ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের উভয় পুঁজিবাজারেই সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। এই নিয়ে টানা কয়েকদিন ধরে দরপতনে লেনদেন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। মঙ্গলবারে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের ধীরে চলো নীতির কারণেই বাজারে গতি ফিরছে না। এছাড়া ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ প্রদান ও সদ্য সমাপ্ত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন দেখে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এর আগে কিছুটা পর্যালোচনা করেই অনেকে বিনিয়োগ করে থাকেন বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এছাড়া যেসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে সূচকের কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু করলেও লেনদেনের গতি কিছুটা মন্থর ছিল। সারাদিনে প্রধান বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪৪৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৬৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ কম। আগের দিন এ বাজারে ৫১৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির শেয়ার দর। ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১১৪ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪৬ পয়েন্টে। মঙ্গলবারে ডিএসইর খাতভিত্তিক লেনদেন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দরপতনের দিনে সেখানে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৮৫ ভাগ। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলো। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৪ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাতটি। দরপতন হলেও খাতটির মোট ৪২ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ১১ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এমারেল্ড অয়েল, সাইফ পাওয়ারটেক, আইটিসি, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মা, ইফাদ অটোস এবং বিডি থাই। এদিকে দিনটিতে ঢাকার বাজারের মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টি কোম্পানির, দর কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সাইফ পাওয়ার টেক, এমারেল্ড অয়েল, আইটিসি, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ইউনাইটেড পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, জিপিএইচ ইস্পাত, ইউসিবি, আরএন স্পিনিং ও আরএকে সিরামিক।
×