স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কপালগুণে ঐতিহ্যবাহী ইংলিশ লীগ (ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ) কাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দ্য রেডসরা ভাগ্যনির্ধারণী পেনাল্টি শুটআউটে ৬-৫ গোলে পরাজিত করে স্টোক সিটিকে।
অ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে জয় পায় অতিথি স্টোক সিটিই। মার্কো আর্নাউটোভিচের গোলে ৯০ মিনিটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অতিথিরা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ১-১ গোলে সমতা বিরাজ করে। ৫ জানুয়ারি সেমির প্রথম লেগে স্টোকের মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে এসেছিল লিভারপুল। যে কারণে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা হয়। কিন্তু এ সময়ে গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। যে কারণে টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচের ফলাফল।
টাইব্রেকারে লিভারপুলের জয়ের নায়ক গোলরক্ষক সিমোন মিগনোলেট। স্টোকের পিটার ক্রাউচের নেয়া টাইব্রেকারের দ্বিতীয় শট রুখে দেয়া এই গোলরক্ষক মার্ক মুনিয়াসা মার্টিনেসের সপ্তম শটও আটকে দেন। স্টোকের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জো অ্যালেন দলকে ক্যাপিটাল ওয়ান কাপের ফাইনালে পৌঁছে দেন। টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচটি করে শটে দু’দলই গোল করে চারটি করে। এরপর ষষ্ঠ শটে গোল পায় দু’দলই। কিন্তু লিভারপুল সপ্তম শটে গোল পেলেও ব্যর্থ হয় স্টোক। এর আগে নির্ধারিত সময়ে প্রথমার্ধের অতিরিক্তি সময়ে স্টোকের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মার্কো আর্নাউটোভিচ। অবশ্য গোলটি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। বুধবার রাতে আরেক সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি ও এভারটন। প্রথম লেগ ২-১ গোলে জিতে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল এভারটন। যে কারণে ফিরতি লেগ ম্যানসিটির জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। দ্বিতীয় সেমির বিজয়ী দল আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে লিভারপুলের। ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ জার্গেন ক্লপ বলেন, তাদের (স্টোক সিটি) গোলটি ডাবল অফসাইড ছিল। কিন্তু এটা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই এখন। পেনাল্টি শুটআউটে আমাদের ভাগ্য সহায় ছিল। তিনি আরও বলেন, ১২০ মিনিটের খেলায় আমাদের জয় পাওয়া উচিত ছিল। খেলোয়াড়রা ভাল খেলেছে। সমর্থকরা আমদের সঙ্গে ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা জিতেছি যোগ্য দল হিসেবেই। এখন আমাদের লক্ষ্য থাকবে শিরোপা জয়। ২০১২ সালের পর এই প্রথম বড় কোন ফুটবল আসরের ফাইনালে উঠলো লিভারপুল। চার বছর আগে এফএ কাপের ফাইনালে উঠলেও চেলসির কাছে হারতে হয়েছিল রেডসদের।