ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবেশপত্রে বদলে গেছে বিভাগ ও বিষয়

লক্ষ্মীপুরে অনিশ্চয়তায় ১২ এসএসসি পরীক্ষার্থী

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

লক্ষ্মীপুরে অনিশ্চয়তায় ১২ এসএসসি পরীক্ষার্থী

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ২৮ জানুয়ারি ॥ লক্ষ্মীপুরে ১২ এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে বদলে গেছে বিভাগ ও পরীক্ষার বিষয়। পরীক্ষার আগ মুহূর্তে প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে এসব পরীক্ষার্র্থী শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তাসহ চরম হতাশায় ভুগছেন এখন। সদর উপজেলার দালাল বাজার এনকে উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের থাকার কথা পড়ার টেবিলে তারা এখন বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঘুরছে। বিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ১৫৪ পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করে। এর মধ্যে ১২ জনের প্রবেশপত্রে ভুল পাওয়া গেছে। ওই ১২ পরীক্ষার্থীর তিনজনেরই বিভাগ পরিবর্তন হয়ে গেছে। অন্যদের অতিরিক্ত বিষয় পাল্টে গেছে। এর মধ্যে এমরান হোসেন ( রোল নম্বর ৬২১৮৫২) মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী। তার প্রবেশপত্রে ছাপা হয়েছে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা। ফাহিম হোসেন ছিল ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়, তার প্রবেশপত্রে ছাপা হয়েছে বিজ্ঞান। এছাড়া ফরহাদ হোসেন (রোল ৬২১৭৯৯), হৃদয় হোসেন আশেক (রোল ৬২১৮৩৬), রুবেল হোসেন (রোল ৬২১৮৪২), আব্দুল লতিফ (রোল ৬২১৮০৪), আলী হোসেন (রোল ৬২১৮৫০) এবং মাহাবুবুর রহমানের (রোল ৬২১৮৪৫) কম্পিউটার বিষয়ের পরিবর্তে প্রবেশপত্রে ছাপা হয়েছে কৃষিশিক্ষা। আবদুল কাদেরের (রোল ৬২১৮৫২) কৃষিশিক্ষার পরিবর্তে প্রবেশপত্রে লিপিবদ্ধ হয়েছে কম্পিউটার। এ ব্যাপারে বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক ওলিয়ার রহমান জানান, তিনি দু’জনের বিভাগ পরিবর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন। আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি দাবি করেন। সংবাদ প্রকাশের পর আলো দেখছেন প্রতিবন্ধী রিতা স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ পত্রিকায় প্রতিবেদন দেখে বীরগঞ্জের সেই হতদরিদ্র শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রিতার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দানশীল ব্যক্তি। সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় শারীরিক প্রতিবন্ধী রিতার শিক্ষা জীবনের দুর্বিষহ চিত্র প্রচার হয়েছিল। বীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে শিবরামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া গ্রামের মৃত যদু বর্মনের মেয়ে রিতা রানী এবার উচ্চ মাধমিক পরীক্ষার্থী। পিতৃহারা সংসারে মাকে নিয়ে ভিক্ষা করে চলছে তার শিক্ষা জীবন। থাকার কোন ঘরও নেই। মায়ের সঙ্গে বাঁশের কঞ্চির তৈরি ভাঙ্গা ছোট একটি ঘরে রিতাদের সংসার। শত অভাব সত্ত্বেও রিতার পড়া-লেখার অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রিতার এই দুর্বিষহ জীবন-জীবিকাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর ও চিত্র প্রকাশের পর একটি স্থায়ী বাড়ি তৈরিসহ শিক্ষার জন্য আর্থিক অনুদান নিয়ে এগিয়ে এসেছে দিনাজপুর প্রেসক্লাব, ঢাকার বীরগঞ্জ সমিতিসহ বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, সাংবাদিক স্বরূপ কুমার বকসী বাচ্চু ও ঢাকার বীরগঞ্জ সমিতির দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ ওয়ারিস উল ইসলাম অলির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রিতার বাড়ি তৈরির সামগ্রী ও নগদ আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করেন।
×