ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মহেশখালীতে পুলিশ সন্ত্রাসী গুলিবিনিময় আহত ১২

প্রকাশিত: ০৩:৩৩, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

মহেশখালীতে পুলিশ সন্ত্রাসী গুলিবিনিময় আহত ১২

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মহেশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় জোনাব আলী বাহিনীর পাঁচজনসহ ১২ সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ পাঁচজন রবিউল আলম, আমানুল করিম, শফি আলম, জাহাঙ্গীর আলম ও আবদুল মজিদকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও এনতাজ বেগম, দিলদার বেগম, উম্মে হাবিবা, রুবিয়া আক্তার, রেখা ইয়াছমিন, রিনা আক্তার ও মোহাম্মদ এনাম বিভিন্নভাবে আহত হয়। পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসী জোনাব আলী বাহিনীর সঙ্গে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশ ১৫টি গুলি ছোড়া হয়। অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে পাহাড়ী এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশ জানায়, সংরক্ষিত পাহাড়ী জমির পানের বরজ দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হোয়ানক কাঁঠালতলী পাড়ার জোনাব আলী বাহিনী ও জালাল আহমদ বাহিনীর মধ্যে ১৯৯৪ সাল থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে দুই বাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েকবার পাল্টাপাল্টি হামলা, সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। দুই বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি ২০টিরও বেশি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার জালাল বাহিনীর লোকজন এলাকায় ফিরলে প্রতিপক্ষ জোনাব আলী বাহিনীর লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। ও সময় জালাল বাহিনীর দুই সমর্থকের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জোনাব আলী বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ২৭৩ প্রাথমিক স্কুল নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৭ জানুয়ারি ॥ জেলায় শিক্ষক স্বল্পতায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জেলার ৯টি উপজেলার ২৭৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে। অন্যদিকে এসব স্কুলের ২৫৩টি সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১০৯৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭৩টিতে প্রধান শিক্ষক ও ২৫৩টি সকহারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক স্বল্পতায় এসব স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস ছালাম জানিয়েছেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ ভাগ পদ পূর্ণ রয়েছে। অবশিষ্ট ৭৫ ভাগ প্রধান শিক্ষকের পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণের নিয়ম রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদের পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। জেলায় সরকারীভাবে ১৫০০ পোস্ট প্রকল্পের আওতায় যে ১০টি স্কুল রয়েছে সেখানেও শিক্ষক স্বল্পতায় নামকেওয়াস্তে চলছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সরকার সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্য থেকে পদোন্নতির তালিকা প্রস্তুত করছে। খুব শীঘ্রই প্রধান শিক্ষক পদ পূরণ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
×