ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধানদের সঙ্গে আনিসুল হকের মতবিনিময়

নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে এক মিনিট সময় চাইলেন মেয়র

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে এক মিনিট সময় চাইলেন মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাগরিকদের সচেতনতা বাড়াতে ও ক্লীন, গ্রীন ও নিরাপদ ঢাকা গড়তে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিশেষ সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। এজন্য তিনি প্রতিটি টেলিভিশনের কাছে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচারমূলক অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য দিনে কমপক্ষে এক মিনিট করে সময় চান। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে দেশের সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধানদের সঙ্গে সুন্দর ও পরিবেশবান্ধব বসবাসযোগ্য আগামীর ঢাকা গড়তে করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সহযোগিতা চান। অপরদিকে আগামী তিন বছরের মধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। অপরদিকে ভূমিকম্পের পর সংশ্লিষ্ট সরকারী-বেসরকারী সংস্থাকে অতি কম সময়ে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার নগর ভবন মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সংশ্লিষ্ট ৩৯টি সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাকে নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসিসির নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের নাগরিকদের সেবার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। এ লক্ষ্যেই আমরা মিডিয়ার কাছে আমাদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা তুলে ধরতে চাই। আমরা নাগরিক সেবা বর্তমানের তুলনায় বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমরা নাগরিকদের ক্লীন, গ্রীন ও নিরাপদ ঢাকা উপহার দিতে চাই। এজন্য অবশ্যই ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে এগিয়ে আসতে হবে। মেয়র নির্বাচনের ৮ মাস পূর্তি উপলক্ষে গৃহীত কিছু উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, আমাদের কিছু উদ্যোগ আমরা বাস্তবায়ন করে ফেলেছি, কিছু উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আবার কিছু উদ্যোগ সবসময়ই চলবে। মেয়র বলেন, আমরা ডিএনসিসিকে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য আমরা ঘোষিত সময় ডিসেম্বরের মধ্যেই রাস্তার আশপাশে বা বাড়ির ছাদে স্থাপিত ছোট-বড় ২০ হাজার বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলেছি। বর্তমানে দৃশ্যমান কিছু বিলবোর্ড সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সাথে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চুক্তি থাকায় সেগুলো তুলতে পারছি না। এছাড়া রাস্তার আশপাশে বেশ কিছু বিলবোর্ড রয়েছে যেগুলো তুলে নিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। এরই মধ্যে তারা এসব বিলবোর্ড তুলে না নিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া আমরা ভবিষ্যতে ঢাকার প্রায় ২৫ ভাগ ছাদের উপর ফুলের বাগান তৈরি করতে চাই। যা সবুজ ঢাকা গড়তে সাহায্য করবে। আগামী মে মাসের মধ্যেই আমরা ডিএনসিসির ৫৭টি ফুটওভারব্রিজে ও ৩টি ফ্লাইওভারে ফুলের চারা লাগানো হবে। প্রতিটি বাড়ির মালিককে ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করা হবে। খেলার মাঠ, পার্ক, লেক ও খোলা স্থানের মধ্যে বিউটিফিকেশনের আওতায় আনা হবে। আমরা পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ পুলিশ নিয়োগেরও চিন্তা করছি, যা বিবেচনাধীন রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ২টি ইকোবাস রাজধানীর রাস্তায় নামানোর চিন্তা রয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মেয়র বলেন, আমরা শুধুমাত্র জমির জটিলতার কারণে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন করতে পারছি না। তবে রাস্তায় ময়লা ফেলা বন্ধে স্থায়ীভাবে ডিএনসিসি এলাকায় ৫ হাজার ডাস্টবিন স্থাপন করব। এর মধ্যে আগামী ২ মাসের মধ্যে ২ হাজার ও পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যেই বাকি ৩ হাজার ডাস্টবিন বসানো হবে। ঢাকার প্রতিটি পেট্রোলপাম্পে বাধ্যতামূলকভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা কবে। এছাড়া নাগরিকদের সুবিধার্থে উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্লাষ্টিকের ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। যানজট নিরসনের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, আমরা