ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ

ভাই-ভাতিজার নির্যাতনে পরিবারসহ পাঁচ মাস বাড়িছাড়া

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

ভাই-ভাতিজার নির্যাতনে পরিবারসহ পাঁচ মাস বাড়িছাড়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ২৬ জানুয়ারি ॥ সিদ্ধিরগঞ্জে ভাই-ভাতিজাদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন খবির উদ্দিন ও তার পরিবার। খবির উদ্দিন তাদের ভয়ে এখন অন্যত্র বসবাস করছেন। সম্পত্তি দখলে নিতেই তারা অত্যাচার করছে বলে খবির উদ্দিন দাবি করেন। গত পাঁচ মাস ধরে অন্যত্র বসবাস করায় তার সন্তানদের লেখাপড়া এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এছাড়াও খবির উদ্দিন পরিবার নিয়ে এখন অর্থেকষ্টে দিনাতিপাত করছে। খবির উদ্দিন এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও আবেদন করেছেন। এছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে একটি জিডি করেছেন। জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুর এলাকার মৃত হাজী আব্দুল খালেক সাউদের ৬ ছেলের মধ্যে খবির উদ্দিন ৫ম। খবির উদ্দিন জানান, তিনি জার্মানিতে কর্মরত ছিলেন। তার প্রবাস জীবনের আয় ও পূর্বের ব্যবসার আয় দিয়ে বেশকিছু সম্পত্তি ক্রয় করেন। এছাড়াও তার পৈত্রিক সূত্রেও কিছু সম্পত্তি রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এ সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার জন্য তার বড় ভাই নুরুদ্দিন ও তার ছেলে সোহেলসহ ভাতিজারা নানাভাবে তাকে অত্যাচার করে আসছে। তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সময়ে তারা মোটা অঙ্কের টাকা-পয়সাও দাবি করছে। তাদের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে গত ৬ আগস্ট খবির উদ্দিন তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র বসবাস করছেন বলে তিনি জানান। গত পাঁচ মাসেও নিজবাড়িতে আসতে না পেরে সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার পুরো সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই তারা এ ধরনের অত্যাচার চালাচ্ছে। এমনকি কোন সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলেও তারা ক্রেতাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। ফলে খবির উদ্দিন তাদের কারণে বাড়িঘর, সহায় সম্পত্তি বিক্রি করতেও পারছে না। বর্তমানে খবির উদ্দিন বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েও এখন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করছে। এ বিষয়ে খবির উদ্দিনের বড় ভাই নুর উদ্দিন জানান, খবির উদ্দিনের বাড়িঘর ও জমিজমা খবির উদ্দিন বিক্রি করবে এতে আমরা বাধা দেব কেন? খবির উদ্দিন ও তার পরিবারকে আমরা কোন অত্যাচার করিনি। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। খবির উদ্দিন এলাকায় ৩-৪ লাখ টাকা ঋণ করেছে, তাই পাওনাদারদের ভয়ে এলাকা থেকে অন্যত্র বসবাস করছে।
×