ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিএম মোস্তফা

শুরুতেই তারকাদের ‘ছন্দ’ পতন

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

শুরুতেই তারকাদের ‘ছন্দ’ পতন

গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভক্ত-অনুরাগীরা দেখতে পেয়েছেন তারকা খেলোয়াড়দের নিষ্প্রভ পারফর্মেন্স। বছরের প্রথম মেজর টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বেই হোঁচট খেয়েছেন ফেবারিট ক্যারোলিন ওজনিয়াকি, সারা ইরানি এবং সেøায়ানে স্টিফেন্সের মতো তারকারা। বেশিদূর এগোতে পারেননি রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ, চেকপ্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভা এবং সার্বিয়ার আনা ইভানোভিচ। পুরুষ এককের বড় অঘটন স্প্যানিশ টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের বিদায়। এরপর চতুর্থ পর্ব থেকে ছিটকে পড়েছেন টুর্নামেন্টের সাবেক চ্যাম্পিয়ন সুইজারল্যান্ডের স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কাও। গত কয়েক মৌসুম ধরে পাদপ্রদীপের আলোয় অবস্থান করছেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। কিন্তু ড্যানিশ টেনিস তারকার দুর্ভাগ্য। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটা দখল করলেও এখন পর্যন্ত গ্র্যান্ডসøাম জেতা হয়নি তার। দুইবার ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেও শেষের সঙ্গী তার হতাশা। অতীতের সেই ব্যর্থতা ঘুচাতেই নতুন মৌসুমে নতুন উদ্যমে শুরুর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। কিন্তু হতাশা দিয়েই নতুন বছর শুরু হলো ক্যারোলিন ওজনিয়াকির। ডেনমার্কের এই টেনিস তারকা যে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছেন। তাও আবার অখ্যাত এক খেলোয়াড়ের কাছে হেরে! অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম পর্বে কাজাখস্তানের জুলিয়া পুতিনসেভার কাছে ১-৬, ৭-৬ (৭/৩) এবং ৬-৪ গেমে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেন ১৬তম বাছাই ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। তারপরও হার ছাড়ছেন না তিনি। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠা এই তারকা গ্র্যান্ডসøাম জয়ের জন্য লড়াই করে যাবেন বছরের বাকি তিন মেজর টুর্নামেন্টেও। ২৫ বছর বয়সী ক্যারোলিন ওজনিয়াকির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছেন ইতালির সারা ইরানি। তিনি হারেন রাশিয়ার মার্গারিটা গাসপারিয়ানের কাছে। আর আমেরিকার তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে ইতোমধ্যেই আলো ছড়ানো সেøায়ানে স্টিফেন্সকে পরাজয়ের লজ্জা উপহার দেন চীনের ওয়াং কিয়াং। এছাড়াও অঘটনের শিকার হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নাম্বার তারকা সিমোনা হ্যালেপ। রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপকে হারিয়ে রীতিমতো চমকেই দেন র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৩৩ নাম্বারে থাকা ঝ্যাং সুয়েই। চীনের এই টেনিস তারকা ৬-৪ এবং ৬-৩ গেমে হারান দ্বিতীয় বাছাই হ্যালেপকে। রোমানিয়ান তারকাকে হারিয়েই গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো জয়ের স্বাদ পান ঝ্যাং। অথচ মেলবোর্নে ফেবারিট হিসেবেই কোর্টে নেমেছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। কিন্তু দিনটা ছিল চাইনিজ খেলোয়ড় ঝ্যাং সুয়েইর। রোমানিয়ার হ্যালেপকে এদিন একবারের জন্যও ম্যাচে ফিরতে দেননি তিনি। প্রতিপক্ষকে হারিয়ে গ্র্যান্ডসøামে প্রথম জয়ের পরই তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বের দুই নাম্বার টেনিস তারকাকে হারাতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। আসলে এটাই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত।’ এই জয়ের পর স্মরণ করেছেন তার দেশের প্রমীলা টেনিস তারকা লি নাকেও। সেই সঙ্গে টেনিসকে বিদায় বলে দেয়া লি নার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন ঝ্যাং সুয়েই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লি না আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। ও একজন অসাধারণ মাপের খেলোয়াড়। সবসময়ই তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সাহায্য করে থাকেন তিনি। টেনিসে আমার এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন লি না।’ বছরের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট থেকে শুরুতেই ছিটকে গিয়ে হতাশ হ্যালেপ। তবে রোমানিয়ান এই তারকা ভক্তদের জন্য আরও দুঃসংবাদ হলো ফেড কাপেও খেলতে পারছেন না তিনি। মূলত নাকের অস্ত্রোপচারের জন্যই পরের সপ্তাহে ফেড কাপে নামতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন হ্যালেপ। দুবাই ও দোহাতে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে কোর্টে নামার কথা ছিল তার। তাবে আগামী মার্চে ইন্ডিয়ান ওয়েলসে খেলতে দারুণ আশাবাদী তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে ছিটকে পড়ার পর হ্যালেপ তার নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘শেষ ছয় সপ্তাহ আমি খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার পাকস্থলী, নাক ও কানে সংক্রমণ হয়েছে। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে হতাশাজনক অধ্যায়। সুস্থই হতে পারছি না। এর ফলে অনুশীলন করতে পারছি না। এই সংক্রমণের জন্য আমি আপাতত শুধু এ্যান্টিবায়োটিকের উপরেই বেঁচে আছি। অস্ট্রেলিয়াতে চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারিনি। আমার ডাক্তাররা বলেছেন আপাতত নাকের অস্ত্রোপচার করিয়ে বিশ্রাম নিতে।’ পুরুষ এককে বড় অঘটনের শিকার হয়েছেন রাফায়েল নাদাল। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৪ গ্র্যান্ডসøামের মালিক তিনি। শেষ শিরোপাটা জিতেছেন ২০১৪ সালে।
×