সরকারবিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে এক সঙ্গে কাজ করার প্রয়োজন হবে। অতীতে ইরাক ও আফগানিস্তান উভয় দেশে অতিরিক্ত সৈন্যের জন্য পেন্টাগনের জানানো অনুরোধকে ওবামা সন্দেহের চোখে দেখেছেন। তিনি একে তার ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা বলে গণ্য করে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আইএসের উত্থানে হোয়াইট হাউসে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এক সিনিয়র প্রশাসন কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট ইরাক ও সিরিয়ার উভয় দেশে আরও ঝুঁকি গ্রহণের কথা বিবেচনা করতে ইচ্ছুক হন। সিরিয়ার মোতায়েন ক্ষুদ্র সংখ্যক বিশেষ অভিযান বাহিনীর সদস্যদের ধরা হলে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের এরই মধ্যে ৩ হাজার ৭শ’ সৈন্য রয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেন, সেই সংখ্যা কালক্রমে ৪ হাজার ৫শ’ ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি ধারণা করেন না এবং সেই সংখ্যা বৃদ্ধিও ক্রমান্বয়ে ঘটতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দেড় বছর সময়ে ইরাকে এভাবেই ইরাকে ৩ হাজার ৭শ’ সৈন্য মোতায়েন করা হয়। গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ডাভোস শহরে সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ্যাশটন বি কার্টার আগামীতে মার্কিন বাহিনীর সীমিত ভূমিকা পালনের কথাই তুলে ধরেন। লিবিয়ায়ও আইএস জঙ্গীদের মোকাবেলা করা হবে ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লিবিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে ইরাক ও সিরিয়া ছাড়া অন্য দেশেও ইসলামিক স্টেট (আইএস)-কে মোকাবেলা করবে। ওবামা বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন।
×