ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধান বিচারপতির বক্তব্য বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে ॥ বিচারপতি শামছুল হুদা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

প্রধান বিচারপতির  বক্তব্য বিচার  বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে ॥ বিচারপতি শামছুল হুদা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবসরে যাওয়ার পর বিচারকদের রায় লেখা ‘সংবিধান পরিপন্থী’ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার এমন বক্তব্য বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেই মুহূর্তে মানুষের আস্থা বিচার বিভাগের ওপর থেকে নষ্ট হোক এটা আমাদের কাম্য নয়। আমরা বিচারক, কোন রাজনীতিবিদ নই। যে প্রতিদিনই সংবাদের শিরোনাম হতে হবে। এমন মন্তব্য করেছেন শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামছুল হুদা মানিক। নিজ কার্যালয়ে আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামছুল হুদা মানিক জনকণ্ঠকে বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আপীল বিভাগের সাবেক এক বিচারপতির মধ্যে বিরাজমান মতনৈক্যের কারণে যে কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে তা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হওয়ার পথে। আমি সকলের কাছে আকুল আবেদন জানাই, ব্যক্তিগত বিরোধের থেকে উদ্ভূত সমস্যা জাতীয় সমস্যায় রূপান্তরিত করে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি বিনষ্ট থেকে বিরত থাকুন। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ইদানীংকালের রায় লেখার সময়সীমা নিয়ে কথাবার্তার সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। অবসরে যাওয়ার পরে বিচাপতিগণ রায় লেখা নিয়ে যে তর্কের অবতারণা হয়েছে সে সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে, একজন বিচারপতি সকাল সাড়ে ১০টায় কোর্টে উঠেন। সোয়া ১টায় কোর্ট থেকে নেমে নামাজ শেষ করে খাওয়া দাওয়া সেরে তড়িঘড়ি করে ২টার সময় আবার কোর্টে উঠেন। কোর্টের কাজ সেরে বিকেল সোয়া ৪টায় কোর্টের দৈনন্দিন আদেশ এবং আদালতে প্রশাসনিক সময় ব্যয় করে রাত ৮-৯টার দিকে বাসায ফিরেন। এই সময়ের ভেতর তাকে আদালতে যে জাজমেন্ট/আর্ডার ডিকটেশন দিয়ে থাকেন তা কারেকশন করতে হয়। তাতে করে একজন বিচারপতির পক্ষে দৈনন্দিন প্রদত্ত জাজমেন্ট শেষ করা সম্ভব হয় না। বিচারপতি শামছুল হুদা মানিক আরও বলেন, কোন বিচারকই সরকারী ছুটি পূর্ণভাবে ভোগ করতে পারেন না। কারন ছুটির সময়ই পেনডিং রায়গুলো লিখতে হয় এবং তা শেষ করতে হয়। এ কারণে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ইদানীংকালের রায় লেখার সময়সীমা নিয়ে কথাবার্তার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। কারণ দিন যদি ২৪ ঘণ্টা না হয়ে ১২০ ঘণ্টা হতো তা হলে একজন বিচারপতি প্রতিদিনের রায় প্রতিদিনই লিখতে পারত। যা অসম্ভব। একজন বিচারপতি মৃত্যুর পরেও বিচারপতি হিসেবে পরিচিত থাকেন।
×