ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গুপ্তচরবৃত্তিতে শকুন!

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

গুপ্তচরবৃত্তিতে শকুন!

এর আগে হাঙ্গর ও ডলফিনকে গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিল ইসরাইল। এবারও ওসব সমালোচনার তোয়াক্কা না করে দেশটি শকুনকে গুপ্তচরবৃত্তিতে কাজে লাগিয়েছে। ঠিক এই ধরনের একটি শকুনকে হাতেনাতে আটক করেছে লেবানন। আটক এই শকুনটি ইসরাইল সীমান্ত পার হয়ে লেবাননের বিন্ত জেবেল শহরে মোসাদের হয়ে গুপ্তপরবৃত্তি করছিল। শকুনটির প্রশস্ত ডানা, পা ও নখরে ডিভাইস লাগিয়ে দিয়েছিল তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গোয়েন্দা। শকুনটি ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে উড়ে উড়ে নানা তথ্য ও ছবি পাঠাচ্ছিল মোসাদ দফতরে। এ অবস্থায় শকুনটিকে আটক করা হয়। লেবানিজ পাখি বিশারদ ওহাদ হাদজোফে বলেন, পাখিটিকে আমরা হাতেনাতে ধরেছি। এটির শরীরে ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানো ছিল। প্রেসটিভির অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকা পাড়ি দেয়ার সময় বিন্ত জেবেল শহরের বাসিন্দারা শকুনটিকে আটক করে। ছবিতে দেখা যায়, বিরাটাকায় শকুনটির দুই ডানায় ইংরেজীতে পি ৯৮ লেখা স্টিকারের মতো কিছু একটা আটকে দেয়া হয়েছে। এর আগে গত আগস্ট মাসে ফিলিস্তিনীর অবরুদ্ধ শহর গাজা উপকূলের কাছে ইসরাইলের একটি গোয়েন্দা ডলফিন আটকের দাবি করে হামাস। আটকের আগে কয়েক দিন ধরেই ওই ডলফিনকে গাজার উপকূলে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। আটকের পর হামাস বাহিনী ডলফিনটির দেহের উপরিভাগে বাঁধা ছোট ভিডিও ক্যামেরা উদ্ধার করে। ক্যামেরাটি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে জানিয়েছে হামাস। এ ছাড়া ডলফিনের গায়ে বাঁধা ছিল তীর ছোড়ার উপযোগী ক্ষুদ্র যন্ত্র। পরীক্ষার পর জানা গেছে, ওই তীরে বিষ মাখানো ছিল, যা মানুষ মারতেও সক্ষম। ফিলিস্তিনী সংবাদমাধ্যম আল-কুদসের খবরে আরও বলা হয়, গাজার সাগরে হামাসের নৌ প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের পর ইসরাইল ডলফিনটিকে ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। গাজা উপত্যকায় নজরদারিই ছিল এই ডলফিনের মূল লক্ষ্য। এর আগে ২০১২ সালে মিসরে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ একটি ঈগল পাখিকে আটক করা হয়। ২০১০ সালে লোহিত সাগরে হাঙ্গও দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করায় হামাস। ইউপিআই ও সিএনএন অবলম্বনে।
×