ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্ত পরিদর্শন ও সার্ভে শুরু

পদ্মায় বিলীন সীমানা পিলার প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

পদ্মায় বিলীন সীমানা পিলার প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ গত কয়েক বছরে রাজশাহীর পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হওয়া সীমানা পিলার প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেরিতে হলেও ভূখ- হারানোর শঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন পবার হরিয়ান ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পদ্মাগর্ভে বিলীন ভূখ-ের সীমানা নির্ধারণে এগিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশ-ভারত সীমানা এলাকা পরিদর্শন করেন। এ কমিটি প্রাথমিকভাবে সার্ভে শুরু করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম হোসেন বলেন, দেশের স্বার্থে এবং ভূখ- অক্ষত রাখতে যা দরকার তা করতে হবে। পাশাপাশি চরবাসীর সামাজিক নিরাপত্তা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সীমানা পিলার পুনর্নির্ধারণসহ চরবাসীদের পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেয়া হবে। জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরে বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নেয়। সীমান্ত নদীগুলোর ভাঙ্গনে বদলে যেতে বসেছে বাংলাদেশের মানচিত্র। অবশেষে ২৮০ দুস্থ পরিবার পেল ভিজিডির চাল নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৮ জানুয়ারি ॥ অবশেষে চম্পাপুর ইউনিয়নের ২৮০ দুস্থ পরিবার ডিসেম্বর মাসের ভিজিডির চাল পেল। তদারকি কর্মকর্তা সমবায় অফিসার তহিদুল ইসলাম ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার ইউপি কার্যালয়ের সামনে তাদের উপস্থিতিতে এ চাল বিতরণ করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর ২৮০ পরিবারকে দেয়া ৩০ কেজি করে সরকারী বরাদ্দের আট টন ৪০০ কেজি চাল কলাপাড়া খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করেন ইউপি মেম্বার দেলোয়ার হোসেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে বুধবার জনকণ্ঠে ‘ভিজিডির চালের হদিস নেই’ শীর্ষক খবর প্রকাশ হয়। এতে প্রশাসনসহ ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের টনক নড়ে। চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার জানান, পরিবহন সমস্যার কারণে এ চাল কলাপাড়ায় খাদ্যগুদামে রেখেছিলেন। আজ যোগেন্দ্র ম-লের জন্মজয়ন্তী খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ যোগেন্দ্রনাথ ম-লের ১১৩তম জন্মজয়ন্তী উৎসব আজ। নির্যাতিত-নিপীরত, শোষিত-অনুন্নত, শিক্ষা-দীক্ষায় পশ্চাদপদ, সামাজিকভাবে অবহেলিত, দরিদ্র-অর্থক্লিষ্ট ও রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত মানুষের সার্বিক উন্নয়ন এবং অধিকার আদায়ের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন যোগেন্দ্রনাথ ম-ল। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে তার ছিল গভীর সম্পর্ক। অবিভক্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রিসভার সমবায় ও ঋণদান মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী সোহ্রাওয়ার্দীর মন্ত্রিসভার বিচার ও পূর্তমন্ত্রী, ভারতের অন্তর্বর্তী কেন্দ্রীয় সরকারের আইনমন্ত্রী এবং পাকিস্তান সরকারের আইন ও শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন যোগেন্দ্রনাথ ম-ল। তিনিই প্রথম শাসতান্ত্রিক সভার সভাপতিত্ব করেন। স্থানীয় মনোজ কুমার গোমস্তা, লক্ষ্মী কান্ত বৈদ্ধ, মনোতোষ সরকার, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শামসুল হক সরদারসহ অনেকেই জানান, মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ ম-ল এমএলএ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এতদাঞ্চলে শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে অসংখ্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কর্মস্থলের সুযোগ করে দিয়েছেন সহস্রাধিক বেকার-যুবকদের। এছাড়াও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী বেজগাতি-বাশাইল ভায়া মৈস্তারকান্দির জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি খনন করানো হয়েছে যোগেন্দ্রনাথের সময়েই। গ্রামবাসী মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ ম-লের স্মৃতিবিজরিত জন্মস্থান মৈস্তারকান্দি গ্রামে মহাপ্রাণের নামানুসারে স্মৃতিজাদুঘর, পাঠাগার, গবেষণা কেন্দ্র ও একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি করেছেন।
×