ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতে স্বীকারোক্তি

কোরান শরিফ ছিঁড়ে ফেসবুকে দিয়ে অস্থিতিশীলতার নীলনক্সা করেছিল শিবির

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

কোরান শরিফ ছিঁড়ে ফেসবুকে দিয়ে অস্থিতিশীলতার নীলনক্সা করেছিল শিবির

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ধর্মীয় বিশ্বাসকে উস্কে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এমন কোন গর্হিত কাজ নেই যা জামায়াত-শিবির করতে পারে না। সর্বশেষ তারা কোরান শরিফের পাতা ছিঁড়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে দেশ অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করেছিল। সাতকানিয়া থেকে শিবিরের ৪ নেতাকর্মীর মধ্যে ২ জন আদালতে এ মর্মে স্বীকারোক্তি করেছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আকতার বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে শিবিরের এই নীলনক্সার কথা জানান। তিনি জানান, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার ১৯ মসজিদে ঢুকে এসব শিবিরকর্মী কোরান শরিফের পাতা ছিঁড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের সতর্কতায় শিবিরের এই ষড়যন্ত্র ভ-ুল করে দেয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম নিলয় (২২), সাতকানিয়া পূর্ব শাখার সভাপতি রায়হান উদ্দিন মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ (২২), শিবিরের সাথী আরমান (২০) ও আমিনুল ইসলাম ধরা পড়ার পর গত ২৪ ও ২৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোিক্তমূলক জবানবন্দীও প্রদান করেছে। শিবিরের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী গোপন বৈঠকের মাধ্যমে পরিকল্পনা করেই এ হেন জঘন্য কা- ঘটিয়েছিল বলে স্বীকার করেছে এই দু’জন। তাদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি গোপন বৈঠক করে তারা ঢেমশা ইউনিয়নের ইন্দ্র দীঘিরপাড় এলাকায় বড়বাড়ি জামে মসজিদে। বৈঠকে নেতৃত্ব দেয় আসাদ উল্লাহ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বিভিন্ন মসজিদে ঢুকে কোরান শরিফের পাতা ছিঁড়ে রাখার। পরে সে ছবি ছড়িয়ে দেয়া হবে ‘বাঁশের কেল্লা’ পেজের মাধ্যমে। বৈঠকে প্রতি মসজিদে ঢুকে এই কা- ঘটাবার জন্য ২ সদস্যের সমন্বয়ে একটি করে কমিটিও করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা এ ঘটনা ঘটায় ১০ ও ১১ জানুয়ারি। কিছু ছবি ফেসবুকেও ছাড়া হয়। সকালে মসজিদে লোকজন থাকে না বিধায় সে সময়টিকেই বেছে নেয় তারা। একজন ভেতরে ঢোকে, আরেকজন পাহারায় থাকে বাইরে। পুলিশ জানায়, অনুসন্ধান চালিয়ে চারজনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আরও প্রায় ১৫ জনের নাম। তাদেরও গ্রেফতার করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
×