ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ লীগ কাপ, প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালের টিকেট ম্যানসিটির

ফাইনালে লিভারপুল-ম্যানসিটি মুখোমুখি

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

ফাইনালে লিভারপুল-ম্যানসিটি মুখোমুখি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ লীগ কাপ (ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ) ফুটবলের ফাইনাল মহারণে দেখা হচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে এই দুই ইংলিশ পরাশক্তি। মঙ্গলবার স্টোক সিটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে লিভারপুল। বুধবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এভারটনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চূড়ান্ত লড়াইয়ের ছাড়পত্র পেয়েছে ম্যানসিটি। এর আগে শেষ চারের প্রথম লেগে এভারটনের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দল। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যানসিটির জয় ৪-৩ গোলে। প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগেও শঙ্কা দিয়ে শুরু হয়েছিল ম্যানসিটির। পিছিয়ে পড়েও সিটির ফাইনালে ওঠার নায়ক আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও এ্যাগুয়েরো। নিজেদের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে সিটি। ২০ গজ দূর থেকে নেয়া অসাধারণ এক শটে এভারটনকে এগিয়ে দেন রস বার্কলি। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফার্নান্ডিনহোর গোলে ২৪ মিনিটে সমতায় ফেরে সিটি। তবে এই গোলে ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল। ফার্নান্ডিনহো গোলমুখে নেয়া জোরালো শট এভারটনের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। রিবতির পর ৭০ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের গোলে সিটি ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এই গোলেও ছিল ভাগ্যের ছোঁয়া। রাহিম স্টার্লিং বক্সের মধ্যে ডি ব্রুইনকে ক্রস দেয়ার আগে বল মাঠের বাইরে চলে যায়। কিন্তু রেফারি তা লক্ষ্য করেননি। ম্যাচ শেষে এই গোল নিয়ে আক্ষেপও করেন এভারটনের কোচ রবার্টো মার্টিনেজ। নিজেদের মাঠে প্রথমপর্বের ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে জেতায় ডি ব্রুইনের এই গোলের পরও ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ছিল এভারটন। তবে তাদের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ করে দেন এ্যাগুয়েরো। ৭৬ মিনিটে সিটিকে ফাইনালে তোলা গোলটি করেন আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড। বক্সের মধ্যে থাকা এ্যাগুয়েরোকে মাপা ক্রস করেন ব্রইন। দু’জন ডিফেন্ডারের মধ্য থেকে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান তিনি। ম্যাচ শেষে হতাশার কথা লুকিয়ে রাখতে পারেননি এভারটন কোচ রবার্টো মার্টিনেজ। তিনি বলেন, তাদের (সিটি) দ্বিতীয় গোলটি হয় না। গোলের আগে বল পরিষ্কারভাবে সাইডলাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। আমার ধারণা, এই গোলটিই পুরো ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এটি না হলে হয়ত আমরা ওয়েম্বলিতে যেতে পারতাম। এটা হৃদয় ভাঙ্গার মতো ঘটনা। ক্ষোভের সুরে মার্টিনেজ আরও বলেন, এটা হৃদয় ভাঙ্গা এবং অবিচার। আমরাও ওয়েম্বলিতে যেতে পারতাম। ম্যানসিটি কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। তিনি বলেন, হতে পারে এটা রেফারির ভুল ছিল। কিন্তু এটা নিয়ে এভারটনের রেফারিকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না। চিলির এই কোচ আরও বলেন, গুডিসন পার্কে আমরা প্রথম গোলটি খেয়েছিলাম, যা পরিষ্কার অফসাইড ছিল। জেসুস নাভাসের একটি পেনাল্টিও দেয়া হয়নি। দিন শেষে আসলে এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। আমাদের চিন্তায় এখন ফাইনাল। শেষ চারের প্রথম লেগের ম্যাচে এভারটন ২-১ গোলে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল। গুডিসন পার্কে উত্তেজনা ছড়ানো ওই ম্যাচ শেষে সিটি কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি হারের জন্য রেফারিকে দোষারোপ করেছিলেন।
×