ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ্যালান বোর্ডার পুরস্কার জিতলেন ওয়ার্নার

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

এ্যালান বোর্ডার পুরস্কার জিতলেন ওয়ার্নার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘এ্যালান বোর্ডার মেডেল’-২০১৬ জিতলেন দেশটির মারকাটারি ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জয় করা অধিনায়ক এ্যালান বোর্ডারের নামানুসারে ২০০০ সাল থেকে এই পুরস্কার চালু হয়। প্রথমবারই বাজিমাত করেন পদক গলায় পরে সে সময়ের তারকা পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। এছাড়া বিভিন্ন সময় সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং সর্বোচ্চ চার বার, মাইকেল ক্লার্ক তিন বার করে এই পুরস্কার লাভ করেন। গত বছর সর্বশেষ পুরস্কারটি ওঠে বর্তমান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের হাতে। এবারও তিনি জোর দাবিদার ছিলেন। কিন্তু স্মিথ ও বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পেসার মিচেল স্টার্ককে পেছনে ফেলে ‘এ্যালান বোর্ডার মেডেল’ জিতে নিলেন ২৯ বছর বয়সী ওয়ার্নার। বুধবার সন্ধ্যায় মেলবোর্নে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ওয়ার্নারকে ২০১৬ সালের ‘এ্যালান বোর্ডার মেডেল’ প্রদান করে সিএ। ২০১৫ সালের পারফর্মেন্সের জন্য বর্ষসেরাসহ আরও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ার সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্মেন্সের সুবাদে ‘ঘরোয়া ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ হয়েছেন টেস্টে জায়গা পাওয়া এ্যাডাম ভোগস। এছাড়া ‘ব্র্যাডম্যান সেরা তরুণ’ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান এ্যালেক্স রস। ফাস্ট বোলার বালিন্ডা ক্লার্ক ‘সেরা মহিলা’ ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন। এক সময় উগ্র আচরণের জন্য যার ক্যারিয়ার সংশয়ে পড়েছিল সেই ওয়ার্নারই গত দেড় বছর অসাধারণ পারফর্মেন্স করেন। বিয়ের পর ব্যাট হাতেও বদলে যান তিনি। টেস্ট-ওয়ানডে দুই ঘারনাতেই একের পর এক খেলেন অসাধারণ সব ইনিংস। ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ৯৮.৬৬ গড়ে ৫৯২ রান করেন ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৫৩সহ হাঁকিয়েছেন ২টি সেঞ্চুরি। মূলত এই নৈপুণ্য পুরস্কারে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ২৪০ ভোট পান ওয়ার্নার। ২১৯ ও ১৮৩ ভোট নিয়ে তার পেছনে স্মিথ ও স্টার্ক। বিবেচ্য সময়ে ৬০.৬৩ গড়ে টেস্টে ১৩৩৪ রান করেন ওয়ার্নার। ওয়ানডেতেও কম যাননি। গত বছর ২ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৫৪ গড়ে ৬৫২ রান করেন ওয়ার্নার। কেবল তাই নয়, বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৭৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সকে পেছনে ফেলে ওয়ানডের বর্ষসেরা নির্বাচিত হন ম্যাক্সওয়েল। বিবেচ্য সময়ে ১ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৪৬ গড়ে তার মোট রান ৬৪৪- অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যা স্মিথ ও ওয়ার্নারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া সতীর্থ মিচেল কিলিঞ্জারকে (৩০%) পেছনে ফেলে ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা হয়েছেন এ্যাডাম ভোগস (৩৩% ভোট)। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিন ফরমেটে ৬৪.৮৪ গড়ে মোট ১২৩২ রান করেন তিনি। গত বছর জানুয়ারিতে ৩৫ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকান পার্থে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটার। এরপর সাদা পোশাকে বছরটা ছিল স্বপ্নের মতো। ১৩ ম্যাচে ৮৫.৬৬ গড়ে করেছেন ১০২৮ রান। ৩ হাফ সেঞ্চুরির বিপরীতে হাঁকিয়েছেন ৪টি সেঞ্চুরি! যার মধ্যে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে হোবার্ট ও মেলবোর্ন টেস্টের ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরিও।
×