টঙ্গী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত বৃহত ৫টি রাইটটার্ন বন্ধ করে দেব। এছাড়া ছোট ছোট ৬৯টি রাইটটার্নও বন্ধ করা হবে। এর বিপরীতে যানজট কমাতে ২২ ইউলুপ তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে কয়েকটির কাজ চলমান রয়েছে। মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সময় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। জনদুর্ভোগের এ বিষয়টি নজরে এনে অতি দ্রুত কাজ করতে নির্মাণের সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরিবেশ রক্ষায় ঢাকায় আমরা নতুন ৩ হাজার বাস নামানোর চিন্তা করছি। এসব বাসের মধ্যে এক হাজার এসি বাস থাকবে। আশা করি আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই তা করা সম্ভব হবে। এরপর রাস্তায় সকল প্রকার লক্কড়ঝক্কড় পুরনো বাস উঠিয়ে নিতে পরিবহন মালিক সমিতি সম্মত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক ট্রাফিক জ্যাম কমাতে আমরা কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম চালু করছি। ইতোমধ্যে গুলশানের চারটি সোসাইটির এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে। ডিএনসিসি এলাকার নিরাপত্তাকে নিশ্চিদ্র করতে আমরা কম্বিং অপারেশনের মতো অতি শক্তিশালী ২৫০০ ক্যামেরা বসাব। জিআইএস পদ্ধতিতে পুলিশের মাধ্যমে সকল প্রকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এগুলো কাজ করবে। এছাড়া ডিএনসিসি এগুলোর মাধ্যমে রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আশা করি এ বছরের শেষ নাগাদ পুরো ডিএনসিসি এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা সম্ভব হবে। কারওয়ান বাজারকে তিনটি স্থানে সরিয়ে নিয়ে এ এলাকাটি খালি করা হবে। বর্তমান বাজারের দোকানগুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করে সরানো হবে। এজন্য ৩টি বৃহত মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যানজট কমাতে বেজমেন্টের কার পার্কিং খালি রাখতে হবে। অন্যথায় আমরা তা খালি করব। আমরা গুলশান বনানী মোহাম্মদপুরসহ বা বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় সপ্তাহের যে কোন দিন একটি রাস্তা বা একটি এলাকাকে ভেহিকেল ফ্রি এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার চিন্তা করছি। যেখানে নাগরিকগণ নির্বিঘেœ জগিং করবেন বা হাঁটবেন। পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান পুলিশের উপর ভরসা করতে শুধুমাত্র সিটির পরিবেশ রক্ষায় কর্পোরেশনের অধীনে ১০০ জন এনভায়রনমেন্ট পুলিশ নিয়োগের চিন্তা করা হচ্ছে। যারা শুধু পরিবেশ রক্ষায় কাজ করবেন। এসব পুলিশ কর্পোরেশনের কাছে প্রতিনিয়ত জবাবদিহিতা করবে। দেয়ালের লিখন বন্ধ করা ও সকল প্রকার পোস্টার যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধ করা হবে। নির্দিষ্ট স্থানে পোস্টার লাগাতে হবে। মেয়র বলেন, কর্পোরেশনের সকল সেবামূলক কাজ ও উন্নয়ন কার্যক্রম ইন্টারনেটভিত্তিক করা হবে। এজন্য বর্তমানে গত আট মাসে আমরা প্রায় সকল উন্নয়নমূলক কাজ ই-টেন্ডারের মাধ্যমে করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি সকল আবাসন ব্যবসায়ীদের পরিবেশ রক্ষায় ও নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তার উপর থেকে সকল প্রকার নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন। সকল উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তিনি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সকল সচেতন নাগরিক ও মিডিয়ার সাহায্য চান। অনুষ্ঠানে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ, একুশে টেলিভিশনের সিইও মন্জুরুল আহসান বুলবুল, ৭১ টিভির মোজাম্মেল বাবু ও সিইও সামিয়া জাহান, এটিএন নিউজের সিইও সরকার ফিরোজ ও হেড অব নিউজ মুন্নী সাহা, এনটিভির হেড অব নিউজ খায়রুল আলম মুকুল, বাংলাভিশনের ডিএমডি ইশরাত হোসেন, মাছরাঙা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম মোনায়েম, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আহমেদ জুবায়ের, এটিএন বাংলার জ, ই, মামুন উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে শাাইখ সিরাজ বলেন, ঢাকায় বসবাসকারীদের রাতে চলাচলের জন্য কোন প্রকার যানবাহন নেই। ফলে প্রতিরাতেই নাগরিকদের কষ্ট করে বাড়ি ফিরতে হয়। এছাড়া বাইসাইকেলের জন্য রাস্তায় আলাদা লেন তৈরির অনুরোধ জানান। ফাহিম মোনায়েম বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত নাগরিক দুর্ভোগ সংশ্লিষ্ট সংবাদ নিয়ে ডিএনসিসির একটি বিশেষ সেল খোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এসব রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নাগরিক দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে। আহমেদ জুবায়ের বলেন, অহেতুক রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করতে হবে। জ, ই, মামুন বলেন, মানুষ দিনে-রাতে রাস্তায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেনÑ এ বিষয়টি নিয়ে মেয়রকে ভাবতে হবে। ইশরাত হোসেন বলেন, নাগরিকদের কষ্ট লাঘবে সিটি গবর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ঢাকার বায়ুদূষণ কমাতে উদ্যোগ নিতে হবে। সামিয়া জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। বিনোদনের জন্য স্বাভাবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মন্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, নাগরিক নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশের সাথে আলোচনায় বসুন। তাছাড়া সকল শ্রেণীর সাংবাদিকদের জনদুর্ভোগ তুলে ধরতে মেয়রকে সবাত্মক সহায়তা করতে হবে। এদিকে সোমবার ডিএসসিসির নগর ভবনে দুর্যোগ বিষয়ক প্রথম সভায় ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ডিএসসিসি এলাকার ভূমিকম্পের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের এটি প্রথম সভা। প্রতি দুই মাস পর পর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমরা সমন্বয় সভা করব। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এই সভার সিদ্ধান্ত মানা বাধ্যতামূলক। সকল সংস্থা এই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত সমস্যা ও সমাধান নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ্এন্ড মেইনটেনেন্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ। মেয়র জানান, আমরা সর্বসম্মতিক্রমে এই সভা থেকে ভূমিকম্প দুর্যোগ থেকে বাঁচতে মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। প্রত্যেক সংস্থা যার যার অবস্থান থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আগামী সভা অনুষ্ঠিত হবার আগে ডিএসসিসির ৫৭টি ওয়ার্ডে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে তার দফতরে জমা দেয়ার অনুরোধ জানান। ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের কাজ হবে স্বেচ্ছাসেবী সদস্য সংগ্রহ করা। ওয়ার্ড পর্যায়ে দু’শ’ জনকে ভূমিকম্পের সময় উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বিষয়ে ট্রেনিং প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়, বাংলাদেশে কয়েকটি বড় বড় ভূমিকম্প স্পটও রয়েছে। টাঙ্গাইলের মধুপুর ভূমিকম্পের উৎপত্তি হলে এবং ঢাকা শহরে মধ্যম মাত্রার কম্পন অনভূত হলে ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। আর এই ভূমিকম্পের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ হাজার ১শ’ ১২ মিলিয়ন ডলার। পানি, বিদ্যুত, গ্যাস সরবরাহ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় নগর সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি এবং ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমদ আনসারী বলেন, ভূমিকম্পের দুর্যোগ মোকাবেলার প্রধান প্রস্তুতি হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন। আর এ কাজটি করতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে। এছাড়াও তিনি দুর্যোগের সময় ঘটনাস্থল থেকে দূরে থেকে ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতিতে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনার সিস্টেম গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জি.এম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া জানান, বড় বা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলে তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কি হবে সে বিষয়ে আমরা নানা রকম ধারণা পাচ্ছি। আমাদের এখনি এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। হাউজিং এ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক। সভাপতিকে অনুরোধ জানান, এই সভা যেন গতানুগতিক সভা না হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশানর (ট্রাফিক) খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, পুলিশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি পুলিশ বিভাগকে যেভাবে দিকনির্দেশনা দেবে পুলিশ বিভাগও সেভাবে কাজ করবে। এ সময় তিনি রানা প্লাজা সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোঃ বিলাল, আরবান রিসাইলেন্স প্রকল্পের পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ, ডিএসসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, ডিএসসিসির ৫৭ ওয়ার্ডের সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন সংস্থা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
×