ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর যোগাযোগ খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে

বাস কিনতে সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

বাস কিনতে সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার

রাজন ভট্টাচার্য ॥ প্রায় দুই কোটি মানুষের শহর রাজধানী ঢাকা। আয়তন ও আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী রাজধানীতে সোয়া দুই লাখ পরিবহন চলতে পারে। সরকারী হিসাব অনুযায়ী চলছে সাড়ে নয় লাখ যান্ত্রিক পরিবহন। এর মধ্যে গণপরিবহনের সংখ্যা ১২ হাজার। বাস্তবতা উপলব্ধি করেই গণপরিবহন বাড়ানোর উদ্যোগ এক যুগের বেশি সময়েও সফলতার মুখ দেখেনি। সর্বশেষ রাজধানীতে তিন হাজার বাস নামানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বেসরকারী খাতে তিন হাজার বাস নামাতে ব্যাংকঋণের সুদ হিসেবে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার। অর্থাৎ ১০ ভাগ ব্যাংকঋণের সুদের ছয় ভাগ সরকার দিতে মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছে। এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ক চূড়ান্ত প্রস্তাব যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। আগামী বছরের মধ্যে তিন হাজার বাস নামবে ঢাকার রাস্তায়। সব বাস মিলিয়ে করা হবে পাঁচটি কোম্পানি। দুই বছর মেয়াদের বাইরে পুরনো সকল গাড়ি নগরী থেকে তুলে দেয়া হবে। অর্থাৎ রাজধানীতে লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা কোন বাস থাকবে না। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রাজধানীর যোগাযোগ খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এদিকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ৫০০ বিআরটিসি বাস নামানোর প্রক্রিয়া প্রায় দুই বছর ধরে আটকে আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঙ্কট সমাধানে রাজধানীতে অন্তত ২০ হাজার গণপরিবহন জরুরী। এর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস, অটোরিক্সা ও ট্যাক্সিক্যাব নামানোর বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে। এতদিন গণপরিবহনের সঙ্কট সমাধান না হওয়ার পেছনে সরকারের সদিচ্ছা ও পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত মাফিয়াচক্রকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারী পর্যায়ে কাজের চেয়ে চিঠি চালাচালি হয়েছে বেশি। তারা বলছেন, ট্যাক্সিক্যাব, বাস, অটোরিক্সাসহ কোনকিছুই রাজধানীতে পর্যাপ্ত নয়। অথচ নগরীর প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ গণপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। তবে পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলছেন, যানজটের কারণে পরিবহন খাতে বেসরকারী বিণিয়োগ দিন দিন কমছে। গত সাত বছরের বেশি সময়ে ৫০টির বেশি পরিবহন কোম্পানি বন্ধ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, রাজধানীর মানুষের যাতায়াত সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে তিন হাজার পাবলিক বাস চালু করা হবে। এ অনুয়ায়ী কাজও চলছে। ইতোমধ্যে বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা হয়েছে। বর্তমানে থাকা ১৯০টি বাস কোম্পানিকে পাঁচটি কোম্পানিতে নামিয়ে আনার বিষয়ে ডিএনসিসির সঙ্গে মালিকরা একমত হয়েছেন। এতে রাস্তায় বাস চলাচলের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা কমে যাবে। পুরনো বাস তুলে নেয়া হবে। এছাড়া এলাকাভিত্তিক যানজট কমানোর বিষয়েও কাজ করছে কর্পোরেশন। তিন হাজার নতুন বাস নামানোর চ্যালেঞ্জ ॥ পরিবহন সঙ্কট সমাধানে রাজধানীতে আরও তিন হাজার বাস নামানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ও পরিবহন মালিক সমিতির উদ্যোগে এ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে অনেকদূর এগিয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, অতিমাত্রায় ব্যাংকঋণের সুদের কারণে বেসরকারী খাতের মালিকরা ঢাকার রাস্তায় গাড়ি নামাতে নিরুৎসাহিত ছিলেন। এমন বাস্তবতায় মেয়র ও মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গাড়ি নামাতে ১০ ভাগ ঋণের মধ্যে ছয় ভাগ দেবে সরকার। তিন হাজার বাসের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা সরকারী ভর্তুকির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। ঋণের চারভাগের দায়িত্ব মালিকদের। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী, অর্থ সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্ননের সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক সম্মতি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা দেয়ার কথা বলেছেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে। খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী রাজধানীতে ১৯০টি পরিবহন কোম্পানির বাস রয়েছে। এসব পরিবহন কোম্পানির মালিকদের এক করে পাঁচটি কোম্পানি করা হবে। একটি কোম্পানির গাড়ি চলবে একেক রুটে। রং হবে ভিন্ন ভিন্ন। সরকারী জমিতে হবে পাঁচটি বাস ডিপো। পার্কিং বে ও প্রশস্ত সড়কে পৃথক বাস বে করার প্রস্তাবও থাকছে পরিকল্পনায়। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ১৭০টি পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় ইতিবাচক সম্মতি পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রতিটি গাড়ি হবে ৪০ থেকে ৪৫ সিটের। এক হাজার এসি ও দুই হাজার নন-এসি বাস নামানো হবে। প্রতটি নন-এসি বাসের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ, এসি বাসের ক্ষেত্রে ৫০ লাখ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জনকণ্ঠকে বলেন, রাজধানী থেকে আস্তে আস্তে পুরনো গাড়ি তুলে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে নামানো প্রায় দেড় হাজার গাড়ি রাস্তায় থাকবে। এসব গাড়ি নতুন পাঁচটি কোম্পানির একটিতে যুক্ত হবে। মালিকদের পুরনো গাড়ি বিক্রির জন্য অনুরোধ করা হবে। এজন্য সময় বেঁধে দেয়া হবে। পাশাপাশি নতুন বাস নামানোর জন্যও প্রস্তাব দেয়া হবে সবাইকে। যে কেউ কম সুদে ব্যাংকঋণ পাবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মধ্যে রাজধানীতে পরিবহন সঙ্কট সমাধানের পাশাপাশি যানজট সমস্যাও কমে আসবে। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি সফল করা খুবই চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন এই পরিবহন নেতা। তিনি বলেন, পরিবহন খাদে মালিকদের ব্যাংকঋণের সুদের পরিমাণ ছিল ১৫ ভাগ। এতে মালিকদের কিস্তি পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেয়ায় এখন বাস নামানো অনেকের পক্ষে সহজ হবে। আশা করি, সরকারী উদ্যোগে বেসরকারী খাতের মালিকরা উৎসাহিত হবেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণপরিবহন সমস্যা নিরসনে সরকারের উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ খাতে সরকারীভাবে তেমন কোন অথরিটিও গড়ে ওঠেনি। একেকটি সংস্থা ও দফতরের পক্ষ থেকে একেকভাবে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব এসেছে বহুবার। কোন্টি গ্রহণযোগ্য- এ নিয়ে চিঠি চালাচালিতেই কেটেছে বছরের পর বছর। সম্প্রতি সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাজধানীতে গণপরিবহন সঙ্কট সমাধানে করণীয় প্রসঙ্গে বলেন, ১০০টি এসি বাস ও ২০০টি দোতলা বাস নামানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি কোম্পানিকে বাস নামানোর অনুমতি দেয়ার কথা জানান তিনি। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিআরটিসির আরও ১০০ জোড়া ও ২০০ দোতলা বাস আনতে পরিকল্পনা কমিশনের অনুমতি পেয়েছি। এসব পরিবহন রাস্তায় নামলে গণপরিবহন সঙ্কট অনেকটাই কমে আসবে। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে রাজধানীতে চলাফেরা করতে পারবেন বলে জানান তিনি। এসব বিষয়ে সড়ক সচিব এমএএন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারীভাবে ৯৮০টি গাড়ি কেনা হয়েছে। আরও ৫০০টির প্রকিউরমেন্ট দেয়া আছে। আর বেসরকারী উদ্যোক্তারা যত ইচ্ছা গাড়ি নামাতে পারেন, এ অনুমতি তাদের দেয়া আছে। এছাড়া গণপরিবহন সমস্যা নিরসনে আমরা মেট্র্রোরেল করছি। ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সহাসচিব আবুল কালাম জনকণ্ঠকে বলেন, রাজধানীতে নতুন নতুন বাস নামাতে সরকারীভাবে কোন বাধা নেই। মূল সমস্যা হলো যানজট। যানজটের কারণে অব্যাহত লোকসানের মুখে পরিবহন ব্যবসায়ীরা। