ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৫৪ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষিখাতে ঋণ বিতরণ করেছে ৮ হাজার ৭৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যা পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। কৃষিঋণ বিতরণ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, আমন ও বোরোর দুটি মৌসুমের কারণে কৃষক থেকে ঋণের চাহিদা বেশি হওয়ায় সার্বিক কৃষিখাতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ব্যাংকগুলো মোট কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ৮ হাজার ৭৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। ঋণ বিতরণের এ হার পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ পূরণ করেছে। আর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ বিতরণ হয়েছিল ৭ হাজার ৭০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এদিকে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ বা ৮৫০ কোটি টাকা বেশি। প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের উল্লিখিত ৬ মাসে সরকারী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছে ৪ হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা তাদের লক্ষ্যমাত্রার ৫০ দশমিক ১২ শতাংশ। বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে ৪ হাজার ৯৯ কোটি ৪৯ লাখ যা তাদের লক্ষমাত্রার ৫৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরেও ব্যাংকগুলোকে মোট ঋণের ন্যূনতম আড়াই শতাংশ কৃষি ও পল্লী খাতে বিতরণ করতে হবে। নতুন ব্যাংকগুলোর জন্য এ হার ৫ শতাংশ। কাল থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল মেশিনারি মেলা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল এ্যান্ড গার্মেন্ট মেশিনারি প্রদর্শনী-২০১৬। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি রবিবার পর্যন্ত। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), তাইওয়ানের চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি এবং ইয়োর্কার ট্রেড এ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লি. যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ৩৩টি দেশের ১ হাজার মেশিনারিজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ১ হাজার ১৬০টি স্টলের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে প্রদর্শনী চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রদর্শনীর মাধ্যেমে উদ্যোক্তারা টেক্সটাইল খাতের যন্ত্রপাতি বিশেষত, স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডায়িং, ওয়াশিং সেলাই মেশিনসহ অন্যান্য মেশিনারির উন্নত ও সর্বাধুনিক মানের উৎসগুলো সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে জিডিপিতে টেক্সটাইল শিল্পের অবদান ১৩ শতাংশ। এ খাতে বিনিয়োগর অর্থের পরিমাণ ৪.৫ বিলিয়নের বেশি। প্রদর্শনীর মাধ্যমে এ বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেয়া হবে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মোঃ ফজলুল হকসহ অন্যান্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
×