ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কাউকে অহেতুক হয়রানি করবেন না ॥ পুলিশকে রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

কাউকে অহেতুক হয়রানি করবেন না ॥ পুলিশকে রাষ্ট্রপতি

বিডিনিউজ ॥ জনগণের টাকায় রাষ্ট্র চলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলেছেন, কোন নাগরিক যাতে ‘অহেতুক’ হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনকালে কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।’ পুলিশ সপ্তাহ ২০১৬ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি পুলিশের হাতে দুই সরকারী কর্মকর্তা নির্যাতিত হওয়ায় তীব্র সমালোচনার মধ্যে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে এ তাগিদ এলো। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আবদুল হামিদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তাদের ট্যাক্সের টাকায়ই দেশ ও সরকার পরিচালিত হয়।’ পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে আপনাদের আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করতে হবে। আপনাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হবে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন। পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে জনগণের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর কর্মকৌশল ও সাফল্য ইতোমধ্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লে প্রশংসিত হয়েছে। ‘আমি আশা করি, আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সংবিধান ও গণতন্ত্র সুরক্ষা এবং রাষ্ট্রবিরোধী সকল অপতৎপরতা রোধে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে।’ সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গীবাদকে ‘বৈশ্বিক সমস্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবেলায় বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদসহ সকল আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংঘবদ্ধ অপরাধ ও স্থানীয় পরিসরে নানা ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ এবং উদ্ঘাটনে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশিংয়ের কোন বিকল্প নেই।’ পানিতে ভরপুর তিস্তা সেচ ক্যানেল-প্রতিদিন আসছে দুই হাজার কিউসেক স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ চলতি শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীতে উজান থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে পানি আসায় সেচনির্ভর বোরো আবাদে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরে সেচ দেয়া শুরু করেছে। প্রতিটি প্রধান ক্যানেল ও শাখা ক্যানেল পানিতে ভরে উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বৃহস্পতিবার জানান, তিস্তার পানি চুক্তি না হলেও এবার শুষ্ক মৌসুমে উজান থেকে চাহিদা মোতাবেক পানি পাওয়া যাচ্ছে। এই সময় শুকিয়ে থাকা তিস্তায় হুহু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদী প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সূত্রমতে, প্রতিদিন গড়ে তিস্তা নদীতে দুই হাজার কিউসেক করে পানি আসছে। এভাবে পানি আসা অব্যাহত থাকলে চলতি বোরো মৌসুমে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান অব্যাহত রাখা যাবে। এদিকে নীলফামারী,দিনাজপুর ও রংপুর কমান্ড এলাকার বোরো চাষীরা তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের পানি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে মন্তব্য করেন- এ যেন মেঘ না চাইতে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নেমে এসেছে। গত বছর উজান থেকে পানি না পাওয়ায় বোরো আবাদে মাত্র আট হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হয়েছিল। সেই আলোকে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কারণ, শুষ্ক মৌসুম শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তায় পানি প্রবাহ ৬০০ কিউসেক ছিল। এ অবস্থ্য় গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক এমপি চলতি খরিপ-১ রবি মৌসুমের সেচ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছিলেন।
×