ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লেনদেনের বাইরে ডিএসইর ৩০টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

লেনদেনের বাইরে ডিএসইর ৩০টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের বাইরে ছিল ৩৩টি ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক। বুধবারে অন্যতম শীর্ষ মার্চেন্ট ব্যাংক লঙ্কাবাংলা, খাজা ইক্যুইটি, আনোয়ার সিকিউরিটিজ, ন্যাশনাল লাইফ সিকিউরিটিজসহ ৩০টি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে লেনদেন না হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে স্টক একচেঞ্জের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৩০টি নয়, ২৯টি হাউসে লেনদেনে বিঘœ ঘটেছে। এদিকে ব্রোকারেজ হাউসের এই লেনদেন বিভ্রাটের সমস্যা নতুন নয়। এর আগেও নতুন সফটওয়্যার চালুর পর থেকেই বেশ কয়েকবারই লেনদেন বন্ধ রাখার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। নানা সমালোচনার পড়েও স্টক একচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উল্টো আগের চেয়ে সমস্যা আরও বেড়েছে। তবে সফটওয়্যারে জটিলতা সংক্রান্ত সমস্যা কোন দিনই পুরোটা সময় লেনদেন বন্ধ রাখতে হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকেই ৩০টি ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেন না হওয়ার অভিযোগ আসতে থাকে। তবে বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষা ছিল শেষ পর্যন্ত হয়ত দেরিতে হলেও লেনদেন চালু সম্ভব হয়নি। ফলে ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষার অবসান আর হয়নি। হাউস কর্মকর্তাদের বিনিয়োগকারীদের নানা সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ পুরো একটি দিনই তারা লেনদেন প্রক্রিয়ার বাইরে থাকল। একইসঙ্গে মার্জিন ঋণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কোন ব্যবসা না করেই একদিনের সুদ বেশি গুণতে হবে। লেনদেনে বিঘœ ঘটার বিষযে ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিন জানান, মোবাইলে লেনদেন চালু করার লক্ষ্যে ডিএসই মোবাইল এ্যাপস চালু করছে। এ লক্ষ্যে মোবাইল এ্যাপসটি টেস্ট রান (পরীক্ষামূলকভাবে) হিসেবে ১নং সাইলোতে সংযোজন করা হয়েছে। কিন্তু এটি করতে গিয়েই ১নং সাইলোর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কিছু কিছু ব্রোকারেজ হাউসের সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের সমস্যার সমাধান করলেও পরবর্তী সময়ে ফের সমস্যার মুখে পড়েছে তারা। আবার কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসে সমস্যার কারণে আদৌ কোন লেনদেন হয়নি। উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট ভেন্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে বেলা দেড়টা পর্যন্ত সমস্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। নিজাম উদ্দিন আরও বলেন, আমরা এর আগে মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে মক ট্রেডিং করেছি, তাতে কোন সমস্যা দেখা যায়নি। কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবে লেনদেন সময়ে এটি করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন, ধাপে ধাপে ৮টি সাইলোতে মোবাইল এ্যাপসটি সংযোজন করে পরীক্ষা করে দেখা হবে। কিন্তু তার আগে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে হবে। উল্লেখ্য, ব্রোকারেজ হাউসগুলোর ব্যাক অফিস ডাটা সেন্টার থেকে প্রতিদিন লেনদেন শুরুর আগে স্টক এক্সচেঞ্জের একটি তথ্য সিস্টেমে পাঠানো হয়। এ তথ্য সিস্টেমটি হ"েছ ‘সাইলো।’ ২৪০টি ব্রোকারেজ হাউসের জন্য মোট ৮টি সাইলো রয়েছে। প্রতিটি সাইলোতে ৩০টি করে ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকের কোড, শেয়ার ও শেয়ারক্রয়ের সীমার তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। বুধবার ১নং সাইলোর সঙ্গে যে সব ব্রোকারেজ হাউসগুলো যুক্ত ছিল সে সব ব্রোকারেজ হাউসেই লেনদেনে বিঘœ ঘটে। সার্ভার সমস্যার কারণে প্রায়ই ডিএসইর লেনদেনে বিঘœ ঘটছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২২ নবেম্বর কারিগরি ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর বেলা ১২টায় লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন শেষ হয় বেলা ৪টায়।
×