ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এমপিরা আমলাদের ওপর থাকতে চান

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

এমপিরা আমলাদের ওপর থাকতে চান

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধি। এ কারণে তাঁরা আমলাদের ওপরে থাকতে চান। বুধবার সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল পাসের জন্য সংসদে পাঠানো হয়েছে। তবে সংসদ সদস্যদের ভাতার বিষয়ে আনীত বিলটিতে কিছু আপত্তি রয়েছে। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স মানতে গেলে তাদের বেতন-ভাতা আমলাদের ওপর রাখতে হয়। তিনি বলেন, ওই বিলে দু’জন সংসদ সদস্য আপত্তি তুলেছেন। জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদলসহ আরও একজন বিলে আপত্তি তুলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, দেখা গেছে আমলাদের বেতন বাড়তে বাড়তে ৮৬ হাজার টাকা হয়েছে। এখানে সিনিয়র, টিনিয়র লাগাইছে। আর সংসদ সদস্যদের ভাতা ৫৫ হাজার টাকা। এখানে অজুহাত দেখানো হয়েছে যে, এমপিরা তো বেতন নেন না, রিম্যুনারেশন (ভাতা) নেন। রিমুন্যারেশন তো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীও নেন। তাঁদের যুক্তি রাষ্ট্রপতি হলেন প্রজাতন্ত্রের সবার ওপরে। তাই তাঁর বেতন এক নম্বরে রাখা হয়েছে।’ সুরঞ্জিত বলেন, ‘তাই যদি হয়, তাহলে তো ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (মর্যাদাক্রম) অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধি হিসেবে এমপিদের মর্যাদা আমলাদের চাইতে ওপরে। তিনি বলেন, এমপিদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও অন্যান্য ভাতা যেমন মেডিক্যাল, সিটিং ভাতা, কমিটিতে উপস্থিতি ভাতা, যাতায়াত ভাতা এগুলোর একটিও বাড়েনি। তাই আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি এগুলো ঠিকঠাক করে নিয়ে আসতে। আমরা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মিটিং রেখেছি, ওই দিনই ঠিক হবে। তিনি বলেন, সব কিছুর প্রাণ ভোমরা হলেন ১৫১। এই ১৫১ জন হলেই তো সরকার গঠন হবে, সংসদ থাকবে, তারপরই না আমলা কিংবা অন্যান্যের বেতন ভাতা বাড়বে।’ এর আগে সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। বৈঠকে যোগ দেন কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও সফুরা বেগম। বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল ও কামরুন নাহার জলি।
×