ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভালুকায় সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক অসন্তোষ

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

ভালুকায় সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক অসন্তোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ, ২৭ জানুয়ারি ॥ ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া পাইওনিয়র সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে বুধবার সকাল থেকে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অন্য ফ্যাক্টিরতে বদলির নামে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের হুমকিসহ চলতি মাসের বেতনের দাবিতে মিলগেটে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধানের আশ^াস দিলে শ্রমিকরা শান্ত হয়। সরেজমিন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাদশা গ্রুপ অব কোম্পানির প্রতিষ্ঠান পাইওনিয়র সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে বর্তমানে এক হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। যদিও ফ্যাক্টরি চালুর প্রথমদিকে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। বিভিন্ন সময় অন্যত্র বদলির নামে শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে শ্রমিক ছাঁটাই করে বর্তমানে ওই ফ্যাক্টরিতে এক হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকরা জানান, দুই মাস পূর্বে মালিক নিজে শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সিডস্টোর এলাকায় নতুন ফ্যাক্টরি করা হয়েছে। ওই ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের অন্যত্র বদলি করে সেখানে শ্রমিকদের শিফট করা হবে। বর্তমানে এখানে কোন কাজ না থাকায় আপাতত বেসিক বেতন নিয়ে (প্রতিদিন ২৮০ টাকা) তোমরা চলতে থাক এবং ২৬ জানুয়ারি তোমাদের বেতন দিয়ে ওই ফ্যাক্টরিতে বদলি করা হবে।’ কিন্তু ২৬ তারিখে বেতন না দেয়ায় এবং কর্তৃপক্ষ তাদের কৌশলে ছাঁটাই করছে বিষয়টি শ্রমিকরা বুঝতে পেরে বুধবার সকাল থেকে মিলগেটে বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকরা আরও জানান, শ্রম আইন অনুযায়ী চাকরিতে ৫ বছর পূর্ণ হলে ইন্স্যুরেন্সের টাকা দেয়ার নিয়ম থাকলেও ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশে ওই টাকা আত্মসাতের জন্য মিল কর্তৃপক্ষ কৌশলে শ্রমিকদের অন্যত্র বদলি বা আইডি কার্ড বাতিল করে নতুন কার্ড সরবরাহ করে দেয়। এতে সাধারণ শ্রমিকরা ইন্স্যুরেন্সের টাকা থেকে বঞ্চিত হয়। মিয়ানমারে পোলিও রোগীর সন্ধান, সীমান্তের তিন উপজেলায় সতর্কাবস্থা স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের মংডুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবারও পোলিও রোগীর সন্ধান করলে সীমান্তবর্তী ৩ উপজেলা তথা টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়িতে সতর্ক অবস্থা জারি করা হয়েছে। আরাকানের মংডুতে পোলিও রোগী শনাক্ত হওয়ায় পোলিও মুক্ত বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে বিশেষ এ সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে। সীমান্ত সংলগ্ন উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় জন্ম থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লক্ষাধিক শিশুকে মপ-আপ ক্যাম্পেনের মাধ্যমে ২ ফোঁটা করে পোলিও টিকা খাওয়ানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প, চেকপোস্ট, স্থলবন্দর পর্যটকদের জাহাজঘাট এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট পয়েন্টে পোলিও টিকা খাওয়ানো হচ্ছে। কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের পর থেকে বাংলাদেশে পোলিওমুক্ত অবস্থা বজায় রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করেছিল। সম্প্রতি মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডু টাউনশিপে (টেকনাফ বরাবর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ‘সার্কুলেটিং ভ্যাকসিন ডিরাউভ পোলিও (সিভিডিপি) টাইপ-২’ দ্বারা আক্রান্ত ২ জন রোগীর সন্ধান পায়। যা বাংলাদেশের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ।
×