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ নামমাত্র টিকে আছেন। আগে যেসব পরিবহন ছয়টি ট্রিপ দিতে পারত এখন দুটির বেশি সম্ভব নয়। এ কারণে ব্যবসায়ীরা বাস নামানোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে অন্তত ৫০টি পরিবহন কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। পুরনো কেউ কেউ কিছু বাস নিয়ে আবারও নামার চেষ্টা করলেও শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছেন। প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ, রাস্তা ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করার পরামর্শ দিয়ে এই পরিবহন নেতা বলেন, নগরীর বেশিরভাগ রাস্তা এখন প্রাইভেটকারের দখলে। সঙ্গত কারণে যানজট লেগেই থাকে। বর্তমান অবস্থায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ ও রাস্তা দখলমুক্ত করা না গেলে দিন দিন রাজধানীতে চলা বাসগুলো আরও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে সাধারণ মানুষকে আরও সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে। নগর পরিকল্পনাবিদরা যা বলছেন ॥ রাজধানীতে গণপরিবহনের সঙ্কটের জন্য সরকারের ‘উদাসীনতাকে’ দায়ী করেছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। পরিবহন মালিকদের কণ্ঠেও সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষের ‘উদাসীনতার কারণেই’ নগর পরিবহন খাত ধ্বংস হচ্ছে। সরকারের পরিকল্পনার অভাব, পর্যাপ্ত বাসস্ট্যান্ড না থাকা, যানজট আর যন্ত্রপাতির দাম বাড়ায় অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। বছর দশেক আগে ঢাকার সড়কে প্রায় সাড়ে সাত হাজার বাস চলাচল করত। এখন ঢাকায় মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হলেও কমেছে বাসের সংখ্যা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর ১৬৮টি রুটে চলাচলকারী বাসের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪০৭টি। এর মধ্যে মিনিবাস তিন হাজার ১২৬টি আর বাস আছে দুই হাজার ২৮১টি। বিআরটিএ এ হিসাব দিলেও পরিবহন মালিকদের হিসাবে রাজধানীতে চলাচলকারী বাসের সংখ্যা চার হাজারেরও কম। গণপরিবহন সঙ্কট নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক সারোয়ার জাহান বলেন, দেড় কোটির বেশি জনসংখ্যার এ শহরে বাস প্রয়োজন অন্তত ১২ থেকে ১৩ হাজার। এ সংখ্যা বর্তমানে তিন হাজারের মতো। এর প্রধান কারণ সরকার গণপরিবহন নিয়ে মাথা ঘামায় না। ঢাকায় যানজটের কারণে বাস মালিকরাও কাক্সিক্ষত সংখ্যায় ট্রিপ পান না। আর এ কারণে তারাও এ সেবা নিয়ে খুব বেশি উৎসাহী নন। সড়কে গণপরিবহন হিসাবে বাসের সংখ্যা কমায় ক্রমশ ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে বলেও মনে করেন এ নগর পরিকল্পনাবিদ। এটা খুবই স্বাভাবিক। মানুষ চলাচল করবে কিভাবে? গণপরিবহন না থাকলে প্রাইভেট গাড়ি তো বাড়বেই, এতে রাস্তায় যানজট বাড়বে। পরিবহন নেতারা বলছেন, ২০ হাজার গণপরিবহন জরুরী এই মেগাসিটিতে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তথ্য অনুসারে, এক হাজার ৫২৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঢাকায় সড়ক রয়েছে দুই হাজার ৫৫০ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে প্রধান সড়ক ৮৮ কিলোমিটার, যার বেশিরভাগই দখল করে নেয় ব্যক্তিগত যানবাহন। দুই বছর আগের এক হিসাবে দেখা যায়, মোট যানবাহনের মধ্যে ঢাকায় চলাচলকারী মানুষের মাত্র ছয় শতাংশ ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেন। অথচ এই গাড়িগুলোই সড়কের ৮০ শতাংশ জায়গাজুড়ে থাকে। পরিবহন সমিতিগুলোর হিসাবে দেখা গেছে, রাজধানীতে দিনে অন্তত ছয় লাখ মানুষ নানা প্রয়োজনে আসছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি বাস ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার অতিক্রম করে। ঢাকায় গতি ঘণ্টায় মাত্র সাত কিলোমিটার। ২০১৩ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তাই দিনে অন্তত ২১ লাখ ট্রিপের প্রয়োজন। কিন্তু যানজটে ২১ লাখের তিনভাগের একভাগ ট্রিপও হচ্ছে না। সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজধানীর প্রতি তিন হাজার যাত্রীর যাতায়াতের জন্য বাস ও মিনিবাস আছে মাত্র একটি। তারা জানান, রাজধানীর অটোরিক্সাগুলোর এক-তৃতীয়াংশ অচল। গণপরিবহনের সঙ্কটের বিপরীতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মোটরসাইকেল, ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৮৭টি প্রাইভেটকার রয়েছে।
×