ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ;###;মিরাজদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা ;###;ইংল্যান্ড-ফিজি মুখোমুখি

বাংলাদেশের মিশন শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশের মিশন শুরু আজ

মিথুন আশরাফ ॥ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আজ। প্রথমদিনেই বিশ্বকাপের মিশনে নামছে বাংলাদেশ যুব দল। মেহেদী হাসান মিরাজদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দল। ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল নয়টায় শুরু হবে। একই সময়ে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আরেকটি ম্যাচ শুরু হবে। ইংল্যান্ড ও ফিজি অনুর্ধ-১৯ দল মুখোমুখি হবে। ম্যাচগুলো খেলতে নামার আগে সব দলই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। প্রস্তুতি ম্যাচে শতভাগ সাফল্য পায় বাংলাদেশ যুব দল। জিম্বাবুইয়ে অনুর্ধ-১৯ দলকে ৬৩ রানে ও ইংল্যান্ড অনুর্ধ-১৯ দলকে ৯৭ রানের বড় ব্যবধানে হারায়। আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দল দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দল। এ দলটিও দুর্দান্ত সাফল্য পায়। প্রস্তুতি ম্যাচে ফিজি অনুর্ধ-১৯ দলকে ২৮২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায়। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ-১৯ দলের বিপক্ষে টাই করে। ইংল্যান্ড দলটি এক ম্যাচে হারে। আরেক ম্যাচে জিতে। নামিবিয়া অনুর্ধ-১৯ দলকে ১৫৫ রানে হারানোর পর বাংলাদেশের কাছে হারে। ফিজির অবস্থা পুরোই বেগতিক। দলটি একটি প্রস্তুতি ম্যাচেও জিততে পারেনি। হার হয়েছে বড় ব্যবধানে। দক্ষিণ আফ্রিকার পর স্কটল্যান্ড অনুর্ধ-১৯ দলের কাছে ২১ রানে হেরেছে। তার মানে আজকের দুই ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজতো শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নয়, সব ম্যাচ জিতে শিরোপা নিজের হাতে তালুবন্দী করতে চান। সর্বশেষ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা যুবাদের ৫-২ ব্যবধানে সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ যুবারা। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া সিরিজে জেতার আগে ঘরের মাটিতেও ৬-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দল। এবার যেহেতু বিশ্বকাপ হচ্ছে বাংলাদেশে, তাই শিরোপায় দৃষ্টি দিচ্ছে সবাই। মিরাজ বলে, ‘আসলে আমরা দীর্ঘদিন এই টিমটায় একসাথে খেলছি, তাই দলের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল। তবে সিরিজ জয়টা একেবারেই সহজ ছিল না। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন একেবারেই আলাদা। আমরা যখন ওখানে খেলেছি, তখন প্রচ- ঠা-া। তবে সিরিজের আগে আমরা একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। কোচ বলেছিলেন, মূল ম্যাচের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিতে প্রস্তুতি ম্যাচটিকে। আমরা সেখানে সফল ছিলাম। আর পরিকল্পনাগুলো ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারাতেই আমরা সফল হয়েছি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘নেতৃত্ব দেয়াটা আসলে একটা বিশাল চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। অনেক ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল আমি যে টিমে খেলব, সেই টিমের নেতৃত্ব দিব। এর আগে খুলনা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বয়সভিত্তিক দলকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আর এই টিমটাকেও নেতৃত্ব দিচ্ছি। আসলে সতীর্থ ক্রিকেটাররা আমাকে খুব পছন্দ করে, এ কারণেই আমি নেতৃত্বটাকে খুব উপভোগ করি। ওদের সহযোগিতা ছাড়া আমার নেতৃত্ব এতটা সহজ হতো না। আমিও ওদের খুব কাছাকাছি থাকি। দলের কেউ খারাপ করলে, আমি তার সাথে আলাদা করে কথা বলি। সব মিলিয়ে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জটা ভালই উপভোগ করছি।’ বাংলাদেশ এর আগে বেশ কয়েকবার যুব বিশ্বকাপের প্লেট গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কয়েকবার মূল রাউন্ডেও খেলেছে। তবে বেশিদূর যাওয়া হয়নি। এবার কী করতে চায় যুবারা? মিরাজ বলে, ‘হ্যাঁ, এবারের চ্যালেঞ্জটা একটু বড়। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়া। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে, এমন দাবি আমি করছি না। তবে এটা হলে সত্যিই আমাদের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি হবে। তবে এর থেকেও বড় প্রাপ্তি হবে যদি এই টুর্নামেন্ট থেকে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার বের হয়ে আসে। অর্থাৎ এই প্রতিযোগিতায় খেলে যদি অন্তত কয়েকজন ক্রিকেটার পাওয়া যায় যারা ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়ে খেলবে, আমি মনে করি সেটাই হবে সবথেকে বড় প্রাপ্তি। আর প্রতিযোগিতায় আমাদের লক্ষ্য থাকবে ধাপে ধাপে ওপরে ওঠা। আর বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে, তাতে চ্যাম্পিয়ন হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’ সত্যিই তাই। অসাধারণ খেলছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দল। ঘরের মাটিতে যেহেতু খেলা, শিরোপা জেতার আশা তাই করাই যায়।
×